আমারসিলেট টুয়েন্টিফোর ডটকম,২৯মার্চ,আলী হোসেন রাজন,মৌলভীবাজারঃ মৌলভীবাজার শহরের বিভিন্ন এলাকায় গত কয়েক ঘন্টার বৃষ্টিতে জলাবদ্ধতার সৃষ্টি হয়েছে। দূর্ভোগে পড়েছে, শিক্ষার্থী, শিশু, বৃদ্ধসহ পৌর নাগরিকরা। দেখার যেনো কেউ নেই। এরপরও মৌলভীবাজার পৌরসভাটি ‘এ’ গ্রেডের বলে দাবি করা হয়।
নিয়মিত পৌরকর দিলেও এবিষয়ে জনপ্রতিনিধিরা চুপ। তাঁরা ব্যস্ত বাসা-বাড়ি, দোকানপাটের কর বাড়ানো আর খবরদারীতে। যেনো সব আইন জনপ্রতিনিধিদের জন্য তৈরী হয়েছে। সাধারণ মানুষ শুধু দিনের পর দিন তা মুখ বুঁজে সহ্য করে আসছে। এযেনো তাঁদের কপালের লিখন।
একটু বৃষ্টিতেই শহরের বিভিন্ন এলাকা দুই তিন ফুট পানিতে নিমজ্জিত হয়ে পড়ে। রোববার সকাল থেকে থেমে থেমে বৃষ্টি হচ্ছে কিন্তু এই বৃষ্টিতেই শহরের ধরকাপন, শেখের গাঁও, গোবিন্দশ্রী এলাকায় বাসাবাড়ি, রাস্তাঘাট, দোকানপাট ও বস্তিতে পানি ওঠে গেছে। লোকজন পড়েছে মারাত্মক ভোগান্তিতে। এটি দেখার কেউ নেই। এলাকার কাউন্সিলর ও মেয়র নাকে তেল দিয়ে ঘুমাচ্ছেন।
ধরকাপন এলাকার হাছান আহমদ রাজা জানান, এগুলো দেখার কেউ নেই। রাস্তাঘাট চলাচলের অযোগ্য হয়ে পড়েছে। বস্তি এলাকায় মানুষ চরম দূর্ভোগে পড়েছেন। অফিস-আদালতে পানি ভেঙে যেতে হচ্ছে। শিক্ষার্থীদের অনেকেই স্কুলে যাওয়া বন্ধ রেখেছেন।
পানি ওঠেছে পশ্চিম গীর্জাপাড়ার কিছু বাসাবাড়িতে। কিন্তু দেখার কেউ নেই।
এই অবস্থা গত কয়েক বছরের। পৌরসভার বিগত সময়ের মেয়র ফয়জুল করিম ময়ূন এই সমস্যার সমাধান করতে পারেন নি। কিন্তু পৌরসভার কর্মকর্তা-কর্মচারীর বেতন-ভাতা পরিশোধ করতে নাগরিকের উপর কর বৃদ্ধি করেছেন। তার বিপরীতে নাগরিক সুবিধা এতটুকুও বাড়েনি বলে অভিেেযাগ করেছেন নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক অনেকেই।
পূর্বের মেয়রের ধারাবাহিকতা রক্ষা করছেন বর্তমান মেয়র ফজলুর রহমান। তিনিও শুধু খাল খননে ও পরিস্কারে ব্যস্ত। মেয়র গণমাধ্যমকে বলেছেন, এই সমস্যা সহসাই সমাধান হবার নয়।
তাঁর মানে এই দাঁড়ায় নাগরিকরা দূর্ভোগ পোহাবে আর জনপ্রতিনিধিরা শুধু লোক দেখানো কাজ করবে এবং প্রকৃতির উপর দোষ চাপাবে। এই দূর্ভোগ থেকেই রেহাই পেতে চায় এ গ্রেড পৌরসভার নাগরিকরা।