এম এম সামছুল ইসলাম, জুড়ী (মৌলভীবাজার): ” তোমরা পলো বাওগো ঝাপাইয়া ঝোপাইয়া, রুই কাতলা বাউস আর বোয়ালের লাগিয়া “হেমন্ত কাল মাছ ধরার এক মওসুম। পেশাধার মাছ শিকারীরা বার মাস মাছ ধরার কাজে নিয়োজিত থাকেন। তবে সৌখিন মৎস্য শিকারীদের মাছ ধরার মোক্ষম সময় হেমন্ত শীত কাল। বর্ষি, জাল ছাড়াও মাছ ধরার অন্যতম উপাদান হচ্ছে পলো। সম্মিলিত ভাবে পলো দিয়ে মাছ ধরা একটি উৎসবও বটে। হেমন্তের শেষ দিন রোববার (১৫/১২) সেরকম একটি উৎসব হয়ে গেল মৌলভীবাজারের জুড়ীতে।
উপজেলার কন্টিনালা নদীতে শুরু হয় পলো বাওয়া। শতশত পেশাধার, সৌখিন ও মাছ শিকারীরা পলো নিয়ে ঝাপিয়ে পড়েন নদীতে। কন্টিনালা সেতু থেকে শুরু করে রাবারড্যাম পর্যন্ত দীর্ঘ ৫কিলোমিটার এলাকা জুড়ে পলো দিয়ে মাছ ধরা। মনোরম সে দৃশ্য উপভোগ করতে স্থানীয় বাসিন্দাদের পাশাপাশি দুরদুরান্তের হাজার হাজার আবাল-বৃদ্ধ-বণিতা নদীর দু তীরে ভীড় জমান।
এ সময় সবার মধ্যে বিপুল উৎসাহ-উদ্দীপনা-উৎসব আমেজ পরিলক্ষিত হয়। উপজেলা চেয়ারম্যান বীর মুক্তিযোদ্ধা এম এ মোঈদ ফারুক, উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা অসীম চন্দ্র বনিক, জায়ফরনগর ইউপি চেয়ারম্যান মাছুম রেজা শুরু থেকে শেষ পর্যন্ত পলো বাওয়া উৎসব পর্যবেক্ষণ করেন।