চুনারুঘাট প্রতিনিধিঃ হবিগঞ্জর চুনারুঘাট উপজেলার সীমান্ত এলাকা দুধপাতিল গ্রামের মুহুরী ছড়ার অদুরে সাল বাগান থেকে তামান্না আক্তার প্রিয়া (১৪) নামের এক কিশোরীর লাশ উদ্ধার করেছে পুলিশ। সে গাজীপুর ইউনিয়নের দুধপাতিল গ্রামের আঃ হান্নানের মেয়ে।
তামান্নার পিতা মুদি ব্যবসায়ী হান্নান মিয়া জানান আমি প্রতিদিনের ন্যায় দোকানে চলে আসি সোমবার রাত অনুমান ৮টার সময় হটাৎ তার ভাবী জুবেদা খাতুন ফোন দিয়ে জানায় তামান্নাকে খুজে পাওয়া যাচ্ছেনা এরপর তিনি তড়িগড়ি করে দোকান বন্ধ করে তামান্নাকে খুজতে বের হন।
পিতা হান্নান তার আত্মীয় স্বজনসহ সম্ভাব্য স্থানে খোঁজাখুঁজি করে তাকে কোথাও পাওয়া যায়নি। (৮অক্টোবর) মঙ্গলবার ১১টায় দুধপাতিল মহুরী ছড়ার পাশে বন্দের বাজার পশ্চিমে সালবাগানে একটি মৃতদেহ পড়ে থাকতে দেখে স্থানীয় লোকজন পুলিশকে খবর দেয়।
খবর পেয়ে চুনারুঘাট থানার এস আই মোস্তফা কামালের নেতৃত্বে একদল পুলিশ স্থানীয় লোকজনের সহযোগিতায় মৃত দেহটি উদ্ধার করে থানায় নিয়ে আসেন। সংবাদ পেয়ে মাধবপুর সার্কেল সহকারী সিনিয়র পুলিশ সুপার মোঃ নাজিম উদ্দিন ও চুনারুঘাট থানার ওসি শেখ নাজমুল হক ঘটনাস্থল পরিদর্শন করেন।
স্থানীয় সুত্রে জানা যায়, আঃ হান্নানের দুটি সন্তান সাত বছরের ছোট ছেলে ও তামান্নাকে বাড়িতে একা ফেলে মাতা সেলিনা বেগম দালাল চক্রের মাধ্যমে দেড় বছর পুর্বে জীবিকা নির্বাহের জন্য সৌদি আরব চলে যান। এর পর থেকে একা হয়ে পড়ে তার দুটি সন্তান বাবা আব্দুল হান্নান সবসময় থাকেন বাহিরে তাদের দেখার মত কেহ নেই ।
একদিকে পিতার ব্যস্ততা আর মাতা প্রবাসে থাকায় তারা দুজন অসহায় হয়ে পড়ে।
অপর একটি সুত্রে জানায়, তামান্নাকে বিদেশ পাঠাতে ছেয়েছিল তার পরিবারের লোকজন, এ নিয়ে তার পরিবারে দেন দরবার চলে আসছিল । বিষয়টি নিয়ে স্থানীয়দের মাঝে চলছে নানা প্রশ্ন, কেউ বলছেন বিদেশ পাঠানোর নামে তাকে কোন দালাল চক্র ধর্ষনের পর হত্যা করতে পারে, আবার কেউ বলছেন কোন প্রেম গঠিত বিষয় নিয়ে এ ঘটনা হতে পারে । এনিয়ে উপজেলায় চলছে নানা গুঞ্জন।
চুনারুঘাট থানার ওসি শেখ নাজমুল হক ঘটনার সত্যতা স্বীকার করে জানান, প্রাথমিক ভাবে ধারনা করা হচ্ছে মেয়েটিকে ধর্ষনের পর শ্বাসরোদ্ধ করে হত্যা করা হয়েছে। এ ঘটনায় আমরা তিন জনকে আটক করেছি , জিজ্ঞাসাবাদ চলছে। মামলার তদন্তকারী কর্মকর্তা এস আই শেখ আলী আজহার জানান, তামান্নার সুরতহাল রিপোর্টে প্রাথমিক অবস্থায় ধর্ষনের আলামত ও তার বাম গালে কামড়ের দাগ রয়েছে। লাশ মর্গে পাঠানো হয়েছে ।ময়নাতদন্তের রিপোর্ট পেলে ঘটনার মুল রহস্য উদঘাটন করা সম্ভব হবে এবং আমাদের তদন্ত অব্যাহত থাকবে।