কানাডার রাজধানীতে আতংকঃব্যাপক তল্লাশি অব্যাহত

    0
    219

    আমারসিলেট24ডটকম,২৩অক্টোবরঃ কানাডার রাজধানী অটোয়াতে পার্লামেন্ট ভবনসহ কয়েকটি স্থানে গুলিতে একজন সেনা ও এক বন্দুকধারী নিহত হবার পর ব্যাপক তল্লাশি অভিযান অব্যাহত রয়েছে। শহরে এখনো আতংক বিরাজ করছে।

    বন্দুকধারীর গুলিতে ১জন সেনা নিহত হবার পর পুলিশের গুলিতে ১জন বন্দুকধারীও নিহত হয়েছেন।বন্দুকধারী একজন কানাডীয় নাগরিক বলে নিশ্চিত করেছে পুলিশ। পার্লামেন্ট ভবনসহ পুরো শহরের গুরুত্বপূর্ণ ভবন এখনো ঘিরে রেখেছে পুলিশ।

    ওই ঘটনার সঙ্গে আর কেউ জড়িত কি না তা বুঝতে অটোয়ার শহরতলিতে বাড়ি বাড়ি তল্লাশি চলছে।দেশটির প্রধানমন্ত্রী ঘোষণা করেছেন, “সন্ত্রাসী হামলায় ভয় পাবে না কানাডার মানুষ।”

    অপরদিকে অভিযানে সহায়তার প্রস্তাব দিয়েছেন মার্কিন প্রেসিডেন্ট বারাক ওবামা।

    রাজধানী অটোয়াতে বুধবার সকালের দিকে স্মৃতিসৌধের কাছে প্রথম গুলির ঘটনা ঘটে। সেখানে কর্তব্যরত এক সেনার ওপর একজন বন্দুকধারী গুলি ছুড়লে নিহত হন তিনি।

    এর পরই বন্দুকধারী একটি গাড়ি ছিনতাই করে পার্লামেন্ট ভবনে দিকে যায় এবং ভবনে ঢুকে পড়ে। সেখানে কর্তব্যরত পুলিশের সঙ্গে ব্যাপক গোলাগুলি হয়েছে বলে জানা গেছে।

    পার্লামেন্ট ভবনে ওই বন্দুকধারী নিহত হয়েছেন। তখন ভেতরে ছিলেন দেশটির প্রধানমন্ত্রী স্টিভেন হারপার, বেশ কজন মন্ত্রী ও সংসদ সদস্য।

    তবে প্রধানমন্ত্রী হারপারসহ বাকিরা নিরাপদে রয়েছেন। পার্লামেন্ট ভবন সহ ৩টি এলাকায় গুলির ঘটনা ঘটেছে।

    ঘটনার এক প্রত্যক্ষদর্শী বলছিলেন , “আমি প্রথমে একটি কালো গাড়ি দেখলাম। তারপর দেখলাম চালকের আসন থেকে বন্দুকধারী একজন বের হলো। তারপর দৌড়ে পার্লামেন্ট ভবনের ভেতরে ঢুকে গেলো।তার পেছনে ছুটছিলেন একজন পুলিশ। তারপরই শুনলাম গুলির শব্দ।”

    এই গুলির ঘটনায় নিরিবিলি শহর অটোয়ায় আতংক ছড়িয়ে পড়ে। পুরো শহরের রাস্তাঘাট খালি হয়ে যায়।শহরের স্কুল, লাইব্রেরি, বিশ্ববিদ্যালয়, কয়েকটি দূতাবাস ও বহু গুরুত্বপূর্ণ ভবন বন্ধ করে দেয় পুলিশ।

    খালি করে ফেলা হয় পার্লামেন্ট ভবনের আশপাশের এলাকা। শহরের মানুষজনকে বাড়ি থাকার অনুরোধ করা হয়। জানালা ও ছাদ থেকে দূরে থাকার পরামর্শ দেয়া হয়।

    বন্দুকধারী একজনই নাকি তার কোন সহযোগী ছিল তার খোজে অটোয়ার শহরতলিতে বিশাল এলাকা জুড়ে বাড়ি বাড়ি তল্লাশি চালায় পুলিশ। শহরের পুলিশ প্রধান এক সংবাদ সম্মেলনে প্রত্যক্ষ তথ্য নিয়ে সামনে আসার অনুরোধ করেন।

    কানাডাতে এ ধরনের গুলির ঘটনার নজির খুব বেশি নেই। তবে সোমবার একজন ধর্মান্তরিত মুসলিমের গাড়িচাপায় নিহত হন এক সেনা। এরপর নিরাপত্তা জোরদার করা হয়।

    অন্যদিকে এ মাসের শুরুতে মার্কিন নেতৃত্বে সিরিয়া ও ইরাকে ইসলামিক স্টেটের বিরুদ্ধে যুদ্ধে সামিল হবার ঘোষণা দিয়েছে কানাডা।এই ঘটনার সঙ্গে তার কোনো সম্পর্ক আছে কি না এখন তা খতিয়ে দেখা হচ্ছে। সুত্রঃ বিবিসি।