রাজনগরে শিশু নির্যাতনঃআসামীরা ধরা ছোয়ার বাইরে

    0
    223

    “সাপ্তাহ পেরিয়ে গেলেও কোন আসামী আটক না হওয়ায়  তার পরিবার  আতংকে আছেন”

    আমারসিলেট টুয়েন্টিফোর ডটকম,০৮ডিসেম্বর,শিমুল তরফদারঃ মৌলভীবাজারের রাজনগরের চাঁন্দভাগ এলাকার পিতৃহীন শিশু নাঈম মিয়া (৯) কে মোবাইল চুরির অভিযোগে নির্যাতনকারী হাদিছ মিয়া গংদের এখনো গ্রেফতার করতে পারেনি পুলিশ। নির্যাতনকারীরা গ্রেফতার না হওয়ায় পুরুষহীন নির্যাযিত পরিবারের সদস্যরা এবং বিশেষ করে মামলার বাদী নাঈম মিয়ার মা রুনা বেগম চরম নিরাপত্তাহীনতায় ভুগছেন।

    এদিকে নির্যাতনের শিকার পিতৃহীন শিশু নাঈম মিয়া চিকিৎসা শেষে নিজ বাড়ীতে এলেও আতংকে দিন কাটাচ্ছে। ভুলতে পারছে না নির্যাতনের সেই ভয়াভহ দৃশ্য ঘর থেকেও বের হতে ভয় পাচ্ছে সে।

    বৃহস্পতিবার ঘটনাস্থল রাজনগর উপজেলার ২নং উত্তরভাগ ইউনিয়নের চাঁন্দভাগ গ্রামে সরেজমিন গেলে স্থানীয় বিশিষ্ট প্রবীন মুরুব্বী সায়েস্তা মিয়া ও আব্দুর রব জানান, শিশুটিকে নির্যাতনের সময় আমরা গ্রামের মানুষ সেখানে গেলে আমাদের কে বলা হয় ৫০ হাজার টাকা নিয়ে আসার কথা । টাকা দিলে ছেলেকে ছাড়বে। পরে আমাদেরকে সেখান থেকে তাড়িয়ে দেয়। এলাকায় তারা প্রভাব শালী হওয়ায় আমরা কিছু করতে পারিনি সেদিন।

    মামলারবাদী নির্যাযিত শিশু নাঈম মিয়ার মা রুনা বেগম জানান, গত শুক্রবার (২ ডিসেম্বর) তার শিশু পুত্র নাঈম মিয়াকে সন্ধায় ৭টায় ধামাইপার বাজারে যাওয়ার চান্দভাগ সরকারী প্রাথমিক বিদ্যালয়ের সামনে থেকে প্রতিবেশী মৃত ছন্দর মিয়ার পুত্র হাদিছ মিয়া ডেকে নিয়ে যায়। পরে তাকে মোবাইল চুরির অভিযোগে হাত পা বেধে মারপিটসহ বিভিন্ন ভাবে নির্যাতন করা হয়।

    তার ছেলেকে নির্যাতনে খবর পেয়ে তিনি ঘটনাস্থলে গিয়ে অনেক কান্নাকাটি করার পরেও তাকে ছাড়েনি তারা । তার সামনেই ছেলেকে নির্যাতন করেছে বলে অভিযোগ করেন তিনি। পরে রাত ১২ টার দিকে রাজনগর থানার এসআই মো: আজিজুর রহমান ঘটনাস্থলে উপস্থিত হয়ে নাঈম মিয়াকে আসামীদের বাড়ী থেকে উদ্ধার করেন।

    এ ঘটনায় রুনা বেগম রাজনগর থানায় মৃত ছন্দর মিয়ার পুত্র হাদিছ মিয়া ও আজিদ মিয়া, হাদিছ মিয়ার পুত্র কাওছার মিয়া  ও শহীদ মিয়ার পুত্র ছুফিয়ান মিয়াকে আসামী করে মামলা দায়ের করেন। তবে তিনি জানান প্রায় এক সাপ্তাহ পেরিয়ে গেলেও কোন আসামী আটক না হওয়ায় তিনি তার পরিবার নিয়ে আতংকে আছেন।

    এদিকে নির্যাতনকারী হাদিছ মিয়ার সাথে অনেক যোগাযোগের চেষ্টা করলেও তাকে পাওয়া যায়নি।পরে তার ভাই ওয়াদুধ ভাই জানান, মোবাইল চুরির জন্য  নাঈম মিয়া কে জিজ্ঞাসাবাদ করার জন্য আনা হয়েছিল। তবে তাদের পক্ষ থেকে নির্যাতনের অভিযোগ অস্বীকার করেন তিনি।

    এদিকে মামলার তদন্তকারী কর্মকর্তা রাজনগর থানার এসআই মো: আজিজুর রহমান জানান, মামলার পর থেকে তিনি আসামীদের ধরতে তাদের বাড়ীতে ২/৩ দিন অভিযান চালিয়েছেন। আসামীদের ধরতে পারেনি এবং খুব তাড়াতাড়ি আটক করতে পারবেন বলে জানান।