২০১৮ সাল হবে দেশের মানুষের বছরঃখালেদা জিয়া

    0
    208

    আমার সিলেট টুয়েন্টি ফোর ডটকম,০৭জুন,ডেস্ক নিউজঃ   ২০১৮ সাল দেশের মানুষের বছর হবে এবং দেশ থেকে সকল অত্যাচার-অনাচার ও অত্যাচারি বিদায় নেবে বলে মন্তব্য করেছেন বিএনপি চেয়ারপারসন বেগম খালেদা জিয়া।

    মঙ্গলবার সন্ধ্যায় রাজধানীর লেডিস ক্লাবে লিবারেল ডেমোক্রেটিক পার্টি (এলডিপি) আয়োজিত এক ইফতার পার্টিতে তিনি একথা বলেন। খালেদা জিয়া বলেন, ইনশাল্লাহ ২০১৮ সাল হবে জনগনের বছর আমরা বিশ্বাস করি। ২০১৮ সালে দেশ থেকে সব অত্যাচার ও অত্যাচারী বিদায় নেবে। আমরা পবিত্র রমজান মাস এই দোয়া করি।

    প্রস্তাবিত বাজেট সম্পর্কে বিএনপি চেয়ারপারসন বলেন, এই বাজেটে তারা মানুষের পকেটে হাত দিয়েছে। এখন ব্যাংকে যদি ১ লাখ টাকা থাকে, এ থেকে ৮০০ টাকা কেটে নেবে তারা। তাহলে থাকবে কী? তারপরও অর্থমন্ত্রী বলেন, অনেক টাকা থাকবে, যার এক লাখ টাকা আছে সে নাকী অনেক ধনী। অন্যদিকে তাদের ব্যাংকে যে হাজার হাজার কোটি টাকা আছে, সেটা কিছু না। এই হচ্ছে দেশের অবস্থা।

    সরকারের সমালোচনা করে খালেদা জিয়া বলেন, ‌‘বিদ্যুতের দাম, পানির দাম বাড়িয়েছে, প্রতিটি জিনিসের দাম বাড়িয়েছে। এখন কি উন্নয়ন করছে তারা? এতো বিদ্যুৎ দিবে বাংলাদেশ নাকি ঝলমল করবে। কিন্তু এখন ঢাকা শহরেই লোডশেডিং বেড়ে গেছে। সারাদেশ অন্ধকারে। এই হচ্ছে সত্যিকার আওয়ামী লীগের উন্নয়নের নমুনা।’

    দেশের বিচার বিভাগের ওপর নির্বাহী বিভাগের হস্তক্ষেপের কথা তুলে ধরে সাবেক এ প্রধানমন্ত্রী বলেন, আজকে দেশে আইনের শাসন বলে কিছু নাই। মানুষ ন্যায় বিচার পাচ্ছে না। কারণ বিচার বিভাগ নিয়ন্ত্রণ করে এই আওয়ামী লীগ সরকার। এদের হাত এতো লম্বা যে তারা কোথাও হাত দিতে কুণ্ঠাবোধ করে না।

    ব্যাংকিং খাতের কথা উল্লেখ করে খালেদা জিয়া বলেন, ‘২০১৬ সাল ছিল আওয়ামী লীগের ব্যাংক চুরির বছর। ব্যাংকের টাকা চুরি করতে করতে তারা বাংলাদেশ ব্যাংকের টাকাও চুরি করে পাচার করেছে। বাংলাদেশ ব্যাংকের টাকা চুরির ঘটনায় তদন্ত কি হয়েছে কেউ যানে না। সেই তদন্ত রিপোর্ট বাংলাদেশ ব্যাংকে রাখা ছিল। সেখানেও আগুন লাগল।’কেন্দ্রীয় ব্যাংকের অর্থ লুণ্ঠন ঘটনার তদন্ত প্রতিবেদন না দেয়াকে রহস্যজনক বলে মন্তব্য করেন বিএনপি চেয়ারপারসন।

    বেগম খালেদা জিয়া বলেন, ‘এখন পত্রিকা খুললেই দেখা যায় গুম খুন। প্রতিনিয়ত গুম খুনের ঘটনা চলছে। নারী নির্যাতন এতো বেড়ে গেছে যে, ঘরে বাইরে কেউ নিরাপদ নয়। শিশুরাও নিরাপদ নয়। এদের কাছে ভালো কি আশা করবেন, নির্বাচন আসলে তারা এরা সুন্দর সুন্দর কথা বলে, মিথ্যা কথা বলে, অনেক উন্নয়নের ফিরিস্তি দেবে কিন্তু হিসাব চাইলে সেটা তারা মেলাতে পারবে না।’

    ইফতারে মাহফিলে ২০ দলীয় জোট নেতাদের মধ্যে কল্যাণ পার্টির মেজর জেনারেল (অব.) সৈয়দ মুহাম্মদ ইবরাহিম, জাতীয় পার্টি (কাজী জাফর) মোস্তফা জামাল হায়দার, জামায়াতের অধ্যাপক মজিবুর রহমান, ইসলামী ঐক্যজোটের মাওলানা এম এ রকীব, খেলাফত মজলিশের মাওলানা সৈয়দ মজিবুর রহমান, জাগপার  রেহানা প্রধান, খোন্দকার লুৎফর রহমান, এলডিপির সাহাদাত হোসেন সেলিম, আবু ইউসুফ খলিলুর রহমান, আবদুল গনি, এনপিপির ফরিদুজ্জামান ফরহাদ,  মোস্তাফিজুর রহমান মোস্তফা, এনডিপির খন্দকার গোলাম মোর্তুজা, লেবার পার্টির  মোস্তাফিজুর রহমান ইরান, হামদুল্লাহ আল মেহেদি, ন্যাপের জেবেল রহমান গানি,  গোলাম মোস্তফা ভুঁইয়া, বিজেপির আবদুল মতিন সউদ, মুসলিম লীগের এএইচএম কামরুজ্জামান খান, শেখ জুলফিকার বুলবুল চৌধুরী, ন্যাপ-ভাসানীর আজহারুল ইসলাম, সাম্যবাদী দলের সাঈদ আহমেদ, জমিয়তে উলামায়ে ইসলামের মাওলানা মহিউদ্দিন ইকরাম, ডিএল’র সাইফুদ্দিন মনি, ইসলামিক পার্টির আবুল কাশেম প্রমুখ উপস্থিত ছিলেন।পার্সটুডে