সুনামগঞ্জে চাঞ্চল্যকর গণধর্ষন মামলার প্রধান আসামী গ্রেফতার

    0
    210

    আমার সিলেট টুয়েন্টি ফোর ডটকম,২৬ এপ্রিল,সুনামগঞ্জ প্রতিনিধিঃ   সুনামগঞ্জে চা ল্যকর গণধর্ষন মামলার প্রধান আসামী মনিরকে আটক করেছে পুলিশ। গত ২৪শে এপ্রিল সোমবার রাতে সদর উপজেলার জাহাঙ্গীর নগর ইউনিয়নের মঙ্গলকাটা বাজার থেকে গোপন সংবাদের ভিত্তিতে সুনামগঞ্জ সদর থানা একদল পুলিশ সদস্য তাকে আটক করে।

    জিজ্ঞাসাবাদের পর আটককৃত ধর্ষককে জেলহাজতে প্রেরন করেছে সদর থানা পুলিশ। জানা যায়,সামসুল আনোয়ার জুয়েলের মল্লিকপুর আবাসিক এলাকার বাসভবন থেকে ২০এপ্রিল বৃহস্পতিবার রাত ১০টায় মোটর সাইকেলে করে ভিকটিম বাউল শিল্পী সদর উপজেলার গৌরারং ইউনিয়নের বৈঠাখালী গ্রামস্থত বাড়ীতে যান। পথিমধ্যে বৃষ্টিপাত শুরু হলে কুতুবপুর গ্রামস্থত আম্বর পয়েন্টের একটি দোকানে তারা আশ্রয় নেন।

    এসময় ২যুবক ভিকটিমকে অনুশরন করে তার পিছু নেয়। এক পর্যায়ে একটি লাইটেস গাড়ী নিয়ে ৪যুবক ঘটনাস্থলে ছুটে এসে জুয়েলকে এলোপাতাড়ী ভাবে লোহার রডের দ্বারা বেদম মারপিঠ করে গুরুতর আহত করে ছাত্রী সঙ্গীত শিল্পীকে প্রাণে মেরে ফেলার ভয় দেখিয়ে জোরপূর্বক ভাবে লাইটেসে উঠিয়ে নিয়ে অপহরন করে। অপহরনের পর অজ্ঞাত স্থানে নিয়ে গিয়ে ৪জনে মিলে পালাক্রমে ধর্ষন করে ভিকটিম শিল্পীকে। ধর্ষনের পর রাত ৩টা ২০মিনিটে ধর্ষনকারীরা ধর্ষিতাকে লালপুর বাজারে ফেলে রেখে মোবাইল ফোনে ধর্ষিতার বড় বোনকে জানায়। পরে ইউপি সদস্য মহিম উদ্দিনসহ পরিবারের লোকজন ধর্ষিতাকে উদ্ধার করে জেলা সদর হাসপাতালে ভর্তি করেন।

    কর্তব্যরত চিকিৎসকরা উন্নত চিকিৎসার জন্য তাকে সিলেটের এমএজি ওসমানী মিডিকেল কলেজ হাসপাতালে প্রেরণ করেন। পুলিশ ধর্ষনের কাজে ব্যবহৃত একটি লাইটেস উদ্ধার করে। উদ্ধারকৃত লাইটেস গাড়িটির মালিক গৌরারং ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান ফুল মিয়া এবং ধর্ষক চালক চেয়ারম্যানের গাড়ীর ড্রাইভার বলে জানায় পুলিশ।

    এ ঘটনায় ধর্ষিতার পিতা বাদী হয়ে লালপুর গ্রামের মফিকুল ইসলামের পুত্র মনির মিয়া (২৫),আব্দুল হাসিমের পুত্র রুবেল (৩০),আব্দুস সালামের পুত্র শামীম (২২) সহ অজ্ঞাত আরো একজনকে আসামী করে সুনামগঞ্জ সদর মডেল থানায় নারী ও শিশু নির্যাতন আইনের ৭/৯(৩) ধারায় মামলা নং ২২ (জিআর ১৩২/১৭) তাং ২১/৪/২০১৭ইং দায়ের করা হয়।

    সোমবার বিকেলে সদর থানা এসআই কায়েস এর নেতৃত্বে একদল পুলিশ অভিযান চালিয়ে ধর্ষক মনিরকে গ্রেফতার করে। সুনামগঞ্জ সদর থানা ওসি  শহীদুল্লাহ এ ঘটনার সত্যতা স্বীকার করে বলেন,মামলাটি খুবেই জটিল। তবে যত জঠিল হউক না কেন আর এই মামলার আসামীরা যত শক্তিশারী হউক যেকোন মূল্যে সকল গণধর্ষনকারীদেরকে গ্রেফতার করে আদালতে সোপর্দ না করা পর্যন্ত পুলিশী অভিযান অব্যাহত থাকবে।