শ্রীমঙ্গল হানাদার মুক্ত দিবস উপলক্ষে জাগরণী গান অনুষ্টিত

    0
    261

    জহিরুল ইসলাম.স্টাফ রিপোর্টার: মৌলভীবাজারের শ্রীমঙ্গল পাক হানাদার মুক্ত দিবস উপলক্ষে অনুষ্টিত হয়েছে জাগরণী গান, চিত্রাংকন,বীর মুক্তিযোদ্ধা সম্মাননা, বীর মুক্তিযোদ্ধের গল্প শোনানো এবং পুরুষ্কার বিতরনী অনুষ্ঠান। ১৯৭১ সালের ৬ ডিসেম্বর এই দিনে শ্রীমঙ্গল থানা হানাদার মুক্ত হয়েছিলো। রোববার রাতে স্থানীয় সংগঠন উদ্দীপ্ত তারুণ্যের আয়োজনে শহরের ভিক্টোরিয়া উচ্চ বিদ্যালয় অডিটোরিয়ামে অনুষ্ঠানটির আয়োজন করা হয়।

    রোববার সন্ধ্যায় ভিক্টোরিয়া উচ্চ বিদ্যালয়ের শহিদ মিনারে মোমবাতি প্রজ্জ্বালনের মধ্য দিয়ে অনুষ্ঠানের আনুষ্ঠানিকতা শুরু হয়। এরপর ধারাবাহিকভাবে জাতীয় সংগীত, মুক্তিযোদ্ধাদের সম্মাননা, মুক্তিযোদ্ধাদের কণ্ঠে মহান মুক্তিযুদ্ধের স্মৃতিচারণ, জাগরণের গান (দেশাত্মবোধক গান, আবৃত্তি ও নৃত্য) ও চিত্রাঙ্কন প্রতিযোগিতার পুরস্কার বিতরণ করা হয়। এর আগে বিকাল ৩টায় শ্রীমঙ্গল মুক্ত দিবস উপলক্ষে চিত্রাঙ্কন প্রতিযোগিতায় অংশ নেয় বিভিন্ন বিদ্যালয়ের শিক্ষার্থীরা।

    উদ্দীপ্ত তারুণ্যের অনুষ্ঠানে অতিথি হিসেবে বক্তব্য রাখেন শ্রীমঙ্গল উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা নজরুল ইসলাম,মৌলভীবাজার সহকারি সিনিয়র পুলিশ সুপার আশরাফুজ্জামান,বীর মুক্তিযোদ্ধা বিরাজ সেন তরুন, বীর মুক্তিযোদ্ধা মোহন সোম, বীর মুক্তিযোদ্ধা অমলেন্দু পাল, বীর মুক্তিযোদ্ধা নিহার রঞ্জন নাথ, বিশিষ্ট আবৃত্তিকার ও সাংস্কৃতিক ব্যক্তিত্ব দেবাশীষ চৌধুরী রাজা। অনুষ্ঠানে স্বাগত বক্তব্য দেন লেখক ও ছড়াকার অধ্যাপক অবিনাশ আচার্য। অনুষ্ঠানে সংগীত ও নৃত্য পরিবেশন করেন নাট্যবেদ, শ্রীমঙ্গল নৃত্যালয়, সমতা খেলাঘর আসর, শিকড় ব্যান্ড।

    উদ্দীপ্ত তারুণ্যের আয়োজকরা বলেন, ৬ ডিসেম্বর ১৯৭১ সালে শ্রীমঙ্গল পাক হানাদার বাহিনী পরাজিত হয়।এই দিন শ্রীমঙ্গল পৌরসভায় মুক্তিযোদ্ধারা একত্রিত হয়ে স্বাধীন দেশের পতাকা উত্তোলন করা হয়।৬ ডিসেম্বর শ্রীমঙ্গলের একটি গুরুত্বপূর্ণ দিন, ঐতিহাসিক দিন।আমরা উদ্দীপ্ত তারুণ্যের আয়োজনে এই দিনটিকে স্মরণীয় করে আমরা ৬ ডিসেম্বর শ্রীমঙ্গলমুক্ত দিবস উপলক্ষে জাগরণের গানের আয়োজন করে আসছি।