আওয়ামীলীগ ও তার সহযোগী সংঘটনে নেই পুর্নাঙ্গ কমিটি

    0
    311

    বিপরীতে শক্তি সঞ্চয় করছে উপজেলা বিএনপি

    আমার সিলেট টুয়েন্টি ফোর ডটকম,০৮জুন,রেজওয়ান করিম সাব্বিরঃ  আসন্ন জাতীয় সংসদ নির্বাচন ২০১৯ কে ঘিরে উপজেলা পর্যায়ে দলকে শক্তিশালি করতে দলীয় প্রধানদের নির্দেশনা রয়েছে। সেক্ষেত্রে সিলেটের জৈন্তাপুর উপজেলা আওয়ামীলীগের দূর্গ হিসাবে পরিচিতি থাকলেও সম্প্রতি এই দূর্গটি ক্রমশ দূর্বল হয়ে পড়েছে তার পাশাপাশি বাংলাদেশ জাতীয়তাবাদী দল (বিএনপি) শক্তি স য় করতে ঐক্যবদ্ধ কাজ করছে।

    অনুসন্ধানে যানা গেছে- বিগত ৩১জানুয়ারী ২০১৫সনে ঝাঁক ঝমকপূর্ণ ভাবে জৈন্তাপুর উপজেলা আওয়ামীলীগ ত্রি-বার্ষিক কাউন্সিল অনুষ্টিত হয়। ত্রি-বার্ষিক কাউন্সিলে ৪সদস্য বিশিষ্ট উপজেলা আওয়ামীলীগের কমিটি ঘোষনা দেন জেলা ও কেন্দ্রীয় আওয়ামীলীগের নেতৃবৃন্ধরা। দির্ঘ ২বৎসর অতিক্রমের পর পূর্ণাঙ্গ উপজেলা কমিটি আলোর মূখ দেখেনি। একই ভাবে উপজেলার আওয়ামীলীগের সহযোগী সংগঠন আওয়ামী যুবলীগের কমিটি দীর্ঘ ৩বৎসরের অধিক সময় বিলুপ্ত রয়েছে। আওয়ামীলীগের প্রধান শক্তিশালী ছাত্র সংগঠন বাংলাদেশ ছাত্রলীগ ২০১১সনে ঝাঁক ঝমকপূর্ণ ভাবে কাউন্সিলের মাধ্যমে ১০সদস্যের কমিটি গঠন করা হয়। দীর্ঘ ৬বৎসরে উপজেলা ছাত্রলীগের পূর্ণাঙ্গ কমিটি আলোর মূখ দেখেনি। অবশেষে ২মাস পূর্বে জেলা ছাত্রলীগ উপজেলা ছাত্রলীগের কমিটি বিলুপ্ত করে। উপজেলা কৃষকলীগ আহবায়ক কমিটির মধ্যে রয়েছে সীমাবদ্ধ, জৈন্তাপুর উপজেলা আওয়ামী সেচ্ছাসেবকলীগেরও পূর্নাঙ্গ কমিটি হয়নি এবং ১মাস পূর্বে উপজেলা আওয়ামীলীগের অপর সহযোগী সংগঠন আওয়ামী শ্রমিকলীগের ২০সদস্য বিশিষ্ট কমিটি ঘোষনা হয়। দলীয় গ্রুপিং এবং নিজেদের নির্বাচনি স্বার্থের কারনে দলটি দিন দিন দূর্বল হয়ে পড়েছে।

    এদিকে বর্তমান সরকারের টানা ৮বৎসরের আমলে ৫বারের নির্বাচিত স্থানীয় সংসদ সদস্য ইমরান আহমদ ও বাংলাদেশ সরকারের প্রধানমন্ত্রী, জননেত্রী শেখ হাসিনার ঐকান্ত্রিক প্রচেষ্টায় জৈন্তাপুর উপজেলা শিক্ষা, রাস্তাঘাট উন্নয়ন, বিদ্যুতের চাহিদা পূরনের লক্ষ্যে সাবষ্টেশন নির্মাণ, ডিজিটাল শিক্ষা ব্যবস্থার উন্নয়ন, ইউনিয়ন সমুহকে ডিজিটালে রুপান্তর, কৃষি উন্নয়ন, জৈন্তাপুর উপজেলা ফায়ার সার্ভিস ষ্টেশন নির্মাণ, সরকারী হাসপাতালে নতুন এম্বুল্যান্স সরবরাহ এবং ৫১শয্যার হাসপাতালে উন্নিত করন, প্রাণী সম্পদ ভবন নির্মাণ, প্রাথমিক ও মাধ্যমিক বিদ্যালয় সমুহের ভবন নির্মাণ সহ উপজেলার কল্পনাতিত উন্নয়ন সাধিত হলেও দলীয় নেতাদের নিজেদের স্বার্থরক্ষা এবং কেন্দলের কারনে সরকারের এসকল উন্নয়নের চিত্র জনসম্মুখে প্রকাশ হয়নি। সরকারের উন্নয়ন গুলো বাস্তবায়নের সময় সরকারী আমলারা স্থানীয় সংসদ সদস্য যখন দেশের বাহিরে অবস্থান করেছেন তখন সেগুলো বাস্তবায়ন করা হলেও দলীয় নেতারা অজানা থাকতেন। ফলে ডিজিটাল পদ্ধতীতে জৈন্তাপুরে সরকারের উন্নয়ন গুলোকে জন সম্মুখের বাহিরে রাখা হয়। সর্র্বপরি উপজেলা আওয়ামীলীগ কমিটি সহ অন্যান্য সহযোগী সংগঠন গুলোর কমিটি না থাকায় ক্রমশ দূর্বল হয়ে পড়ছে জৈন্তাপুর উপজেলা আওয়ামীলীগের কার্যক্রম। নিজেদের দলীয় কেন্দল, স্বার্থ রক্ষা ও নিজেদের নির্বাচনি অবস্থান পাকাপোক্ততা করেতে কমিটি সমুহ পূর্নাঙ্গ হচ্ছে না। দলটি দিন দিন তার শক্তি হ্রাস পাচ্ছে এবং মাঠে কর্মী সংগ্রহের কার্যক্রম স্থবির হয়ে পড়েছে।

