সুজয় বকসী,নড়াইল প্রতিনিধি: দু’মাসের শিশু রুদ্রকে ঘুম পাড়িয়ে মা সুমি খানম নামাজ পড়ার জন্য বাড়ীর টিউবওয়েলে ওজু করতে যান। এসে দেখেন তার কোলের শিশু নেই। আশেপাশে তন্ন তন্ন করে খুঁজলেও তাকে আর পাওয়া যায়নি।
সোমবার (২৭ নভেম্বর) সকালে রহস্যজনক ভাবে নিখোঁজ হওয়া শিশুটিকে মৃত অবস্থায় বাড়ির পাশে একটি গর্তের মধ্যে পাওয়া যায়। এ মর্মান্তিক ঘটনাটি ঘটেছে সদরের আউড়িয়া ইউনিয়নের লস্করপুর গ্রামে।
জানা গেছে, লস্করপুরের মিলন মোল্যা ও নড়াইলের গ্রীন লাইফ ডায়াগনোস্টিক সেন্টারে কর্মরত সুমি খানমের বিয়ের ১০ বছর পর ১ মাস ২৫ দিন আগে একটি পূত্র সন্তানের জন্ম হয়। রবিবার সন্ধ্যা সাড়ে ৭টার দিকে ছেলেকে ঘুম পাড়িয়ে দরজার ছিটকিনি দিয়ে ২০ গজ দূরে বাড়ির উঠানে নামাজ পড়ার জন্য ওজু করতে যান। এসে দেখে দরজা খোলা এবং সন্তান নেই। বিষয়টি জানার পর স্থানীয় মানুষ ও সদর থানা পুলিশ অনেক খোঁজখিুজি করেও পায়নি। সোমবার সকালে বাড়ির পাশে হাটু পানির একটি গর্তে তাকে উদ্ধার করে সদর হাসপাতালে নিয়ে কর্তব্যরত চিকিৎসক তাকে মৃত ঘোষণা করেন।
আউড়িয়া ইউনিয়নের ২নং ওয়ার্ডের মেম্বর নিহতের আত্নীয় আজিম বেগ ঘটনার সত্যতা স্বীকার করে এ ঘটনার প্রকৃত কারণ বের করার দাবি জানান।
নিহতের বাবা মিলন মোল্যা ও সুমি খানম জানান, কেউ শত্রুতা করে তাদের সন্তানকে হত্যা করেছে। তারা এ ঘটনার উপযুক্ত শাস্তির দাবি জানান।
সদর থানার ওসি মোঃ ওবাইদুর রহমান বলেন, নিহতের শরীরে কোথাও আগাতের চিহৃ নেই। ঘটনাটি রহস্যজনক। লাশ ময়নাতদন্তের জন্য সদর হাসপাতালে পাঠানো হয়েছে। ময়নাতদন্তের রিপোর্টের পর নিহতের কারণ জেনে প্রয়োজনীয় আইনগত পদক্ষেপ গ্রহন করা হবে।
