৩য় দফায় জাতীয়করণকৃত বিদ্যালয়ে শিক্ষকদের চরম মানবেতর জীবন যাপন

    0
    220

     

    আমারসিলেট টুয়েন্টিফোর ডটকম,ফেব্রুয়ারী শাব্বির এলাহী:

    ৩য় দফায় জাতীয়করণকৃত বিদ্যালয় সমূহে শিক্ষক জাতীয়করণ ঘোষণা না হওয়ায় চরম মানবেতর জীবন যাপন করছেন এসব বিদ্যালয়ের শিক্ষকরাদীর্ঘ কয়েক বছর ধরে কোন ধরনের বেতন-ভাতা না পেয়ে নিয়মিত পাঠদান চালিয়ে গেলেও অভাব অনটনে চলছে তাদের জীবনমৌলভীবাজারের দুটি বিদ্যালয়ের শিক্ষকদের সাথে আলাপকালে তাদের মানবেতর জীবন যাপনের এই চিত্র পাওয়া যায়

    সংশ্লিষ্ট সূত্রে জানা যায়, সারাদেশে প্রাথমিক শিক্ষার মান বৃদ্ধি ও শিক্ষকদের মর্যাদায় প্রধানমন্ত্রী ২০১৩ সালের ৯ জানুয়ারী তিন ধাপে দেশের রেজিষ্টার্ড, রেজিষ্টার্ড বিহীন ও এনজিও পরিচালিত ২৬ হাজার ৫শবিদ্যালয় জাতীয়করণের ঘোষণা দেনপ্রধানমন্ত্রীর ঘোষণা অনুযায়ী ১ম ও ২য় ধাপ শেষে ৩য় ধাপে ২০১৫ সনের ১৯ ফেব্রুয়ারী ৫৯৮টি বিদ্যালয়, ৩০ সেপ্টেম্বর ২৪টি এবং ১০ ডিসেম্বর আরও ২৭টি বিদ্যালয় জাতীয়করণ করা হয়প্রাথমিক ও গণশিক্ষা মন্ত্রণালয়ের একটি প্রজ্ঞাপনে প্রাথমিক বিদ্যালয় অধিগ্রহন আইন ১৯৭৪ এর ৩ (১) ধারায় প্রদত্ত ক্ষমতাবলে ১ জানুয়ারী ২০১৪ সন থেকে এসব বিদ্যালয় সরকারি নিয়ন্ত্রণে আনয়ন করার ঘোষণা দেয়া হয়বিদ্যালয় সমুহ জাতীয়করণ ঘোষণা করা হলেও আজ অবধি শিক্ষক জাতীয়করণের গেজেট বা কোন ঘোষণা দেয়া হয়নিএসব বিদ্যালয়ের শত শত শিক্ষকরা বিদ্যালয় প্রতিষ্ঠাকালীন সময় থেকেই কোন ধরনের বেতন ভাতা ছাড়াই শিক্ষকতা করছেনদীর্ঘদিন ধরে এভাবে ফলে কর্মরত শিক্ষকরা তাদের পরিবার পরিজন নিয়ে চরম মানবেতর জীবন যাপন করছেন৩য় দফায় জাতীয়করণকৃত মৌলভীবাজার সদর এর পশ্চিম দীঘলজি সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক সাবেরা সুলতানা বলেন, ২০০৬ সাল থেকেই কোন ধরনের বেতনভাতা ছাড়াই শিক্ষকতা করছেনতাঁর বিদ্যালয়ে ৪ জন শিক্ষক রয়েছেনসরকার বিদ্যালয়টি জাতীয়করণ ঘোষণা করায় তাঁরা আশায় বুক বেঁধেছেন, কিন্তু এখন পর্যন্ত শিক্ষক জাতীয়করণের কোন গেজেট বা ঘোষণা আসেনিফলে পরিবার পরিজন নিয়ে চরমভাবে তাদের মানবেতর জীবন যাপন করতে হচ্ছেকমলগঞ্জের ধূপাটিলা সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক নূরুল মোক্তাকীন বলেন, ২০০৮ সালে তাঁর বিদ্যালয় প্রতিষ্ঠা করা হয়বিদ্যালয়টি প্রতিষ্ঠাকালীন থেকেই ৪ জন শিক্ষক কর্মরত রয়েছেনতারা সরকারি বিধি অনুযায়ী সার্বক্ষনিক পাঠদান চালিয়ে গেলেও আজোবধি কোন ধরনের বেতন-ভাতা পাচ্ছেন নাফলে দু:খ-কষ্টের মধ্যদিয়েই তারা দিনাতিপাত করছেনশিক্ষকরা বলেন, বিদ্যালয় সমুহ জাতীয়করণ ঘোষণা হলেও দীর্ঘদিন অতিবাহিত হচ্ছে কিন্তু এখনো পর্যন্ত শিক্ষক জাতীয়করনের কোন গেজেট বা ঘোষণা করা হয়নিশীঘ্রই শিক্ষক জাতীয়করণের গেজেট প্রকাশ করে তাদের দুর্ভোগ লাঘবের জন্য সরকারের নিকট তারা জোর দাবি জানান

    এ ব্যাপারে মৌলভীবাজারের জেলা প্রাথমিক শিক্ষা কর্মকর্তা মোঃ সিরাজুল ইসলাম বলেন, ৩য় ধাপে জাতীয়করণকৃত বিদ্যালয়ের শিক্ষক জাতীয়করণে মন্ত্রণালয়ে কার্যক্রম চলছেতবে কখন প্রজ্ঞাপন হবে তা ঠিক বলা যাচ্ছে না