ছাতক সুনামগঞ্জ প্রতিনিধি: ছাতক পিডিবির কালারুকা ও জাউয়াবাজার রাউলী ফিন্ডারে ইনচাজ সহকারি প্রকৌশলী আব্দুল আজিমের বিরুদ্ধে ব্যাপক অনিয়ম দুনীতি ও টাকা ছাড়াই কোন সেবা পাচ্ছেন বিদুৎ গ্রাহকরা।
আগে টাকা পড়ে কাজ এভাবে চলছে
ছাতক পিডিবি অফিসের অবৈধঘুস লেনদেনের ঘটনায় হাতাহাতি ঘটনা ও ঘটেছে। সুনামগঞ্জ সদর থেকে বদলী হয়ে ছাতকে পিডিবির অফিসে এসে যোগদান করেন।
তার বিরুদ্ধে রয়েছে,মিটার লক,খোলা,বকেয়া বিল আদায়,কাটা ছেড়া ভাঙ্গা খুটিরদবদল,বাশ গাছ কাটাসহ পুরাতন এস ,টি, এলটি বিদূৎ লাইন মেরামত ও সংস্কার করার নামে ৫ জনের একটি দালাল চত্রেুর মাধ্যমে গ্রাহকদের কাছ থেকে প্রায় কোটি টাকার ঘুস হাতিয়ে নেয়ার অভিযোগের ঘটনায় সিলেটের ব্যাপক তোলপাড় সৃষ্টি হয়েছে।
জানা য়ায়,ছাতক,কালারুকা,গোবিন্দগঞ্জ সৈদেরগাও,দক্ষিনখুরমা,জাউয়াবাজার,শান্তিগঞ্জ ওবিশ্বনাথে দোয়ারাবাজার দুটি উপজেলার
সহ ৬টি ইউপির কয়েক হাজার গ্রাহকের পুরাতন বিদুৎ লাইন মেরামত ও সংস্কারে নামে গ্রামে মেরামত ও সংস্কার কাজ নামে লাখ লাখ টাকা হাতিয়ে নেয়ার অভিযোগ উঠেছে।
গত ১৫ ডিসেম্বর বিদুৎ উপদেষ্টা ও মন্ত্রনালয়ে সচিব,বিদুৎ চেয়ারম্যান,দুনীতি দমন কমিশন ঢাকা ও পিডিবির প্রকল্প চেয়ারম্যান ঢাকা ,উৎপাদন প্রকল্প ঢাকা,পিডিবির বিভাগীয় প্রধান প্রকৌশলী ও সিলেট,বিভাগীয় কমিশনারসহ ২০টি দপ্তরের ছাতক ছাতক দোয়ারাবাজারে দুটি উপজেলার ১৫টি ইউপির বাসীর পক্ষে মহরম আলী, আব্দুল করিম,আব্দুল কাদিরসহ দুই শতাধিক ব্যক্তির স্বাক্ষরে সহকারি প্রকৌশলী আব্দুল আজিমের বিরুদ্ধে লিখিত অভিযোগ দায়ের করেন ।
সহকারি প্রকৌশলী সহকারি প্রকৌশলী আব্দুল আজিমের নেতৃত্বে ও অফিসে কম্পোটার ম্যান আল আমিন,অরসর প্রাপ্ত লাইনম্যান মুজিবুর রহমানসহ ও কয়েকজন জনপ্রতিনিধিরসহ ৫ জনের একটি দালাল চত্রেুর মাধ্যমে ১২ মিটার ফুল খুটি ৬১টি,৯ মিটার ফুল ২৫৭টি ,ট্রান্সফরমা ১২টি দিয়ে সংযোগ দিয়ে গ্রাহকদের কাছ থেকে প্রায় কোটি টাকা ঘুস হাতিয়ে নেয়ার অভিযোগের ঘটনায় সিলেটের বিভাগজুড়েই ব্যাপক তোলপাড় চলছে ।
এদিকে গোবিন্দগঞ্জ সৈদেরগাও ইউপির সুহিতপুর এলাকার জনৈক ব্যবসায়ি ৩লাখ টাকার জরিমানা করলে ও সরকারি ফান্ডে নামে মাত্র টাকা জমা দিয়ে কয়েক লাখ টাকা প্রকৌশলী আব্দুল আজিমের পকেটে। সুরমা নদীর সেতুর পাশে মোশাহিদ আলীর ট্রান্সফরমান থেকে আল আমিনের পাজু এলটি ৬টি খুটি দিয়ে ১লাখ ৫০হাজারটাকা,দৌলতপুর ট্রান্সফরমান থেকে ২লাখ টাকাসহ এক কোটি টাকা হাতিয়ে নেয়ার ঘটনায় তোলপাড় সৃষ্টি হয়।
সরকার বিনামুল্যে সংস্কারে কথা থাকলে টাকা ছাড়াই কোন মেরামত ও সংস্কার কাজ হচ্ছে না এসব গ্রামে। বিতকিত প্রকৌশলীর বিরুদ্ধে ২০টি দপ্তরে তার নানা ফিরিস্তি অনিয়ম, দুনীতি ঘুস,নেয়ার কথা উল্লেখ্য করে লিখিত অভিযোগ দায়ের করেন দুই উপজেলাবাসী।
তার নিজের দুনীতির ঘটনায় ধামাচাপা দিতে নানা কৌশলে দৌড়ঝাঁপ শুরু করেছে।
তার নানা অনিয়ম-দুনীতি ঘুষ কেলেংকারির একাধিক ঘটনায় সম্প্রতি জাতীয় ও স্থানীয় বিভিন্ন পত্র-পত্রিকায়ও প্রতিবেদন প্রকাশিত হয়। এ গ্রাহকদের কাছ থেকে জরিমানা টাকাগুলো ব্যাংকে জমা না দিয়ে তার পকেট চলে যায়। এ ঘুসের টাকার ভাগবাটোয়ারা নিয়ে কর্মকতা ও কর্মচারিদের মধ্যে পিডিবির অফিসে হাতাহাতির ঘটনা ঘটে।
ছাতক, দোয়ারবাজার ও সিলেটের বিশ্বনাথে ৫০হাজার বিদুৎগ্রাহকরা প্রতিদিন শত শত গ্রাহকরা অফিসে সেবা নিতে
গিয়ে চরম হয়রানির শিকার হচ্ছেন। মিটার লক,খোলা,তার দফতরে ধরনা দিলেই ল্যাপটপ থেকেই সার্ভারের লক খুলে দেয়ার মতো ঘটনা এখন ব্যাপক হারে বাড়ছে। এ অফিস প্রিপ্রেইড মিটারে ২০হাজার ৩শ`গ্রাহকদের অফিসের সবত্র গোপন নম্বার প্রকৌশলী ছাড়াই জনৈক এক বেসরকারি লাইনম্যানের কাছে রয়েছে।
এব্যাপারে সহকারি প্রকৌশলী আব্দুল আজিম তার বিরুদ্ধে আনীত সব অভিযোগ নিয়ে প্রশ্ন করলে ব্যস্ত আছেন বলে মোবাইল ফোনটি কেটে দেন।
