সিলেটের লাশের সাথে জঙ্গী মূসা’র ডিএনএর কোনো মিল নাই

    0
    231

    আমার সিলেট টুয়েন্টিফোর ডটকম,২১জুন,ডেস্ক নিউজঃ   সিলেটের শিববাড়ি আতিয়া মহলে জঙ্গিবিরোধী অভিযানে ‘অপারেশন টেয়াইলাইট’- জেএমবি’র শীর্ষ নেতা মঈনুল ইসলাম ওরফে মুসা মারা যাওয়ার কথা আইনশৃঙ্খলা বাহিনী অভিযান কালে ঘোষনা করলেও ডিএনএ রিপোর্ট নিশ্চিত করেছে নিহত লাশের সাথে জঙ্গী মূসা’র কোনো মিল নাই।

    ডিএনএ টেস্টে ওই ভবনে নিহত নারী জঙ্গির পরিচয় মিলেছে। তার নাম মনজিয়ারা পারভীন। ‘মর্জিনা’ নামে পরিচিত এ নারী সীতাকুন্ডে নিহত নারী জঙ্গি জুবাইরা ইয়াসমীনের বোন বলে দাবী করেছিল পুলিশ। ডিএনএ রিপোর্টে মর্জিনার লাশ নিশ্চিত ও করেছে পুলিশ।

    অভিযানে আতিয়া মহলের তিন পুরুষ ও এক নারী জঙ্গী নিহত হন।

    আতিয়া মহলের ঘটনায় দায়েরকৃত দুটি মামলার তদন্ত করছে পুলিশ ব্যুরো অব ইনভেস্টিগেশন (পিবিআই)। এ ব্যাপারে পিবিআই সিলেটের অতিরিক্ত বিশেষ পুলিশ সুপার সারওয়ার জাহান মঙ্গলবার বলেন, ডিএনএ টেস্টে কেবল মনজিয়ারা পারভীন পরিচয় সনাক্ত করা গেছে। আর কারো পরিচয় সনাক্ত করা যায়নি। এই মামলাগুলোর এখনো তেমন অগ্রগতি নেই বলে জানান তিনি। চলতি সপ্তাহে এই ডিএনএ প্রতিবেদনগুলো পাওয়া গেছে বলে জানান সারওয়ার।

    মামলার তদন্তকারী কর্মকর্তা পিবিআই পরিদর্শক দেওয়ান আবুল হোসেন বর্তমানে ওমরাহ হজ্জ্ব পালণ করতে সৌদিআরব জানিয়ে তিনি বলেন, তদন্তকারী কর্মকর্তা দেশে ফিরলে মনজিয়ারার পরিবারকে পরিচয় সনাক্তের বিষয়টি জানানো হবে।

    সিলেটের দক্ষিণ সুরমার শিববাড়ির আতিয়া মহলে জঙ্গি আস্তানা চিহ্নিত হওয়ার পর গত ২৫ মার্চ থেকে অপারেশন টোয়াইলাইট নামে অভিযান শুরু করে সেনাবাহিনী। ১১১ ঘন্টার অপারেশন ওই ভবন থেকে একসহ মোট চারজনের মৃতদেহ উদ্ধার করে পুলিশ।

    অভিযান সমাপ্ত হবার পরেও পুলিশ পক্ষ থেকে জানানো হয়, জঙ্গি মুসা ওই অভিযানে নিহত হয়েছেন।

    গত ৫ জুনও কাউন্টার টেরোরিজম ইউনিটের প্রধান মো. মনিরুল ইসলাম ঢাকায় সাংবাদিকদের সিলেটের আতিয়া মহলের অভিযানে জঙ্গি মুসা মারা যাওয়ার কথা জানিয়ে বলেন, মুসার মৃত্যুর পর নব্য জেএমবির নতুন আমির হয়েছেন ‘আইয়ুব বাচ্চু’।

    আতিয়া মহলে নিহতদের পরিচয় সনাক্ত করতে ২৯ মার্চ সকালে মনজিয়ারার বাবা নরুল ইসলাম ও বড় ভাই জিয়াবুল হককে সিলেট এনে তাদেরকে নিহত নারীর মৃতদেহের ছবি ও বাসা ভাড়া নেয়ার সময় দেয়া পরিচয়পত্রের ছবি দেখানো হয়।

    তবে তখন তারা ছবি দেখে সনাক্ত করতে না পারায় পরিবারের সদস্যদের ডিএনএর নমুনা রাখা হয়।

    পরদিন, ৩০ মার্চ মুসাকে সনাক্তের জন্য রাজশাহী থেকে মুসার মা সুফিয়া বেগমকে সিলেট আনা হয় ও তারও ডিএনএ নমুনা রাখা হয়। তবে ডিএনএ টেস্টে সুফিয়া বেগমের নমুনার সাথে মুসার নমুনা মিলেনি বলে জানিয়েছে পুলিশ।এদিকে মৌলভীবাজারে প্রবাসী সাইফুর রহমানের নাসিরপুর ও বড়হাটের বাড়ীতে ৪ শিশু সহ ১০ জন নিহত হন।নাসিরপুরে নিহতরা একই পরিবারের হলেও বড়হাটের নিহতদের ডিএনএ টেস্টের জন্যে অপেক্ষায়।এছাড়া এখনো বড়হাটের বাড়ী পুলিশ পাহারায় রয়েছে।সুত্রঃ দৈনিক আমাদের সময়।