সুনামগঞ্জ প্রতিনিধিঃ সুনামগঞ্জের দিরাই উপজেলার রফিনগর ইউনিয়নের কালিয়া কুঠা হাওরে নৌকা ডুবির ঘটনায় আরোও ৫জনের মরদেহ উদ্ধার করা হয়েছে। বুধবার (২৫ সেপ্টেম্বর) সকালে ফায়ার সার্ভিসের ডুবুরি দল আরও ৫জনের মরদেহ উদ্ধার করে।তাদের মধ্যে দুই জন শিশু ও তিন জন মহিলা। দু’দিনে ৬ শিশু ও তিন মহিলার লাশ উদ্ধার করা হয়েছে। স্থানিয়দের দাবী আরও দুই জন নিখোঁজ রয়েছে।
দিরাই থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) কে এম নজরুল ইসলাম আরও পাঁচ জনের মরদেহ উদ্ধারকৃতদের পরিচয় নিশ্চিত করে জানান,বুধবার সকালে যাদের উদ্ধার করা হয়েছে তারা হলেন,রফিনগর ইউনিয়নের মাছিমপুর গ্রামের আরজ আলী’র স্ত্রী রইতনু নেছা (৩৫), একই গ্রামের জাসদ মিয়ার মেয়ে শান্তা বেগম (৪),চরনাচর ইউনিয়নের পেরুয়া গ্রামের করিমা বেগম (৬২) ও নোয়ার চর গ্রামের আসাদ মিয়া (৬), আজিজুন বেগম স্বামী আফজল হোসেন নামে একজন মহিলার লাশ উদ্দার করা হয়েছে। এতে করে নৌকা ডুবিতে নিহতের সংখ্যা বেড়ে দাড়ালো ৯ জনে।
প্রথমে প্রাপ্ত তথ্যে এক জন নিখোঁজ রয়েছে বলে জানা যায় পরে দু’ই জন নিখোঁজ রয়েছেন বলে স্বজনরা দাবী করেন, তাদেরকে উদ্ধারে কাজ করছে ফায়ার সার্ভিসের ডুবুরি দল।
সংবাদ লিখা পর্যন্ত সুনামগঞ্জ ফায়ার সাভির্স ডেপোটি এসিসটেন্ড ডাইরেক্টর শফিকুল ইসলাম ভূঁইয়া উদ্ধারের ঘটনা সত্যতা নিশ্চিত করেন। জানান আমাদের উদ্ধার তৎপরতা অব্যাহত আছে।
উল্লেখ,মঙ্গলবার (২৪ সেপ্টেম্বর) সন্ধায় রফিনগরের ইউনিয়নের মাছিমপুর থেকে নৌকায় করে চরনার চর ইউনিয়নের পেরুয়া গ্রামে যাচ্ছিল। এ সময় কালিয়া কুঠা হাওরে ঝড়ের কবলে পড়ে ডুবে যায় নৌকাটি।
গতকাল উদ্ধারকৃত নিহত শিশুরা হল, মাছিমপুর গ্রামের বাবুল মিয়ার ছেলে শামীম (৩), একই গ্রামের বদরুল মিয়ার ছেলে আবিদ (৪), নোয়ারচর গ্রামের আফজালের ছেলে সোহান (২) ও চরনারচর ইউনিয়নের পেরুয়া গ্রামের ফিরোজ আলীর ছেলে আজম (২)।
