জুড়ী (মৌলভীবাজার) সংবাদদাতাঃ “তোমরা পলো বাওগো যাপাইয়া ঝোপাইয়া, রুই কাতলা আর বোয়ালের লাগিয়া”। হেমন্ত কাল মাছ ধরার এক মওসুম। পেশাধার মাছ শিকারীরা বার মাস মাছ ধরার কাজে নিয়োজিত থাকেন। তবে, সৌখিন মৎস্য শিকারীদের মাছ ধরার মোক্ষম সময় হেমন্ত ও শীত কাল। বর্ষি, জাল ছাড়াও মাছ ধরার অন্যতম উপাদান হচ্ছে পলো। সম্মিলিতভাবে পলো দিয়ে মাছ ধরা একটি উৎসবও বটে। হেমন্তের শেষর দিকে শনিবার সে রকম একটি উৎসব হয়ে গেল মৌলভীবাজারের জুড়ীতে।
উপজেলার কন্টিনালা নদীতে সকাল ১০টায় শুরু হয় পলো বাওয়া। শতশত পেশাধার, সৌখিন ও প্রবাসী মাছ শিকারীরা পলো নিয়ে ঝাঁপিয়ে পড়েন নদীতে। কন্টিনালা সেতু থেকে শুরু করে রাবারড্যাম পর্যন্ত দীর্ঘ ৫ কিলোমিটার এলাকা জুড়ে পলো দিয়ে মাছ ধরার মনোরম সে দৃশ্য উপভোগ করতে স্থানীয় বাসিন্দাদের পাশাপাশি দুর-দুরান্তের হাজার হাজার আবাল-বৃদ্ধ-বণিতা নদীর দু তীরে ভীড় জমান।
এ সময় সবার মধ্যে বিপুল উৎসাহ-উদ্দীপনা-উৎসব আমেজ পরিলক্ষিত হয়। উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা আল-ইমরান রুহুল ইসলাম, জুড়ী উপজেলা ভাইস চেয়্যারম্যান রিংকু রঞ্জন দাস, মহিলা ভাইস চেয়ারম্যান রঞ্জিতা শর্ম্মা, জায়ফরনগর ইউপি চেয়ারম্যান হাজী মাছুম রেজা, “হাওয় বাঁচাও কৃষক বাঁচাও” সংগ্রাম পরিষদ সভাপতি ইমরুল ইসলাম শুরু থেকে শেষ পর্যন্ত পলো বাওয়া উৎসব পর্যবেক্ষণ করেন।