সিলেটের বিভিন্ন স্থানে ককটেল হামলাঃআহত-২শিশু

    0
    245

    আমারসিলেট টুয়েন্টিফোর ডটকম,৬ফেব্রুয়ারী: সিলেটের নয়াসড়ক এলাকায় অবস্থিত ফ্যাশন হাউস আড়ং এর শাখায় ককটেল হামলা করেছে।সোমবার দুপুর সাড়ে ১২টার দিকে এ ঘটনা ঘটিয়েছে।
    আড়ং কর্মকর্তা হাসনাত জানান, দুটি মোটর সাইকেল যোগে ৪জন দুর্বৃত্ত আড়ং লক্ষ্য করে ককটেল ছুড়ে। ককটেল বিস্ফোরণের শব্দে সকলেই আতঙ্কিত হয়ে পড়েন। এ সময় দুর্বৃত্তরা পার্কিং-এ রাখা একটি মাইক্রোবাসে আগুন ধরিয়ে পালিয়ে যায়। তিনি জানান, ককটেল হামলায় আড়ং-এর সামনের গ্লাস ভেঙে যায়। এসময় নিরাপত্তা কর্মীরা আড়ং-এর মূল ফটক বন্ধ করে দেয়। এতে দুর্বৃত্তরা ভেতরে ঢুকতে না পেরে গাড়িতে অগ্নি সংযোগ করে পালিয়ে যায়।
    সিলেট মেট্রোপলিটন পুলিশের উপ-কমিশনার (অতিরিক্ত) রহমত উল্লাহ ঘটনার সত্যতা নিশ্চিত করে বলেন, সিলেট আড়ং-এ দুটি ককটেলের বিস্ফোরণ ঘটায় এবং একটি গাড়িতে আগুন ধরিয়ে দেয়। কোন হতাহতের ঘটনা ঘটেনি। পুলিশ ঘটনাস্থল পরিদর্শন করেছে। অপরদিকে একই দিন দুপুরে সিলেট নগরীর মিরের ময়দানস্থ বাংলাদেশ বেতারের অদূরে ২টি ও দর্শনদেউড়ি এলাকায় কয়েকটি ককটেল বিস্ফোরণ ঘটিয়েছে। এছাড়া সুবিদবাজার পয়েন্টে ২টি যানবাহনের গ্লাস ভাংচুর করেছে। দুপুর ১২টা থেকে ১টার মধ্যে এসব ঘটনা ঘটে। এতে দুই শিশুসহ তিনজন আহত হয়েছে।
    প্রত্যক্ষদর্শী সূত্রে জানা গেছে, ককটেল বিস্ফোরণের পর দর্শনদেউরী এবং মিরের ময়দান এলাকায় আতঙ্ক ছড়িয়ে পড়ে। পথচারীদের এদিক ওদিক ছুটোছুটি করতে দেখা যায়।  খবর পেয়ে পুলিশ ঘটনাস্থল পরিদর্শন করেছে।
    নগরীর মিরের ময়দানে হরতালকারীদের ককটেল হামলায় দুই শিশু সহ তিনজন আহত হয়েছে। তারা হলো ১৮ মাস বয়সী শিশু হাফিজুর ও নাফিসা (৮)। তারা পরস্পর ভাই-বোন বলে জানা গেছে। তারা সুনামগঞ্জ জেলার ছাতক উপজেলার গোবিন্দগঞ্জের মাহবুবুর রহমান লায়েকের সন্তান। এছাড়া তাদেরকে বহনকারী সিএনজি অটোরিকসার চালক শহীদ আহমদও আহত হয়েছে। তাদেরকে ওসমানী মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতালের শিশু সার্জারি বিভাগে ভর্তি করা হয়েছে বলে জানিয়েছেন হাসপাতালের ইমার্জেন্সী মেডিক্যাল অফিসার ডা: হাবিব আহমদ।
    প্রত্যক্ষদর্শীরা জানান, বেলা ১টার দিকে নগরীর মিরের ময়দানে বাংলাদেশ বেতারের পাশে বিকট শব্দে পর পর দুটি ককটেল বিস্ফোরণের ঘটনা ঘটে। এ সময় অভিভাবকদের সাথে সিএনজি অটোরিক্সাযোগে ওই এলাকা অতিক্রমের সময় শিশু দুটি আহত হয়। তাৎক্ষনিকভাবে তাদেরকে ওসমানী হাসপাতালের ইমার্জেন্সী বিভাগে নেয়া হয়। পরে শিশু দুটিকে শিশু সার্জারি বিভাগে এবং শহীদ আহমদকে অন্য একটি ওয়ার্ডে ভর্তি করা হয়।
    সিলেট মেট্রোপলিটন পুলিশের এডিসি রহমত উল্যাহ বিভিন্ন স্থানে ককটেল হামলার বিষয়টি নিশ্চিত করে বলেছেন, উদ্ভূত পরিস্থিতিতে নগরীতে বিজিবি ও পুলিশের টহল বাড়ানো হয়েছে।