আজকের ভারত-বাংলাদেশ ম্যাচ নিয়ে অসংখ্য প্রতিবেদন প্রকাশ

    0
    227

    আমারসিলেট টুয়েন্টিফোর ডটকম,০৬মার্চঃ এই শিরোনামে আজ রাতে কলকাতার আনন্দবাজার পত্রিকা তাদের অনলাইন সংস্করণে একটি প্রতিবেদন আপলোড করেছে।

    কেবল আনন্দবাজার নয়, ভারতের সব মিডিয়া ভারত-বাংলাদেশ ম্যাচ নিয়ে অসংখ্য প্রতিবেদন প্রকাশ করছে।

    আনন্দবাজার  লিখেছে, রাত পোহালেই বাংলাদেশে অন্য ভোর। একটা স্বপ্ন নিয়ে ঘুম থেকে উঠবে পুরো দেশ। একই স্বপ্ন চোখে নিয়ে ঘুম ভাঙবে ভারতেরও। যে স্বপ্নের শেষটা লেখা হবে মীরপুরের শের-ই-বাংলা স্টেডিয়ামে। কে হাসবে শেষ হাসি, সেটা জানার জন্য অপেক্ষা করতে হবে আরও কয়েক ঘণ্টা। কার ভাঙবে স্বপ্ন, কে দৌঁড়বে নতুন উদ্যোমে। দিনের শেষে ক্রিকেটের মাঠে হয়তো রবিবার লেখা হবে নতুন কাহিনী। লেখা হবে ক্রিকেট ঘিরে আবেগের ইতিহাস। ট্রফি যার হাতেই উঠুক না কেন বিশ্ব ক্রিকেটে আরও এক হাড্ডাহাড্ডি লড়াইয়ের সাক্ষী থেকে যাবে ঢাকা। যখন একই খাতে বইবে গঙ্গা-পদ্মা।

    মীরপুরে ভারত-বাংলাদেশ ম্যাচ ঘিরে যে উত্তেজনার পারদ তুঙ্গে সেটা বোঝা গেল এদিন টিকিট কাউন্টার খুলতেই। স্থানীয় এক ব্যাঙ্ক থেকে দেওয়া হচ্ছিল টিকিট। সকাল থেকেই সেখানে ভীর জমিয়েছিলেন ক্রিকেটপ্রেমীরা। কিন্তু শেষ পর্যন্ত টিকিট বিক্রি বন্ধ করে দেওয়া হল। পুলিশকে মাঠে নেমে সামলাতে হল পুরো বিষয়টি। যা খবর ম্যাচের দিন সকাল থেকে আবার শুরু হবে টিকিট বিক্রি। শুধু তাই নয় ক্রিকেটাররাও চাহিদা মতো টিকিট পেলেন না তাদের পরিবার, বন্ধুদের জন্য। অধিনায়ক মাশরাফি তো জানিয়েই দিলেন, তিনিও নাকি ২৫টি টিকিট চেয়ে পেয়েছেন ৫টি। দলের বাকি প্লেয়ারদেরও যে একই অবস্থা সেটা বলাই বাহুল্য।  মানুষের এই ভালবাসার প্রতিদান দিতে চায় পুরো বাংলাদেশ দল। ভারতের অনেক সমর্থকই গিয়েছেন এশিয়া কাপ ফাইনাল দেখতে। সব মিলে টিকিটের চাহিদা তুঙ্গে।

    এদিকে দু’দলই জয়ের জন্য মরিয়া। ভারতের সামনে পর পর তিনটি টি২০ সিরিজ জয়ের হাতছানি। এশিয়া কাপ চ্যাম্পিয়ন হয়েই টি২০ বিশ্বকাপে ফেভারিট হিসেবে নামতে চান ধোনিরা। তবে বাইরে থেকে যতটা সহজ মনে হচ্ছে জয়টা যে ততটা সহজ নয় সেটা খুব ভালই জানে টিম ইন্ডিয়া। কারণ বাংলাদেশ দলের সঙ্গে রয়েছে পুরো দেশের সমর্থন ঘরের মাঠে। যেটা বড় আত্মবিশ্বাসের জায়গার পাশাপাশি অবশ্য মানসিক একটা চাপও থাকবে বাংলাদেশ দলের উপর। সেটা হল প্রত্যাশার চাপ। যদি ভাবা হয় এটা সমানে সমানে লড়াই নয় তাহলে ভুলই হবে। যদিও এশিয়া কাপের প্রথম ম্যাচে বাংলাদেশকে হারিয়ে দিয়েছিল ভারত। যার ফলে বাংলাদেশের সামনে এক কথায় বদলার ম্যাচ। হেরে শুরু করে জিতে শেষ করতে চাইবেন মাশরাফিরা। এমন অবস্থায় বড় চ্যালেঞ্জের মুখে ভারত।

