ওসি নন্দনের দাবী তার বিরুদ্ধে দুদকে অভিযোগ ভিত্তিহীন

    0
    229

    সুনামগঞ্জ প্রতিনিধিঃ সুনামগঞ্জের তাহিরপুর থানার সাবেক ওসি নন্দন কান্তিু ধরের বিরুদ্ধে দুদকে করা অভিযোগ বিষয়ে তিনি বলেন,আমার বিরুদ্ধে দুদকে করা অভিযোগ সম্পূর্ন ভিত্তিহীন ও বানোয়াট। কারন দুইশত ড্রেজার তো দূরের কথা একটি ড্রেজার মেশিনেরও মালিক নন বলে দাবি করেছেন তিনি।তিনি বলেন “আমার কোন ড্রেজারই ছিল না। আমি চাকরী করতে গিয়েছি ড্রেজার কেন কিনে চালাব ? আর চাঁদাবাজির তো প্রশ্নেই আসে না। কেউ বলতে পারবে না। আমার টাকার প্রতি কোন লোভ নেই। আমি কারো কাছ থেকে কোন টাকা নেইনি। যাচাই করলেই তা প্রমানিত হবে।”
    তিনি আরো বলেন, “আমি থানায় যখন ছিলাম তখন সবাইকে সব বিষয়ে সহযোগীতা করেছি। মসজিদ,মন্দির,শ্বসানঘাট নির্মান করেছি সকল সমস্যা যততুটু পেরেছি সবার সাথে থেকে সমস্যার সমাধান করেছি। এই অভিযোগটি তখন কেন করা হল না। আমি তাহিরপুর থেকে চলে এসেছি এখন করেছে। তাও এত দিন পরে এর মানেই আমার সুনাম ও পুলিশ বাহিনীর সুনাম নষ্ট করার জন্যই এই অভিযোগ করা হয়েছে। আমার বিরুদ্ধে দুদকে যে মিথ্যা অভিযোগ দেয়া হয়েছে দুদক কর্তারা অভিযোগ তদন্ত করলে এর সত্যতা বেরিয়ে আসবে। আর অভিযোগকারীকে চিনি না।”
    এদিকে দুদকে তার বিরুদ্ধে অভিযোগে উল্লেখ করা হয়েছে আলী মর্তুজা নামক ব্যক্তির কাছ থেকে কোনো টাকা নেইনি।
    সুনামগঞ্জের তাহিরপুর থানা পুলিশের সাবেক ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) নন্দন কান্তি ধরের বিরুদ্ধে দুর্নীতি দমন কমিশনে (দুদক)মঙ্গলবার দুপুরে দুদকের প্রধান কার্যালয়ে দুর্নীতি ও চাঁদাবাজির অভিযোগ দিয়েছেন সেলিম ইকবাল। তিনি একই উপজেলার উত্তর বন্দন এলাকার বাসিন্দা।
    তিনি অভিযোগ করেন,২০০ড্রেজারের মালিক তাহিরপুর থানা পুলিশের সাবেক ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) নন্দন কান্তি ধর সুনামগঞ্জের জাদুকাটা নদীতে এসব ড্রেজার বসিয়ে অবৈধভাবে প্রতিটিতে ১৫ হাজার টাকা করে দৈনিক প্রায় ৩০লাখ টাকা আয় করেছেন। গত তিন বছর তাহিরপুর থানার ওসি থাকা অবস্থায় এসব টাকা অবৈধপথে অর্জন করেছে।
    দুদকে দেয়া সেই অভিযোগে আরো বলা হয়,২০১৭সালে তাহিরপুর উপজেলায় যোগদানের পর থেকে ওসি নন্দন কান্তি ধর বিভিন্ন ধরনের চাঁদাবাজি, মিথ্যা মামলা দিয়ে মানুষকে হয়রানি ও রাষ্ট্রীয় সম্পদ আত্মসাৎ করেছেন। একই সঙ্গে জাদুকাটা নদীতে ড্রেজার বসিয়ে অবৈধভাবে বালুপাথর উত্তোলন করে কোটি কোটি টাকার মালিক হয়েছেন তিনি।
    সেলিম ইকবাল দুদকে দেয়া অভিযোগে আরও উল্লেখ করেছেন,ওসি নন্দন কান্তি ধর তাহিরপুরে নদী খনন থেকে শুরু করে বিভিন্ন মানুষের কাছ থেকে চাঁদাবাজি করে লাখ লাখ টাকার মালিক হয়েছেন। জায়গা ভরাট করে দেয়ার নামে তাহিরপুর উপজেলার বাসিন্দা মতুর্জা আলীর কাছ থেকে পাঁচ লাখ টাকা নিলেও জায়গা ভরাট করে দেননি ওসি নন্দন।
    ওসি নন্দন কান্তি ধরের তার অবৈধ টাকা দিয়ে ভারত ও সিলেটে বাড়ি নির্মাণ করেছেন বলেও অভিযোগ করেছেন সেলিম ইকবাল।
    জানা গেছে,২০১৯সালে তাহিরপুর উপজেলা থেকে বদলি হওয়ার পর বর্তমানে সুনামগঞ্জ পুলিশ লাইন্সে কর্মরত আছেন নন্দন কান্তি ধর। তিনি,২০১৬সালের ১০অক্টোবর তিনি পূর্ববর্তী কর্মস্থল ফে ুগঞ্জ থেকে তাহিরপুর থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা হিসেবে যোগদান করেন।
    এদিকে,সেলিম ইকবালের গ্রামের বাড়ি বিষয়ে খোঁজ করে তাহিরপুর উপজেলার উত্তর বন্দর নামে কোন গ্রাম পাওয়া যায় নি। আর অভিযোগে মোবাইল ফোন নাম্বার না থাকায় সেলিম ইকবালের বক্তব্য নেওয়া সম্ভব হয় নি।