সন্ত্রাস বন্ধে সরকারের প্রতি হাইকোর্টের নির্দেশ

    0
    267

    আমারসিলেট টুয়েন্টিফোর ডটকম,১৫ফেব্রুয়ারী: দেশে চলমান হরতাল-অবরোধে সন্ত্রাস বন্ধে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা নিতে সরকারের প্রতি নির্দেশ দিয়েছেন হাইকোর্ট।রোববার দুপুরে বিচারপতি কাজী রেজাউল হক ও বিচারপতি আবু তাহের মোহাম্মদ সাইফুর রহমানের বেঞ্চ এক রিট আবেদনের উপর প্রাথমিক শুনানি শেষে এ আদেশ দেন।

    হরতাল ও অবরোধে জনগণের মৌলিক অধিকার যাতে খর্ব না হয় সে বিষয়ে ব্যবস্থা নেয়ার জন্যও সরকারকে নির্দেশ দিয়েছেন হাইকোর্ট। এ সময় আদালতে বলা হয়, শান্তিপূর্ণ হরতাল রাজনৈতিক দলের মৌলিক অধিকার হলেও তা মানতে জনগণকে বাধ্য করা যাবে না। আদালতে রিট আবেদনগুলোর পক্ষে শুনানি করেন, আইনজীবী ইউসুফ হোসেন হুমায়ূন, আবদুল বাসেত মজুমদার ও আবদুল মতিন খসরু, সাহারা খাতুন প্রমুখ।
    রিটে বিবাদী করা হয়েছে, স্বরাষ্ট্র সচিব, আইন সচিব, পররাষ্ট্র সচিব, পুলিশের মহাপরিদর্শক, র‌্যাবের মহাপরিচালক, বিজিবির মহাপরিচালক, ডিএমপি কমিশনার, বিএনপির চেয়ারপারসন খালেদা জিয়া, ভারপ্রাপ্ত মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর ও বিকল্পধারার সভাপতি ডা. একিউএম বদরুদ্দোজা চৌধুরীসহ ১৬০ জনকে।

    আদালতে রিট আবেদনগুলো দায়ের করেন কেরাণীগঞ্জের ইস্পাহানি স্কুলের ম্যানেজিং কমিটির সভাপতি শফিউল আজম খান বারকু ও কেরাণীগঞ্জের ব্যবসায়ী শাহীনুর রহমান।
    আবদুল মতিন খসরু সাংবাদিকদের বলেন, আদালতের আদেশে এসএসসি পরীক্ষার সময় যাতে বিঘ্ন সৃষ্টি না হয় তা নিশ্চিত করতে বলা হয়েছে। আর যারা বিঘ্ন করবে তাদের বিরুদ্ধে কঠোর ব্যবস্থা নেয়ার নির্দেশ দেয়া হয়েছে। তিনি বলেন, এসব আদেশ ছাড়াও রুল জারি করেন আদালত।

    রুলে এসএসসি পরীক্ষা চলাকালে হরতাল বা অবরোধ দেওয়াকে কেন অবৈধ ঘোষণা করা হবে না, এসএসসি পরীক্ষা চলাকালে হরতাল বা অবরোধ বন্ধে কেন প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা গ্রহণে নির্দেশ দেওয়া হবে না, হরতাল-অবরোধের হুমকি, সন্ত্রাস, সহিংসতা বন্ধে কেন নির্দেশ দেওয়া হবে না এবং ক্ষতিগ্রস্থদের কেন ক্ষতিপূরণ দেওয়ার নির্দেশ দেওয়া হবে না তা জানতে চাওয়া হয়েছে।

    এছাড়াও ৫ জানুয়ারির অবরোধ এবং তা অব্যাহত রাখা কেন অবৈধ ও বেআইনি ঘোষণা করা হবে না তা জানতে চাওয়া হয়েছে।
    প্রসঙ্গত গত ৫ জানুয়ারি থেকে নির্দলীয় সরকারের অধীনে নির্বাচনের দাবিতে আন্দোলনে থাকা বিএনপি নেতৃত্বাধীন ২০ দলীয় জোট টানা অবরোধ চালিয়ে আসছে।

    এরই মধ্যে ফেব্রুয়ারির শুরু থেকে সাপ্তাহিক ছুটি বাদে প্রতিদিনই চলছে হরতাল। অবরোধ ও হরতালের মধ্যে নাশকতা ও সহিংসতায় এ পর্যন্ত ৬০ জনের বেশি মানুষের মৃত্যু হয়েছে। তাদের মধ্যে অধিকাংশ পেট্রোল বোমায় দগ্ধ হয়ে নিহত হয়েছেন।