আমারসিলেট24ডটকম,১৬ডিসেম্বরঃ রাজধানি ঢাকা সহ সারাদেশে কোটি মানুষের কণ্ঠ একসাথে গেয়ে উঠলো স্বাধীন বাংলাদেশের জাতীয় সঙ্গীত- আমার সোনার বাংলা, আমি তোমায় ভালবাসি…। মহান বিজয় দিবর উপলক্ষে আজ সোমবার বিকেল ৪টা ৩১ মিনিটে শাহবাগের স্বাধীনতা প্রজন্ম চত্বরের গণজাগরণ মঞ্চসহ বিভিন্ন সংগঠনের সম্মিলিত আয়োজনে রাজধানীর সোহরাওয়ার্দী উদ্যান থেকে বিশ্বের সর্বাধিক মানুষের কন্ঠে একসাথে জাতীয় সঙ্গীত পরিবেশণ করা হয়। ঐতিহাসিক সোহরাওয়ার্দী উদ্যানের যে স্থানটিতে ১৯৭১ সালের ১৬ ডিসেম্বর তারিখের যে সময় পাকিস্তানি হানাদার বাহিনী আত্মসমর্পন করে, ঠিক সে মুহুর্তেই সেই স্থান থেকে লাখো কণ্ঠে উচ্চারিত হয় বাঙালির প্রাণের স্পন্দন এ জাতীয় সঙ্গীতটি।
আজ সোমবার বিকেল ৪টা ৩১ মিনিটে রাজধানীর সোহরাওয়ার্দী উদ্যানে সমবেত মানুষেরা একসঙ্গে পরম আবেগে সমবেত কণ্ঠে উঠলেন- ‘আমার সোনার বাংলা, আমি তোমায় ভালোবাসি। সমবেত কণ্ঠে দেশপ্রেম জাগানিয়া এ জাতীয় সঙ্গীত গাওয়ার সময় আবেগে আপ্লুত হয়ে পড়েন বীর বাঙালি জাতি। ১৯৭১ সালের ১৬ ডিসেম্বর, ৪টা ৩১ মিনিটে পাকিস্তানি হানাদার বাহিনীর আত্মসমর্পণের মাধ্যমে উদিত হয় এ দেশের স্বাধীনতার রক্তিম সূর্য। আর এ কারণে জাতীয় সংগীত গাইবার জন্য এ সময়টিকেই বেছে নেয়া হয়। এর পর দেশের স্বাধীনতা সার্বভৌমত্ব রক্ষায় রাজাকার ও যুদ্ধাপরাধ মুক্ত দেশ গড়ার শপথ নেয়া হয়।
একই সময় সারা বাংলার গ্রাম-গঞ্জ, হাট-বাজার, উপজেলা, জেলা ও বিভাগীয় শহরে যে যেখানে আছেন, সেখান থেকেই একইসময় জাতীয় সঙ্গীত গেয়েছেন। এছাড়া দেশের বাইরে বসবাসরত সব বাংলাদেশি নাগরিক বিশ্বের সব বড় শহর থেকে মূল অনুষ্ঠানের সঙ্গে যোগ দিয়েছেন। যে যেখানেই ছিলেন সেখান থেকেই জাতীয় সঙ্গীতে সুর মিলিয়েছেন।অনুরূপ বৃহত্তর সিলেটের শ্রীমঙ্গল উপজেলা শহরের চৌমুহনা চত্তরেও গণজাগরণ মঞ্চের বেনারে “স্বাধীনতার চেতনা হারিয়ে যেতে দিবনা” এই শ্লোগানে বিভিন্ন সংগঠনের নেতা কর্মীরা ৪টা ৩১ মিনিটে জাতীয় সঙ্গীত পরিবেশ করে। শহরের বিভিন্ন রাস্তা প্রদক্ষিণ শেষে র্যালী সমাপ্ত করে।