আমারসিলেট24ডটকম,০৭এপ্রিলঃ আজ ৭ এপ্রিল সোমবার, বিশ্ব স্বাস্থ্য দিবস-২০১৪। বিশ্বের অন্যান্য দেশের মতো বংলাদেশেও বিস্তারিত কর্মসূচীর মাধ্যমে যথাযোগ্য মর্যাদায় দিবসটি পালন করা হবে। দিবসটির এবারের প্রতিপাদ্য “মশা মাছি দূরে রাখিঃরোগ বালাই মুক্ত থাকি”। এ উপলক্ষ্যে রাষ্ট্রপতি এডভোকেট মোঃ আবদুল হামিদ ও প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা আলাদা আলাদা বাণী দিয়েছেন। রাষ্ট্রপতি তার বাণীতে দেশে মশা মাছি বাহিত রোগ প্রতিরোধে জনসচেতনতা বাড়ানোর ওপর গুরুত্বারোপ করেছেন। তিনি বলেন, জনগণের মধ্যে ব্যাপক সচেতনতা সৃষ্টির মাধ্যমে ২০১৫ সালের মধ্যে বাংলাদেশ হতে মশা-মাছি বাহিত রোগ প্রতিরোধ করা সম্ভব।মোঃ আবদুল হামিদ বিশ্বের অন্যান্য দেশের মতো বাংলাদেশেও বিশ্ব স্বাস্থ্য দিবস-২০১৪ পালনের উদ্যোগকে স্বাগত জানান।
তিনি বলেন, জনগণের দোরগোড়ায় স্বাস্থ্যসেবা পৌঁছে দিতে বর্তমান সরকার বদ্ধপরিকর। সে লক্ষ্যে সরকার স্বাস্থ্যসেবা উন্নয়নে নানামুখী কর্মসূচি বাস্তবায়ন করছে।এর ফলে জনগণের গড় আয়ু বেড়েছে, মাতৃ ও শিশুস্বাস্থ্য উন্নয়নে ব্যাপক সাফল্য অর্জিত হয়েছে এবং সংক্রামক রোগের প্রাদুর্ভাব নিয়ন্ত্রণে এসেছে।রাষ্ট্রপতি বলেন, মশা-মাছি বাহিত রোগ নির্মূল করতে বিশ্ব স্বাস্থ্য দিবসের এবারের প্রতিপাদ্য “মশা মাছি দূরে রাখিঃরোগ বালাই মুক্ত থাকি” অত্যন্ত সময়োপযোগী হয়েছে। তিনি বলেন, মশা-মাছির মাধ্যমে মানবদেহে সংক্রমিত ম্যালেরিয়া, ডেঙ্গু, ফাইলেরিয়া এবং কালাজ্বর উল্লেখযোগ্য হারে নিয়ন্ত্রণে এসেছে। তিনি বিশ্ব স্বাস্থ্য দিবস-২০১৪ উপলক্ষে গৃহীত সকল কর্মসূচির সাফল্য কামনা করেন।
একইভাবে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা তার বাণীতে দেশের স্বাস্থ্যখাতের উন্নয়নে সরকারের পাশাপাশি বেসরকারি ব্যক্তি, সংস্থা ও প্রতিষ্ঠানসহ সংশ্লিষ্ট সকলকে এগিয়ে আসার আহ্বান জানিয়েছেন। বিশ্বের অন্যান্য দেশের ন্যায় বাংলাদেশেও বিশ্ব স্বাস্থ্য দিবস পালন করা হচ্ছে জেনে সন্তোষ প্রকাশ করে শেখ হাসিনা বলেন, আমি মনে করি দিবসটির এবারের প্রতিপাদ্য ‘মশা মাছি দূরে রাখি : রোগবালাই মুক্ত থাকি’ যা অত্যন্ত সময়োপযোগী হয়েছে ।প্রধান মন্ত্রী বলেন , সারা বিশ্বে বর্তমানে শতকরা ১৭ ভাগ সংক্রামক রোগই বাহক বাহিত। ভৌগোলিক অবস্থান ও পরিবেশ দূষণের কুপ্রভাবে বিশ্বের বিভিন্ন অঞ্চলে এ সকল বাহক বাহিত রোগের প্রাদুর্ভাব লক্ষ্য করা যায়। তিনি বলেন, অবস্থান ও পরিবেশগত কারণে বাংলাদেশ ম্যালেরিয়া, ডেঙ্গুজ্বর, ফাইলেরিয়া, কালাজ্বর ইত্যাদি অতি পরিচিত বাহক বাহিত রোগ বিস্তারের ক্ষেত্রে অনুকূল একটি দেশ।এ সকল রোগ প্রতিরোধে পরিকল্পিত ও সমন্বিত ব্যবস্থাপনা এবং ব্যাপক জনসচেতনতা কার্যকর ভূমিকা রাখতে পারে বলে শেখ হাসিনা জনান।
তিনি বলেন, স্বাস্থ্যখাতে আমাদের সাফল্য বিশ্ব স্বীকৃত। আমরা চিকিৎসাসেবা জনগণের দোরগোড়ায় পৌঁছে দিয়েছি। দেশব্যাপী কমিউনিটি ক্লিনিক চালু করেছি। উপজেলা ও জেলা হাসপাতালের শয্যাসংখ্যা বৃদ্ধি করেছি।দেশে বিশেষায়িত হাসপাতাল ও বিশেষায়িত চিকিৎসাসেবা বহুগুণে বৃদ্ধি করা হয়েছে উল্লেখ করে প্রধানমন্ত্রী বলেন, দেশে নতুন নতুন মেডিক্যাল কলেজ স্থাপন করা হয়েছে। সংক্রামক রোগ নিয়ন্ত্রণ ও চিকিৎসায় আমরা ব্যাপক সফলতা অর্জন করেছি। স্বাস্থ্যখাতে আমাদের নেয়া পদক্ষেপের সুফল এখন জনগণ পাচ্ছেন। শেখ হাসিনা বলেন, আমাদের গড় আয়ু বৃদ্ধি পেয়েছে। শিশু ও মাতৃস্বাস্থ্য উন্নয়নে অভূতপূর্ব সাফল্য অর্জিত হওয়ায় জাতিসংঘসহ বিভিন্ন আন্তর্জাতিক সংস্থা আমাদেরকে পুরস্কৃত করছে। তিনি তার বাণীতে বিশ্ব স্বাস্থ্য দিবস উপলক্ষে গৃহীত সকল কর্মসূচির সার্বিক সাফল্য কামনা করেন।