আজ শুক্রবার দিবাগত রাতে পবিত্র লাইলাতুল বরাত

    0
    213

    আমারসিলেট24ডটকম, ১৩জুনঃ আজ শুক্রবার দিবাগত রাতে পবিত্র লাইলাতুল বরাত। মুসলমানদের কাছে পরবর্তী এক বছরের ভাগ্য নির্ধারণের এ রাত শবেবরাত নামে পরিচিত। ফার্সি শব্দ শবে বরাতের আভিধানিক অর্থ ভাগ্যরজনী। রাতটি মুসলমানদের কাছে অত্যন্ত মহিমান্বিতও পবিত্র।মুসলিম সম্প্রদায় বিশ্বাস করে, এ রাতে মহান আল্লাহতায়ালা মানুষের জন্য রহমতের দরজা খুলে দেন। মুসলমানরা অতীতের ভুলত্রুটির জন্য ক্ষমা প্রার্থনা এবং ভবিষ্যতে পবিত্র জীবনযাপনের তৌফিক চেয়ে মহান আল্লাহর দরবারে দোয়া মোনাজাত করেন। বছর ঘুরে আবারও ফিরে এসেছে এই মহিমান্বিত রাত।

    পবিত্র এই রাতে মসজিদে মসজিদে বিশেষ মোনাজাত, জিকির-আসকার, মিলাদ মাহফিল ও দোয়ার আয়োজন করা হয়। অনেকে রাত জেগে ইবাদত-বন্দেগি শেষে কেহ কেহ সেহরি খেয়ে পরের দিন রোজা রাখেন। শবে বরাতে অনেকে কবরস্থানে গিয়ে মৃত স্বজনদের রুহের মাগফিরাত কামনা করে বিশেষ দোয়া ও মোনাজাত করেন।

    মুসলমানদের কাছে পবিত্র রমজানেরবার্তা বয়ে আনে শবে বরাত। শাবান মাসের পর আসে পবিত্র মাহে রমজান। হাদিসশরিফে উল্লেখ রয়েছে, মহানবী হজরত মুহাম্মদ সাল্লাল্লাহু তায়ালা আলাইহে ওয়া সাল্লাম

    রমজানের প্রস্তুতি হিসেবেশাবান মাসের ১৪ ও ১৫ তারিখ রোজা পালন করতেন। মহানবীর সাল্লাল্লাহু তায়ালা আলাইহে ওয়া সাল্লামের

    আদর্শ অনুসরণ করে ইসলাম ধর্মাবলম্বীরাও এ দুটি দিন রোজা পালন করেন।

    পবিত্র শবেবরাত উপলক্ষে রাষ্ট্রপতি মোঃ আবদুল হামিদ, প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা, জাতীয় সংসদে বিরোধীদলীয় নেতা রওশন এরশাদ ও বিএনপি চেয়ারপারসন খালেদা জিয়া পৃথক বাণী দিয়েছেন।এ উপলক্ষে দেশের বিভিন্ন মসজিদ-মাদ্রাসায় বিশেষ দোয়া ও মাহফিলের আয়োজন করা হয়েছে। ইসলামী ফাউন্ডেশনের উদ্যোগে জাতীয় মসজিদ বায়তুল মোকাররমে বাদ এশা বিশেষ বয়ান ও মোনাজাতের আয়োজন করা হয়েছে।

    শবেবরাতে মুসলি্লরা যেন নির্বিঘ্নে ইবাদত-বন্দেগি করতে পারেন, তার জন্য মহানগর পুলিশের পক্ষ থেকে রাজধানীতে কঠোর নিরাপত্তার ব্যবস্থা করা হয়েছে। নিষিদ্ধ করা হয়েছে সব ধরনের পটকা ও আতশবাজি ফোটানো।

    ধর্মীয় ভাবগাম্ভীর্যপূর্ণ পরিবেশে পালিত হলেও শবেবরাত বাঙালি মুসলমানদের কাছে একই সঙ্গে ধর্মীয় উৎসবের রাত।এশার নামাজের পর থেকে লোকজন শবে বরাতের বিশেষ ইবাদত করলেও সন্ধ্যা থেকে উৎসবমুখর পরিবেশের সৃষ্টি হয়। এই দিনে প্রত্যেক মুসলমানের ঘরে সাধ্য ও সামর্থ্য অনুযায়ী ভালো খাবার, নানা রকম মুখরোচক হালুয়া, রুটি, পায়েস শিরনী হিসেবে তৈরি হয়। ঘরে তৈরি এসব খাবার আত্মীয়স্বজনের বাড়িতে পাঠানো হয়; বিলানো হয় গরিব-দুঃখীর মধ্যে। মহিমান্বিত এ রাতে অনেকেই দান-খয়রাত করে থাকেন গরিব-দুঃখীদের।