আমারসিলেট টুয়েন্টিফোর ডটকম,২৬মার্চঃ ৩২৯ রান তাড়া করে ম্যাচ জিততে হলে রেকর্ড গড়তে হতো ভারতকে। সেই ইতিহাস গড়ার পথে এসে বারবার হোঁচট খেয়েছে ভারত। ১৭৮ রানে পঞ্চম উইকেট হারিয়েছে দলটি। পঞ্চম ব্যাটসম্যান হিসেবে আউট হয়েছে রাহানে। মিচেল স্টার্কের বলে হ্যাডিনের হাতে ক্যাচ দেন ৪৪ রান করা রাহানে।
দুই ওপেনার রোহিত শর্মা ও শেখর ধাওয়ান ভালোই শুরু এনে দিয়েছেন দলকে।অস্ট্রেলিয়াকে ব্রেক থ্রু এনে দেন হ্যাজেলউড। দলীয় ৭৬ রানে শেখর ধাওয়ান ম্যাক্সওয়েলের হাতে ক্যাচ দেন। ধাওয়ান ৪৫ রান করেন। ২ রান পর কোহলিও (১) ফেরত যান। জনসনের বলে উইকেটের পেছনে হ্যাডিনের হাতে ধরা পড়েন তিনি। সেট হয়েও উইকেটে ইনিংস লম্বা করতে পারেননি রোহিত শর্মা। জনসনের বলে বোল্ড হন তিনি ৩৪ রান করে। দলীয় ১০৮ রানে রায়না (৭) ফকনারের শিকার হলে চতুর্থ উইকেট হারায় ভারত।
পঞ্চম উইকেটে দলের হাল ধরেন অধিনায়ক ধোনি ও রাহানে।৭০ রানের জুটি গড়েন তারা। সেই জুটি ভাঙেন স্টার্ক রাহানেকে আউট করে।
৫৩ বলে হাফ সেঞ্চুরি ও ৮৯ বলে ১০০ রান করেন স্মিথ। দ্বিতীয় উইকেটে ফিঞ্চের সঙ্গে ১৮২ রানের জুটি গড়েন তিনি। ভারতকে ব্রেক থ্রু এনে দেন যাদব। রোহিত শর্মার হাতে ক্যাচ দেওয়ার আগে স্মিথ ৯৩ বলে ১০৫ রানের (১১ চার, ২ ছয়) ঝকঝকে ইনিংস খেলেন। সপ্তম হাফ সেঞ্চুরি করেছেন অ্যারন ফিঞ্চও। শুরু থেকে একটু ধীরলয়ে খেলা ফিঞ্চের হাফ সেঞ্চুরি এসেছে ৮২ বলে।
ম্যাক্সওয়েলর ব্যাটিং ঝড় লম্বা হয়নি। দলীয় ২৩২ রানে ম্যাক্সওয়েল অশ্বিনের শিকার হন। তিনি ১৪ বলে ২৩ রান করেন। ১ রান পরই ফিঞ্চ ফিরেন যাদবের বলে। তিনি ১১৬ বলে ৮১ রান (৭ চার, ১ ছয়) করেন। ছয় নম্বরে ব্যাটিংয়ে নামা অধিনায়ক মাইকেল ক্লার্কও দ্রুত ফিরলে চাপে পড়ে যায় অস্ট্রেলিয়া। সাড়ে তিনশো রানের সম্ভাবনা সেখানেই নষ্ট হয়। ক্লার্ক ১০ রান করেন। ওয়াটসন-ফকনারের ৩৬ রানের জুটিতে চাপ কাটায় স্বাগতিকরা।
ফকনার ১২ বলে ২১, ওয়াটসন ২৮ রান করেন। শেষ দিকে মিচেল জনসনের ঝড়ো ব্যাটিং ৯ বলে ২৭ রানের ক্যামিও হতাশ করে ভারতকে। যাদব ৪টি, মোহিত শর্মা ২টি করে উইকেট নেন।