আমারসিলেট টুয়েন্টিফোর ডটকম,০১নভেম্বর,নড়াইল প্রতিনিধিঃ নড়াইল সদরের শাহাবাদ ইউনিয়নের দলজিতপুর গ্রামে যৌতুকের দাবিতে গৃহবধূ সুমি সরকারকে (২৪) হত্যা করা হয়েছে বলে অভিযোগ পাওয়া গেছে। ময়নাতদন্তের জন্য লাশ বুধবার (১ নভেম্বর) সকালে নড়াইল সদর হাসপাতাল মর্গে পাঠানো হয়েছে। মঙ্গলবার সন্ধ্যায় তার মৃত্যু হয়।
পারিবারিক সূত্রে জানা যায়, নয় বছর আগে দলজিতপুর গ্রামের শ্যামল শীলের ছেলে গোবিন্দ শীলের সঙ্গে নড়াইল সদরের হবখালী ইউনিয়নের বাগডাঙ্গা গ্রামের সুকুমার সরকারের মেয়ে সুমির বিয়ে হয়। তাদের দাম্পত্য জীবনে দীপ্ত ৭ বছরের পুত্র সন্তান রয়েছে।
সুমির ভাই উজ্জ্বল সরকার বলেছেন, বিয়ের পর থেকে গোবিন্দ প্রায়ই যৌতুকের দাবি করে আসছিলো। এ কারণে সুমিকে প্রায়ই শারীরিক এবং মানসিক নির্যাতন করত গোবিন্দ ও তার পরিবারের লোকজন। বোনের সংসারে সুখের কথা ভেবে গোবিন্দকে বিভিন্ন সময়ে স্বর্ণাংলকারসহ প্রায় পাঁচ লাখ টাকা যৌতুক দিয়েছি। তবুও সুমির ওপর নির্যাতন থেমে থাকেনি। এক পর্যায়ে গত রোববার (২৯ অক্টোবর) যৌতুকের জন্য সুমিকে আবারো চাপ দেয় গোবিন্দ।
সুমি যৌতুক আনতে অপারগতা প্রকাশ করলে গোবিন্দ তাকে শারীরিক নির্যাতন করে। এতে সে অসুস্থ হয়ে পড়লে তাকে চিকিৎসার নাম করে নড়াইল শহরের নিশিনাথতলায় গোবিন্দের এক ভগ্নিপতির ভাড়াবাসায় নিয়ে আসে। সেখানে বিনা চিকিৎসায় মঙ্গলবার সন্ধ্যায় সুমি মারা যায়। পরে তাকে ঘরের মধ্যে গলায় রশি দিয়ে ঝুলিয়ে রাখা হয়। আমরা এ হত্যাকান্ডের সুষ্ঠু বিচার চাই।
নড়াইল সদর থানার অফিসার ইনচার্জ দেলোয়ার হোসেন বলেছেন, এটি হত্যা না আত্মহত্যা তা খতিয়ে দেখা হচ্ছে। এ ছাড়া ময়নাতদন্ত প্রতিবেদন পাওয়ার পর বিষয়টি জানা যাবে এবং সে মোতাবেক প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা নেওয়া হবে ।