    বাংলাদেশের সামনে ভারতের মতো প্রতিপক্ষ। এই মুহূর্তে টি২০ ক্রিকেটে ভারতই সেরা। তাদের বিরুদ্ধে নামতে হচ্ছে লড়াইয়ে। যেখানে দারুণ ছন্দে রোহিত শর্মা, বিরাট কোহলিরা। যুবরাজের ব্যাট হাতে ফিরে আসাটা ভারতকে বাড়়তি আত্মবিশ্বাস দেবে এটাই স্বাভাবিক। তার মধ্যে বুমরাহকে নিয়ে অনেক জল্পনা বাংলাদেশ শিবিরে। উল্টোদিকে মুস্তাফিজুরের না থাকাকে অনেকটাই ঢেকে দিতে পারার ক্ষমতা রাখেন আল আমিন হোসেন। এই এশিয়া কাপে তিনি সেটা প্রমাণ করে দিয়েছেন। সঙ্গে রয়েছেন তাসকিন আহমেদ। সাকিব যদি চোট মুক্ত হয়ে ফাইনাল খেলেনা তাহলে বল হাতে তিনিও বেগ দিতে পারেন বিশ্বের যে কোন ও ব্যাটসম্যানকে। ব্যাট হাতে দলকে ভরসা দেওয়ার জন্য রয়েছেন তামিম, সৌম্য, সাবির রহমান। ব্যাট ও বল  হাতে সাফল্য এসেছে মাহমুদুল্লাহরও। অন্যদিকে, ভারতের বোলাররাও ভরসা দিয়েছে দলকে। দুই ওপেনিং বোলার নেহরা বুমরাহই হোক বা হার্দিক, অশ্বিনই হোক।

    হিসাব বলছে শেষ পাঁচটি ম্যাচের মধ্যে পাঁচটিতেই জিতেছে ভারত। বাংলাদেশ সেখানে তিনটি জয় দুটো হার। বোলিংয়ে চমকে দিতে প্রথম এগারোয় হায়দারকে নিয়ে আসতে পারে বাংলাদেশ টিম ম্যানেজমেন্ট। ফাইনালের রাতে বদলে যেতে পারে পিচের চরিত্রও। এতদিন এশিয়া কাপে যে পিচ নিয়ে সমালোচনার ঝড়় উঠেছিল সেই পিচে ঘাস এখন নেই বললেই চলে। কেটে ফেলা হয়েছে। আর আজ সারাদিনই ঢেকে রাখা হল পিচ। যাতে মনে হচ্ছে পিচের ঘাস কেটে ফেলা হতে পারে।

    বাংলাদেশ অধিনায়ক মাশরাফি বিন মোর্তাজা বলেন, ‘‘এই ম্যাচের আবহটাই অন্য। যদি আমরা আমাদের খেলাটা ধরে রাখতে পারি যেটা আমরা শেষ তিন ম্যাচে খেলেছি তাহলে আশা করি আমরা সাফল্য পাব।’’

    অন্যদিকে, ভারতের টিম ড়িরেক্টর রবি শাস্ত্রী অবশ্য সাব-কন্টিনেন্টের ক্রিকেটের প্রশংসা করেছেন। বলেন, ‘‘গত বছর শ্রীলঙ্কা চ্যাম্পিয়ন হয়েছিল। কয়েক বছর আগে পাকিস্তানে সেরা দু’য়ে ছিল। এখ আমরী শীর্ষে। সাব-কন্টিনেন্টের ক্রিকেটের উত্থানকে অগ্রাহ্য করার কোনো জায়গা নেই।’’ ঘুরিয়ে বাংলাদেশের প্রশংসাই করে গেলেন তিনি।সুত্রঃ ওয়েবসাইট