    বাংলাদেশের প্রধান সাংগঠনিক দল হিসাবে ক্ষমতা দখলের লড়াইয়ে বাংলাদেশ জাতীয়তাবাদী দল(বিএনপি) দলীয় প্রদানের নির্দেশ মোতাবেক তৃর্নমূল পর্যায়ে তারা কাজ শুরু করেছে। ইতোমধ্যে বিএনপি ওয়ার্ড, ইউনিয়ন এবং উপজেলা পর্যায়ে তাদের কমিটি গুলোকে শক্তিশালি করেছে। উপজেলা বিএনপির সহযোগী সংগঠন গুলো যুবদল, ছাত্রদল, শ্রমিকদল, সেচ্ছাসেবক দল গুলোকে শক্তিশালি করেছে। তারা ২০১৯সনের নির্বাচনে সিলেট-৪ আসনের ৫বারের নির্বাচিত সংসদকে পরাজিত করতে ঐক্যবদ্ধ হয়ে কাজ করছে। নির্বাচনকে সামনে রেখে মাঠ পর্যায়ে বিএনপি ও তার অঙ্গসংগঠনে নিজেদের কোন্দাল মিটিয়ে ঐক্যবদ্ধ ভাবে কর্মী সংগ্রহ করছে। জৈন্তাপুর উপজেলা বিএনপির লক্ষ্য হচ্ছে ২০১৯সনের নির্বাচনে তাদের ধানের শীর্ষের প্রার্থী নির্বাচিত করে দলীয় প্রদানকে ২৩২-সিলেট-৪ আসনটি উপহার দিতে চায়। তাদের কার্যক্রমের সফলতা হিসাবে জৈন্তাপুর উপজেলার ৬টি ইউনিয়নের মধ্যে ৩টি ইউনিয়ন এবং উপজেলা পরিষদ নির্বাচনে তাদের জোট প্রার্থীকে নির্বাচিত করে। সর্বশেষ জেলা পরিষদ নির্বাচনে সদস্য পদে তাদের দলীয়প্রার্থী নির্বাচিত করে। সংসদ নির্বাচনে সিলেট-৪ আসন দখলের লক্ষ্য নিয়ে উপজেলা বিএনপি তৃর্ণমূল পর্যায়ে ব্যাপক হারে কাজ শুরু করেছে বলে দায়ীত্বশীল সূত্র জানায়।

    নামপ্রকাশে অনিচ্ছুক বিশিষ্ট জনের মতে- জৈন্তাপুর উপজেলা আওয়ামীলীগ সরকার আমলে যদি সংগঠন গুলো গুছাতে না পারে তাহলে তো তাদের দূর্গে প্রতিপক্ষ বিএনপি হানা দিবে এটা নিশ্চিত তারা তাই করছে। আওয়ামীলীগ নেতৃবৃন্দরা নিজেদের নির্বাচনের মাঠ শক্তকরতে এবং দলীয় কেন্দলের কারনে তথা নৌকা মার্কার প্রার্থীর বিজয় নিশ্চিত হওয়াটা অনেক কষ্ট সাধ্যের মধ্যে পড়বে বলে আশংঙ্কা করা হচ্ছে। ফলে মাননীয় সংসদ সদস্য এবং প্রধানমন্ত্রীর উন্নয়ন কার্যক্রম গুলো জনসম্মুখে প্রকাশ পাচ্ছেনা। দ্রুত উপজেলা আওয়ামীলীগ তার সহযোগী সংগঠন গুলোকে পূর্নাঙ্গ রূপ রেখায় দাঁড় করানো না হয় তাহলে প্রতিপক্ষ বিএনপি আওয়ামীলীগকে পরাজিত করে নিজেদের বিজয় সুনিশ্চিত করবে। বিশিষ্ট জনেরা উক্তি সময় মত যদি ফসল বুনো না যায়, তাহলে প্রতিপক্ষ সুযোগ নিবে। বাংলাদেশ জাতীয়তাবাদী দল (বিএনপি) জৈন্তাপুর উপজেলার সকল সংগঠন তাদের সকল বিবাধ দন্ধ ভূলে গিয়ে ঐক্য বদ্ধ হয়ে কাজ করছে এটাই স্বাভাবিক।