৮ ডিসেম্বর নড়াইলের লোহাগড়া হানাদার মুক্ত দিবস

    0
    268

    নড়াইল প্রতিনিধি:  আজ ৮ ডিসেম্বর নড়াইলের লোহাগড়া হানাদার মুক্ত দিবস। ১৯৭১ সালের ৮ ডিসেম্বর ৮নং সেক্টরের অধীনে লোহাগড়ার বীর মুক্তিযোদ্ধারা সম্মুখ যুদ্ধের মাধ্যমে লোহাগড়া থানাকে হানাদারমুক্ত করেন। লোহাগড়ার বুকে উড়তে থাকায় লাল সবুজের পতাকা।
    মুক্তিযুদ্ধের ইতিহাস ও মুক্তিযোদ্ধাদের নিকট থেকে প্রাপ্ত তথ্যে জানা যায়, ১৯৭১ সালের নভেম্বর মাসের মাঝামাঝি সময়ে বীর মুক্তিযোদ্ধারা সমগ্র উত্তর অ ল শত্রুমুক্ত করেন। এর পর মুক্তিযোদ্ধারা দক্ষিণা লের প্রবেশদ্বার লক্ষ্মীপাশায় অবস্থিত থানা আক্রমনের চূড়ান্ত পরিকল্পনা গ্রহণ করেন। ৮ডিসেম্বর ফজরের আযানের পর ভোর ৫টার দিকে তৎকালীন মুক্তিযোদ্ধা কমান্ডার শেখ ইউনুস আলী, লোহাগড়া থানা মুজিব বাহিনীর প্রধান সাবেক সংসদ সদস্য মরহুম শরীফ খসরুজ্জামান, আবুল হোসেন খোকন, কবির হোসেনের নেতৃত্বে দু’শতাধিক বীর মুক্তিযোদ্ধা বিপুল পরিমাণ অস্ত্র-শস্ত্র নিয়ে গেরিলা কায়দায় পশ্চিম দিক দিয়ে থানা আক্রমন করেন। মুক্তিযোদ্ধাদের পরিকল্পিত আক্রমণে পাক বাহিনীর রেঞ্জার সদস্যরা হতভম্ব হয়ে পড়েন।
    এ সময় থানায় অবস্থানরত রেঞ্জার বাহিনীর সদস্যরা অস্ত্র গোলাবারুদ ফেলে থানার পূর্ব দিক দিয়ে পালিয়ে যায়। শুরু হয় মুক্তিযোদ্ধা ও পাক বাহিনীর মধ্যে যুদ্ধ। পাঁচঘন্টা ব্যাপী যুদ্ধ চলাকালে থানা অভ্যন্তরে সম্মুখ যুদ্ধে শহীদ হন লোহাগড়া উপজেলার কোলা গ্রামের হাবিবুর রহমান ও যশোর সদর উপজেলার জঙ্গল-বাঁধাল গ্রামের মোস্তফা কামাল। হাবিবুর রহমানকে থানা অভ্যন্তরে ও মোস্তফা কামালকে ইতনা স্কুল এ্যান্ড কলেজ চত্বরে দাফন করা হয়।

    লোহাগড়া উপজেলা মুক্তিযোদ্ধা সংসদের সহকারী কমান্ডার(দপ্তর) শেখ আঃ হান্নান জানান, লোহাগড়া মুক্ত দিবস উপলক্ষে রবিবার জাতীয় ও মুক্তিযুদ্ধের পতাকা উত্তোলণ, বঙ্গবন্ধুর প্রতিকৃতিতে মাল্যদান, মুক্তিযোদ্ধাদের কবর জিয়ারত র‌্যালি, আলোচনাসভা, দোয়া মাহফিল,শহীদদের কবর জিয়ারত করা হবে।
    বীরমুক্তিযোদ্ধা রাজীব মিনা জানান , লোহাগড়া মুক্ত দিবস উপলক্ষে ইতনা গ্রামে আলোচনা সভা ও দোয়া মাহফিলের আয়োজন করা হয়েছে। এই কর্মসূচিতে শহীদ মোস্তফা কামালের বৃদ্ধ মা ও পরিবারের সদস্যরা উপস্থিত থাকবেন।