আমারসিলেট টুয়েন্টিফোর ডটকম,২৬জানুয়ারী,ডেস্ক নিউজঃ তথ্য সচিব মরতুজা আহমদ বলেছেন, দেশের অর্ধেক নারী এবং মোট জনসংখ্যার ৪৫ শতাংশ শিশুকে উন্নয়নের মূল স্রোত ধারায় নিয়ে আসতে হবে। না হলে দেশের কাংঙ্খিত উন্নয়ন সম্ভব হবে না। তাই নারী ও শিশুর জীবনমান উন্নয়নে গণমাধ্যমকে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করতে হবে।
তিনি আজ সিলেটের জেলা পরিষদ মিলনায়তনে জাতীয় গণমাধ্যম ইন্সটিটিউট আয়োজিত সিলেটের বিভিন্ন ইলেকট্রোনিক্স মিডিয়ার সাংবাদিকদের শিশু ও নারী উন্নয়নে যোগাযোগ কার্যক্রম প্রকল্পের আওতায় “ফ্যাক্টস্ ফর লাইফ উইথ ফিল্ড প্র্যাকটিস্” শীর্ষক ৩ দিনব্যাপী কর্মশালার উদ্বোধনী অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথির বক্তব্যে একথা বলেন।
জাতীয় গণমাধ্যম ইন্সটিটিউটের মহা-পরিচালক ড. মোঃ জাহাঙ্গীর হোসেনের সভাপতিত্বে অনুষ্ঠিত উদ্বোধনী অনুষ্ঠানে অন্যান্যদের মধ্যে বক্তব্য রাখেন জাতীয় গণমাধ্যম ইন্সটিটিউটের পরিচালক মোঃ নজরুল ইসলাম, কর্মশালা পরিচালক মঞ্জুরুল আলম, সিলেটের অতিরিক্ত জেলা প্রশাসক শিক্ষা সৈয়দ আমিনুর রহমান, সিলেট বেতারের আ লিক পরিচালক মোঃ ফখরুল ইসলাম, সিলেট তথ্য অফিসের উপ-পরিচালক জুলিয়া জেসমিন মিলি ও সিলেটে কর্মরত ইউনিসেফের প্রতিনিধি সাইদুল হক মিলকি।
তথ্যসচিব আরো বলেন, এলজিডি অর্জনে বাংলাদেশ ব্যাপক সাফল্য অর্জন করেছে, এখন এসজিডি অর্জনের লক্ষে কাজ করে যাচ্ছে। তবে এ লক্ষ্য বাস্তবায়ন করতে হলে নারী ও শিশুর জীবনমান উন্নয়নে সাংবাদিকদের এ বিষয়ে আরো মনোযোগ দিতে হবে। কারণ উন্নয়নের প্রধান পূর্ব শর্ত হচ্ছে শিশু ও নারীর উন্নয়ন।
তিনি বলেন, জাতির দৃষ্টিভঙ্গি পরিবর্তনে ও উন্নত মানসিকতা গঠনে গণমাধ্যম বিশাল ভূমিকা পালন করতে পারে কারণ তারা জনগণকে সচেতন করার প্রধান মাধ্যম। তথ্যসচিব বলেন, সরকার যে সর্বক্ষেত্রে ব্যাপক উন্নয়ন করে যাচ্ছে তার সুফল যাতে জনগণ পেতে পারে সে দায়িত্ব সাংবাদিকদের নিতে হবে। সরকারের উন্নয়নে মিডিয়া সেতু বন্ধন হিসেবে কাজ করলে দেশ ও জাতি দ্রুত এগিয়ে যাবে।
তিনি বলেন, তথ্য প্রযুক্তির যোগে সাংবাদিকরা কীভাবে সাংবিধানিক দায়িত্ব পালন করবেন তার জন্য প্রশিক্ষণের প্রয়োজন রয়েছে। আর প্রশিক্ষণের এ দায়িত্ব তথ্য মন্ত্রণালয়ের অধীন জাতীয় গণমাধ্যম ইন্সটিটিউট পালন করছে। ৩ দিনব্যাপী কর্মশালায় সিলেটে কর্মরত ইলেকট্রোনিক্স মিডিয়ার ২৬জন সাংবাদিক অংশ গ্রহণ করছেন।