সরকারি সফরে কুয়ালালামপুরের উদ্দেশ্যে প্রধানমন্ত্রীর ঢাকা ত্যাগ

    0
    210

    আমারসিলেট24ডটকম,০২ডিসেম্বরঃ ৩ দিনের এক সরকারি সফরে আজ মঙ্গলবার কুয়ালালামপুরের উদ্দেশ্যে ঢাকা ত্যাগ করেছেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা। সকাল সোয়া ১০টায় শাহজালাল আন্তর্জাতিক বিমানবন্দর থেকে বিমান বাংলাদেশ এয়ারলাইন্সের একটি ফ্লাইটে কুয়ালালামপুরের উদ্দেশে রওনা হন প্রধানমন্ত্রী। দ্বিতীয় মেয়াদে সরকার প্রধানের দায়িত্ব নেয়ার পর মালয়েশিয়ায় এটাই তার প্রথম সফর।

    প্রধানমন্ত্রী কুয়ালালামপুরে গ্রান্ড হায়াৎ হোটেলে অবস্থান করবেন বলে জানা গেছে। তার এ সফরের লক্ষ্য হচ্ছে ব্যবসা ও বিনিয়োগ ক্ষেত্রে দ্বিপক্ষীয় সম্পর্ক জোরদার এবং বাংলাদেশ থেকে জনশক্তি রফতানি ত্বরান্বিত করা। এ সফরে প্রধানমন্ত্রীর সাথে রয়েছেন, পররাষ্ট্রমন্ত্রী আবুল হাসান মাহমুদ আলী, প্রবাসী কল্যাণ ও বৈদেশিক কর্মসংস্থানমন্ত্রী খোন্দকার মোশাররফ হোসেন, বেসামরিক বিমান চলাচল মন্ত্রী রাশেদ খান মেনন, সংস্কৃতিমন্ত্রী আসাদুজ্জামান নূর ও স্বরাষ্ট্র প্রতিমন্ত্রী আসাদুজ্জামান খাঁন কামাল।
    এর আগে গতকাল সোমবার নিজ মন্ত্রণালয়ে সাংবাদিকদের ব্রিফিংকালে পররাষ্ট্রমন্ত্রী এ এইচ মাহমুদ আলী এ তথ্য জানান। তিনি বলেন, মালয়েশিয়ার প্রধানমন্ত্রী নজিব বিন তুন হাজী আব্দুল রাজাকের আমন্ত্রণে বাংলাদেশের প্রধানমন্ত্রী মালয়েশিয়া সফরে যাচ্ছেন।

    সফরকালে প্রধানমন্ত্রী পররাষ্ট্রমন্ত্রী এ এইচ মাহমুদ আলী, প্রবাসী কল্যাণ ও বৈদেশিক কর্মসংস্থান মন্ত্রী ইঞ্জিনিয়ার খন্দকার মোশাররফ হোসেন, বেসামরিক বিমান পরিবহন ও পর্যটন মন্ত্রী রাশেদ খান মেনন ও স্বরাষ্ট্র প্রতিমন্ত্রী আসাদুজ্জামান খান কামালসহ ৩০ সদস্যের প্রতিনিধিদলের নেতৃত্ব দেবেন।
    মন্ত্রণালয়ে সাংবাদিকদের ব্রিফিংকালে মন্ত্রী বলেন, প্রধানমন্ত্রী মালয়েশিয়া সফরকালে ৪টি সমঝোতা স্মারক স্বাক্ষরিত হবে বলে আশা করা যাচ্ছে। এগুলো হচ্ছে- সরকারি পাসপোর্টধারী কর্মকর্তা ও কূটনৈতিকদের জন্য ভিসা পদ্ধতি শিথিল করা, অপর দু’টি সমঝোতা স্মারক হচ্ছে- পর্যটন ও সাংস্কৃতিক সহযোগিতা এবং মালয়েশিয়া কর্মরত বাংলাদেশী শ্রমিকদের স্বার্থ-সংরক্ষণে ২০১২ সালে স্বাক্ষরিত প্রটোকল সংশোধন করা।
    পররাষ্ট্রমন্ত্রী বলেন, সফরকালে প্রধানমন্ত্রী আগামী ৩ ডিসেম্বর বুধবার পুত্রজায়ায় প্রধানমন্ত্রীর কার্যালয়ে তার মালয়েশিয়ান সমকক্ষের সঙ্গে দ্বিপক্ষীয় সম্পর্ক নিয়ে আলোচনা করবেন। তিনি বলেন, বাংলাদেশী জনশক্তি রফতানি, বাণিজ্য ও বিনিয়োগ আলোচনায় অগ্রাধিকার পাবে।

    তিনি আরও বলেন, বাংলাদেশের জন্য মালয়েশিয়া বৃহত্তর শ্রমবাজার হওয়ায় ঢাকা দেশটিতে বাংলাদেশী শ্রমবাজার সম্প্রসারণের প্রক্রিয়া ত্বরান্বিত করার বিষয়টি গুরুত্ব দিচ্ছে। বর্তমানে মালয়েশিয়ায় প্রায় ৪ লাখ ৫০ হাজার বাংলাদেশী শ্রমিক কাজ করছে।
    পররাষ্ট্রমন্ত্রী বলেন, দুদেশের মধ্যে বিদ্যমান বিনিয়োগ কমে যাওয়ায় দু’প্রধানমন্ত্রী বিষয়টি নিয়ে আলোচনা করবেন বলে আশা করা হচ্ছে। তিনি বলেন, পরিসংখ্যান অনুযায়ী ২০১৩-১৪ অর্থবছরে বাংলাদেশ ও মালয়েশিয়ার মধ্যে ২ দশমিক ২০ বিলিয়ন মার্কিন ডলারের বাণিজ্য হয়েছে।

    এ সময় বাংলাদেশ মালয়েশিয়া থেকে ২ দশমিক ০৮ বিলিয়ন ডলারের পণ্য আমদানি করেছে। একই সময় বাংলাদেশ মালয়েশিয়ায় ১৩ কোটি ৫০ লাখ মার্কিন ডলারের পণ্য রফতানি করেছে।

    তিন আরও বলেন, শেখ হাসিনা বাংলাদেশে নতুন নতুন ক্ষেত্রে বিনিয়োগে মালয়েশিয়ার উদ্যোক্তাদের উৎসাহিত করার জন্য তাদের সঙ্গে আলোচনা করবেন।