ই-কমার্স ব্যবসার নামে বিভিন্ন অনিয়মের অভিযোগ

0
428
ই-কমার্স ব্যবসার নামে বিভিন্ন অনিয়মের অভিযোগ

আমার সিলেট ডেস্কঃ ই-কমার্স ব্যবসায় নেমে প্রতারণাসহ বিভিন্ন অনিয়মে জড়িয়ে পড়া অন্তত ২৮টি কোম্পানির নাম সরকারের ‘উচ্চ পর্যায়ের’ কমিটিতে হস্তান্তর করেছে তিনটি গোয়েন্দা সংস্থা। আগামী সপ্তাহের মধ্যে এসব কোম্পানির লেনদেনের সম্পূর্ণ হিসাব পাওয়া যাবে বলে জানিয়েছে গোয়েন্দা সংস্থাগুলো।
সোমবার (১ নভেম্বর ২০২১) বাণিজ্য মন্ত্রণালয়ের সভাকক্ষে মন্ত্রণালয়ের অতিরিক্ত সচিব ও উচ্চ পর্যায়ের কমিটির সমন্বয়ক এএইচএম সফিকুজ্জামান এসব কথা জানান। এর আগে ১৫ সদস্যের ওই কমিটি দ্বিতীয় সভা হয়।

সভা শেষে সফিকুজ্জামান সাংবাদিকদের বলেন, তিনটি গোয়েন্দা সংস্থার কাছ থেকে পৃথক তালিকা পেয়েছে কমিটি। একটি তালিকায় ১৯টি, আরেকটিতে ১৭টি এবং অন্যটিতে ১৩টি কোম্পানির নাম রয়েছে। এসব তালিকায় কয়েকটি নাম কমন রয়েছে। সব মিলিয়ে ২৮ কোম্পানির নাম এসেছে। এই তালিকা ধরে এসব প্রতিষ্ঠানের ব্যাংক অ্যাকাউন্টের খোঁজ নেওয়া হবে। তিনি বলেন, আগামী ৯ নভেম্বর কমিটির আরেকটি বৈঠক হবে। ওই বৈঠকে এই ২৮ কোম্পানির আর্থিক লেনদেনের হিসাব উত্থাপন করা হবে।

বৈঠকে ইউনিক বিজনেস আইডিন্টিফিকেশন ও এসক্রো সার্ভিস অটোমেশন নিয়েও আলোচনা হয়েছে জানিয়ে সফিকুজ্জামান বলেন, খুব দ্রুতই ইউনিক বিজনেস আইডি চালু করা হবে। যারা ই-কমার্সে বিজনেস করবে, তাদেরকে বাধ্যতামূলক রেজিস্ট্রেশন করতে হবে।
গোয়েন্দাদের ফাইলে কোন কোন ই কমার্স কোম্পানির নাম আছে তা প্রকাশ করেনি মন্ত্রণালয়। তবে গোয়েন্দা সংস্থার অনুমেদান পেলে এসক্রো সার্ভিসে আটকে থাকা গ্রাহকদের ২১৪ কোটি টাকা ফেরত দেওয়া শুরু হবে বলে বৈঠক থেকে জানান হয়।

প্রসঙ্গত, করোনা মহামারির মধ্যে হঠাৎ ফুলেফেঁপে ওঠে ই-কমার্স খাত। কিছু ই-কমার্স কোম্পানি অর্ধেকেরও কম মূল্যে পণ্য বিক্রির বিজ্ঞাপন দিয়ে প্রতারণা করে কোটি কোটি টাকা হাতিয়ে নেয় বলে অভিযোগ ওঠে। এসব ঘটনায় ইভ্যালি, ই-অরেঞ্জসহ বিভিন্ন কোম্পানির বিরুদ্ধে বেশ কিছু মামলা হয়েছে সম্প্রতি। এ পরিস্থিতিতে ই-কমার্স খাতের সংস্কার ও সমন্বয়ের পাশাপাশি প্রতিষ্ঠানগুলোকে তদারকির মাধ্যমে ক্ষতিগ্রস্ত ভোক্তাদের সুরক্ষায় গত ১২ অক্টোবর উচ্চ পর্যায়ের এই কমিটি করে সরকার।