আমারসিলেট টুয়েন্টিফোর ডটকম,০৩ মার্চঃ মৌলভীবাজারের কমলগঞ্জ থানার ভারপ্রাপ্ত পুলিশ কর্মকর্তাকে আকষ্কিকভাবে বদলী করা হয়েছে। গত বুধবার (২ মার্চ) মৌলভীবাজারের পুলিশ সুপারের নির্দেশনায় কমলগঞ্জ থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা মো: এনামুল হককে বদলী করে মৌলভীবাজার পুলিশ লাইনে নেওয়া হয়েছে।
কমলগঞ্জ থানা ও সিনিয়র সহকারী পুলিশ সুপার (সদর সার্কেল) সূত্রে জানা যায়, বুধবার রাতে আকস্মিক এক নির্দেশনায় কমলগঞ্জ থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা মো: এনামুল হককে মৌলভীবাজার পুলিশ লাইনে যেতে হয়েছে। কমলগঞ্জ থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (তদন্ত) বদরুল হাসান ঢাকায় এক প্রশিক্ষণে থাকায় আপাতত সিনিয়র উপ-পরিদর্শক জাহিদুল হক কমলগঞ্জ থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তার দায়িত্ব পালন করছেন। সিনিয়র উপ- পরিদর্শক জাহিদুল হক এনামুল হককে বদলী করে নেওয়ার কথা স্বীকার করে বলেন, আসলে কি কারণে তাকে বদলী করা হয়েছে তা তিনি জানেন না। তবে এমনিতেই এনামুল হকের বদলী হওয়ার সময়ও হয়ে গেছে।
মৌলভীবাজারের সিনিয়ির সহকারী পুলিশ সুপার (সদর সার্কেল) মোল্লা মোহাম্মদ শাহীন কমলগঞ্জ থেকে ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা এনামুল হককে বদলী করে মৌলভীবাজার নেওয়ার কথা নিশ্চিত করে বলেন, এটি একটি বিভাগীয় সিদ্ধান্ত। তবে একাধিক গোয়েন্দা সংস্থা সূত্র জানায়, এনামুল হক কমলগঞ্জে যোগদানের পর প্রথম দিকে বেশ সুনামের সাথে দায়িত্ব পালন করেছিলেন। বিগত এক বছর ধরে তিনি নানা বিষয়ে নিজেকে জড়িয়ে নিয়েছেন। তিনি মুঠোফোনে অনেকটা হমকি দিয়ে একজন সাংবাদিক ও একজন সহকারী পরিদর্শকের উপরও সাধারন ডায়েরী করেছেন। কমলগঞ্জ থানার পুরাতন ভবনে গড়ে তোলেন একটি রাম ছাগলের খামার। ক্রয় করেন একটি নোহা বক্সি মাইক্রোবাস। কমলগঞ্জে অবস্থান করলেও সঠিকভাবে থানায় দায়িত্ব পালন না করলেও নিজ বাসভবনে বসে সময় পার করতেন। তাঁর ভয়ে শিক্ষক, সামাজিক, রাজনৈতিক ব্যক্তিত্ব, ব্যবসায়ী নেতৃবৃন্দ থানায়ও যেতেন না।
কমলগঞ্জে সাংবাদিকদের সাথেও তার সু-সম্পর্ক ছিল না। গত এক বছর ধরে এনামুল হক বদলী হচ্ছেন বলে গঞ্জন শুনা গেলেও তাকে সংশ্লিষ্ট বিভাগীয় উর্দ্ধতন কর্মকর্তারা বদলী করেননি। গত এক বছরে কমলগঞ্জে আইন শৃঙ্খলা পরিস্থিতির বেশ অবনতি হয়েছে। সম্প্রতি গত ২৯ ফেব্রুয়ারি কমলগঞ্জে প্রধান বিচারপতি এস কে সিনহার বাড়ি এলাকায় বাঁশ ঝাড়ের তলায় একটি গ্যাস সিলিন্ডার পাওয়া নিয়ে আতঙ্ক সৃষ্টি হয়েছিল। এরই মাঝে আকস্মিকভাবে থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা এনামুল হককে বদলী করে নেওয়া হয়েছে।
কমলগঞ্জ উপজেলা পরিষদ চেয়ারম্যান ও উপজেলা আওয়ামীলীগের সাধারন সম্পাদক অধ্যাপক রফিকুর রহমান প্রতিক্রিয়া ব্যক্ত করে বলেন, আসলেই এনামুল হক কাউকেই মূল্যায়ন করতেন না। তাকে নিয়ে সাধারন মহলে এক আতঙ্ক ছিল। ভাল হয়েছে অবশেষে তাকে বদলী করে নেওয়ায়। তিনি মনে করেন একজন দক্ষ নতুন ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তাকে কমলগঞ্জে নিয়োগ দেওয়া উচিত।
