স্বাধীনতা দিবসে জাতি আজ বিনম্র শ্রদ্ধা ও কৃতজ্ঞতায় স্মরণ করছে বীর সন্তানদের। সাভারের জাতীয় স্মৃতিসৌধের বেদি ভরে উঠেছে ফুলে ফুলে। একাত্তরের পরাজিত শক্তি রাজাকার-আলবদরদের প্রতিহত করার দৃঢ়প্রত্যয় এবং যুদ্ধাপরাধীদের শাস্তি কার্যকর করার দাবি সবার মুখে।
আজ মঙ্গলবার স্বাধীনতার ৪২তম বার্ষিকী উদযাপন করছে বাংলাদেশ। সকালে স্বাধীনতাযুদ্ধের শহীদদের প্রতি জাতীয় স্মৃতিসৌধে ফুল দিয়ে শ্রদ্ধা জানিয়েছেন অস্থায়ী রাষ্ট্রপতি আবদুল হামিদ ও প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা। সশস্ত্র বাহিনীর একটি চৌকস দল এ সময় গার্ড অব অনার প্রদান করে। মন্ত্রিসভার সদস্য, বিদেশি কূটনীতিকেরা এ সময় উপস্থিত ছিলেন।
এরপর শেখ হাসিনা আওয়ামী লীগের সভানেত্রী হিসেবে বীর শহীদদের প্রতি ফুল দিয়ে শ্রদ্ধা জানান। এ সময় তাঁর সঙ্গে মন্ত্রিপরিষদের সদস্য ও আওয়ামী লীগের জ্যেষ্ঠ নেতারা ছিলেন।
পরে বাংলাদেশের ওয়ার্কার্স পার্টির সভাপতি কমরেড রাশেদ খান মেনন এমপি ও সাধারণ সম্পাদক কমরেড আনিসুর রহমান মল্লিক দলীয় নেতা-কর্মীদের নিয়ে জাতীয় স্মৃতিসৌধে ফুল দিয়ে শ্রদ্ধা জানান।
এরপরবিরোধীদলীয় নেতা খালেদা জিয়া জাতীয় স্মৃতিসৌধে ফুল দিয়ে শ্রদ্ধা জানান।
এরপর সর্বস্তরের মানুষের শ্রদ্ধা নিবেদনের জন্য স্মৃতিসৌধ উন্মুক্ত করে দেওয়া হয়। সকাল থেকেই সেখানে মানুষের ঢল নেমেছে। শিশু থেকে বৃদ্ধ—সবাই গেছেন স্বাধীনতাযুদ্ধের বীর সন্তানদের বিনম্র শ্রদ্ধায় স্মরণ করতে।
সাভারে জাতীয় স্মৃতিসৌধে শ্রদ্ধা নিবেদন শেষে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা ধানমন্ডির ৩২ নম্বরে বঙ্গবন্ধুর প্রতিকৃতিতে ফুল দিয়ে শ্রদ্ধা জানান। পরে আওয়ামী লীগের সভানেত্রী হিসেবে তিনি শ্রদ্ধা জানান। সকাল থেকে দলীয় নেতা-কর্মীসহ অনেক শ্রেণী-পেশার মানুষ বঙ্গবন্ধুর প্রতি শ্রদ্ধা জানাতে জড়ো হন ধানমন্ডির ৩২ নম্বরে।
রাজধানীতে ভোরে ৩১ বার তোপধ্বনির মধ্য দিয়ে স্বাধীনতা দিবসের সূচনা হয়।
এ ছাড়া যথাযোগ্য মর্যাদায় স্বাধীনতা ও জাতীয় দিবস উদযাপন উপলক্ষে বরাবরের মতোই এবারও সরকারি ও বেসরকারি পর্যায়ে সারা দেশে ব্যাপক কর্মসূচি নেওয়া হয়েছে।
সকালে বঙ্গবন্ধু জাতীয় স্টেডিয়ামে শুরু হয়েছে শিশু-কিশোর সমাবেশ ও কুচকাওয়াজ। প্রধানমন্ত্রী এতে প্রধান অতিথি হিসেবে উপস্থিত আছেন। এ ছাড়া বিভিন্ন রাজনৈতিক দল, শ্রমজীবী, পেশাজীবী, সামাজিক ও সাংস্কৃতিক সংগঠন তাদের নিজ নিজ কর্মসূচি পালন করছে।