সুনামগঞ্জে লাশবাহি এ্যাম্বুলেন্স ভাংচুর

    0
    206

    আমারসিলেট টুয়েন্টিফোর ডটকম,২১ডিসেম্বর,চান মিয়াঃ   সুনামগঞ্জ সদর হাসপাতাল গেটে মঙ্গলবার রাতে এ্যাম্বুলেন্স ভাংচুর ও সন্ত্রাসী হামলায় গুরুতর আহত হয়েছেন চালক শাহ আলম। এনিয়ে এলাকায় চরম অসন্তেুাষ ছড়িয়ে পড়েছে।

    প্রত্যক্ষদর্শী ও হামলার শিকার চালক শাহ আলম (৩৮) জানান, পৌর শহরের হাসননগর সুনলতানপুরের আবেদ আলীর ছেলে নুরুল (২৫) মঙ্গলবার রাতে ৪ থেকে ৫ সহযোগিসহ সদর হাসপাতালের গেটের ভেতর প্রবেশ করে প্রতি লাশের ট্রিপের জন্য শাহ আলমের কাছে ৫’শ টাকা দাবি করে। এর আগের রাতে সদর হাসপাতাল থেকে সিলেটে এমএজি ওসমানী মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে রোগী নিয়ে যাওয়ায় ৫’শ টাকা পরিশোধের চাঁপ দিলে শাহ আলম তা দিতে অস্বীকার করলে তার ব্যাক্তিগত লাশবাহি এ্যাম্বলেন্স (সুনামগঞ্জ-চ-৭১-০০০৭) ভাংচুর করে।

    এতে বাঁধা দিলে শাহ আলমকে নুরুল ও তার সহযোগীরা বেধড়ক পিটিয়ে গুরুতর আহত করে। সুনামগঞ্জ সদর হাসপাতালে চিকিৎসাধীন শাহ আলম বুধবার বিকেলে জানান, আমি গরীব মানুষ কয়েকবছর অন্যত্র চাকুরি করে ও ধারদেনা করে এ্যালেন্সটি কিনে ছিলাম, এটি আমার রুটি রুজির একমাত্র উৎস। কিন্তু তারা সেটিও ভাংচুর করল, এখন থানায় গিয়ে আইনি সহায়তা নিতে গেলে আমার ঘরবাড়ি ভাংচুর ও এলাকা ছাড়া করারও হুমকি দিচ্ছে নুরুল এবং তার সহযোগীরা।

    নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক হাসপাতালের একাধিক কর্মচারি ও এ্যাম্বুলেন্স চালকরা বলেন, নুরুল বেপরোয়া, হাসপাতালের পাশেই তার বাড়ি, প্রায়ই লাশ কিংবা রোগী পরিবাহি চালকদেও নিকট ১’শ ৫০টাকা চাঁদা দাবি করে, মারধোর আর গাড়ি ভাংচুরের ভয়ে অনেকে চাঁদা দিতে বাধ্য হয়।

    সদর মডেল থানার ওসি হারুন অর রশীদ চৌধুরী বলেন, ওই চালক আইনি সহায়তা নিতে চাইলে থানা পুলিশের পক্ষ থেকে তদন্ত সাপেক্ষে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা নেয়া হবে। শাহ আলম পৌর শহরের হাসননগর সুলতানপুরের মৃত আসকর আলীর ছেলে বলে জানা গেছে।