“রাখাইন রাজ্যে চলমান গণহত্যা শুরুর পর থেকে জাতিসংঘের চাপের মুখে এই প্রথম ভাষণ”
আমারসিলেট টুয়েন্টিফোর ডটকম,১৯সেপ্টেম্বর,ডেস্ক নিউজঃ মিয়ানমারের রাখাইন রাজ্যে রোহিঙ্গা সংকট নিয়ে আন্তর্জাতিক তদন্তকে মিয়ানমার ভয় পায় না বলে জানিয়েছেন মিয়ানমারের ডি ফ্যাক্টো নেত্রী অং সান সুচি।
আজ মঙ্গলবার (১৯ সেপ্টেম্বর) মিয়ানমারের রাজধানী নাইপিদো-তে জাতির উদ্দেশে দেয়া ভাষণে এ মন্তব্য করেন তিনি।
রাখাইন রাজ্যে চলমান গণহত্যা শুরুর পর থেকে জাতিসংঘের চাপের মুখে এই প্রথম মগ জাতির উদ্দেশে সু চি ভাষণ দিলেন।
ভাষণে সু চি বলেন, “রোহিঙ্গা সঙ্কটের উপর ‘আন্তর্জাতিক তদন্ত’ ভয় পায় না মিয়ানমার।” বাইরের পর্যবেক্ষকদের ব্যক্তিগতভাবে এসে সমস্যা পর্যবেক্ষণেরও আহ্বান জানান তিনি।
তিনি বলেন, ‘আমরা শান্তির প্রতি প্রতিশ্রুতিবদ্ধ। আমরা সব মানুষের দুর্ভোগ গভীরভাবে অনুভব করি। রাখাইনে শান্তি, স্থিতিশীলতা পুনরুদ্ধারে কাজ করছি। রাখাইনে বাস্তুচ্যুতদের সহায়তা দেওয়া হচ্ছে।’
দেশটির ক্ষমতাসীন রাজনৈতিক দল ন্যাশনাল লিগ ফর ডেমোক্রেসির (এনএলডি) নেত্রী বলেন, ‘আমরা শান্তি চাই, ঐক্য চাই। যুদ্ধ চাই না।’
টেলিভিশন ভাষণে তিনি বলেন, ‘বেশ কিছু মুসলিম বাংলাদেশে পালিয়ে গেছে- এ ধরনের খবর শুনে আমরা উদ্বিগ্ন। রাখাইন থেকে মুসলিমরা কেন পালিয়ে বাংলাদেশে যাচ্ছে, তা খুঁজে বের করতে চাই।’
সু চি তার ভাষণে সকল ধরনের মানবাধিকার লঙ্ঘনেরও নিন্দা জানিয়ে বলেন, ‘এ জন্য যারা দায়ী তাদের আইনের আওতায় আনা হবে।’
২৫ আগস্ট নতুন করে রোহিঙ্গা সংকট শুরুর পর জাতির উদ্দেশে এটাই ছিল সু চি’র প্রথম ভাষণ। সু চি’র এ ভাষণ নিয়ে বিশ্ব নেতাদের মাঝে প্রবল আগ্রহ ছিল।
কয়েকদিন আগে জাতিসংঘের মহাসচিব বিবিসির সাথে এক সাক্ষাৎকারে বলেছিলেন, সেনাবাহিনীর অভিযান বন্ধ করে শান্তি প্রতিষ্ঠার জন্য মঙ্গলবার জাতির উদ্দেশ্যে ভাষণ হবে সু চি’র জন্য শেষ সুযোগ। কিন্তু এ ‘শেষ সুযোগ’ বলতে কী বোঝানো হচ্ছে সেটি ব্যাখ্যা করেননি জাতিসংঘের মহাসচিব।