আন্তর্জাতিক সতর্কতা সত্ত্বেও গবেষণার নামে তিমি শিকার জাপানের

    0
    247

    আমারসিলেট টুয়েন্টিফোর ডটকম,২১জুনআন্তর্জাতিক সতর্কতা সত্ত্বেও গবেষণার নামে তিমি শিকার অব্যাহত রেখেছে জাপান। দেশটি বলেছে, আন্তর্জাতিক আহ্বান উপেক্ষা করেই তারা তিমি শিকার অব্যাহত রাখবে।

    আন্তর্জাতিক তিমি শিকার কমিশন বা আইডাব্লিউসি এর আগেই বলেছে, নতুন করে তিমি শিকারের আগে জাপানকে গবেষণার বিষয়ে আরো তথ্য-প্রমাণ উপস্থাপন করতে হবে। আইডাব্লিউসি বলছে, জাপান যে সত্যিই গবেষণার জন্য তিমি শিকার করছে তা প্রমাণিত হবে ওইসব তথ্যের মাধ্যমে।

    গ্লোবাল কনজারভেশন বডির টোকিওর কমিশনার মরিশিতা জোলি গতকাল (শুক্রবার) বলেছেন, তিমি শিকারের বিষয়ে তার দেশ সব ধরনের প্রশ্নের উত্তর দিতে প্রস্তুত রয়েছে কিন্তু তিমি শিকারের পরিকল্পনায় কোনো পরিবর্তন আনবে না। তিনি বলেছেন, যেহেতু বৈজ্ঞানিক বিষয় নিয়ে প্রশ্ন উঠেছে সেহেতু তার দেশ যতটা সম্ভব আন্তরিকতার সঙ্গে সেসব প্রশ্নের জবাব দেয়ার চেষ্টা করবে।

    জাপান নতুন করে তিমি শিকারের বিষয়ে আইডাব্লিউসি-তে একটি পরিকল্পনা জমা দিয়েছে। এ পরিকল্পনার আতওায় টোকিও এন্টার্কটিকাতে আগামী ১২ বছরে ৩,৯৯৬টি তিমি শিকার করতে চায়। কিন্তু, আইডাব্লিউসি বলছে, জাপান যে বৈজ্ঞানিক কাজে এসব তিমি শিকার করবে সে বিষয়ে বিস্তারিত জানাতে ব্যর্থ হয়েছে।

    ২০১৪ সালে আন্তর্জাতিক বিচার আদালত বলেছে, তিমি শিকারের অনুমতি চাওয়া  থেকে জাপানের বিরত থাকা উচিত। এরপর জাপান বলেছে, তারা প্রশান্ত মহাসাগর ও জাপানের উপকূলে তিমি ধরা অব্যাহত রাখবে। কারণ এসব এলাকায় আন্তর্জাতিক বিচার আদালতের আদেশ কার্যকর নয়। জাপান সবসময় বলে আসছে, তারা শুধুমাত্র বৈজ্ঞানিক গবেষণার প্রয়োজনে তিমি শিকার করে। কিন্তু সমালোচকরা বলেছেন, গবেষণার নামে বাণিজ্যিক উদ্দেশে জাপান তিমি শিকার আসছে।

    ২০১৩ ও ২০১৪ সালে জাপান এন্টার্কটিকা এলাকায় ২৫১টি তিমি শিকার করেছে। গত কয়েক বছরে জাপানের নির্বিচার তিমি শিকার ঠেকাতে আন্তর্জাতিক কয়েকটি পরিবেশবাদী সংগঠন এন্টার্কটিকা এলাকায় জাহাজ পাঠিয়েছে যা গণমাধ্যমে বিশেষ গুরুত্ব পেয়েছে।ইরনা