আমারসিলেট টুয়েন্টিফোর ডটকম,২৪ফেব্রুয়ারি,নড়াইল প্রতিনিধিঃ নড়াইলের কালিয়ায় যৌতুক লোভী স্বামী গৃহবধূ মনিরা বেগমকে (২৩) পিটিয়ে ও মুখে গরম লোহার ছুরির স্যাকা দিয়ে ক্ষতবিক্ষত করে হত্যার চেষ্টা চালিয়েছে বলে অভিযোগ পাওয়া গেছে। পুলিশ নরপশু স্বামী সাদ্দাম শেখকে (২৮) আটক করেছে।
নির্যাতিতা গৃহবধুকে মুমুর্ষূ অবস্থায় খুমেক হাসপাতালে ভর্তি করা হয়েছে। শুক্রবার গভীর রাতে উপজেলার বেন্দারচর গ্রামে ঘটেছে নৃশংস ওই নির্যাতনের ঘটনা। এ ঘটনায় কালিয়া থানায় মামলা হয়েছে।
মামলার বিবরনে জানা যায়, উপজেলার কুঞ্জপুর গ্রামের রজব আলীর মেয়ে মনিরা বেগমের সাথে বেন্দারচর গ্রামের মৃত ফুল মিয়া শেখের পুত্র সাদ্দামের সাথে প্রায় এক বছর আগে বিয়ে হয়। বিয়ের পর থেকে যৌতুকের কারনে মনিরার উপর নেমে আসে নির্যাতন। এক পর্যায়ে নির্যাতন সহ্য করতে না পেরে মনিরা নড়াইল আদালতে যৌতুক আইনে মামলা দায়ের করে। মামলার ফাঁদ থেকে বাঁচতে সাদ্দাম স্ত্রীকে যৌতুকের জন্য আর নির্যাতন করবেনা মর্মে আদালতে মুচলেকা দিয়ে মনিরাকে প্রায় ৩ মাস আগে ঘরে তুলে নেয়।
ঘটনার দিন রাতে সাদ্দাম স্ত্রী মনিরাসহ বাড়ির লোকজনকে জানায় তার নামে থানায় মামলা হয়েছে। পুলিশে ধরতে পারে বলে, গ্রেফতার এড়ানোর অজুহাতে স্ত্রীকে সংগে নিয়ে রাত কাটানোর জন্য প্রতিবেশী জাহাঙ্গীর শেখের পরিত্যাক্ত বাড়িতে চলে যায়। স্ত্রীকে সেখানে নিয়ে একই গ্রামের আনছার শেখের পুত্র কোবাদ শেখের সহযোগিতায় ঘরে আটকে বেধড়ক পিটুনী ও আগুন জেলে লোহার ছুরি গরম করে মনিরার মুখে ও শরীরের বিভিন্ন স্থানে স্যাকা দিতে শুরু করে এবং ওই ছুরি দিয়েই হত্যার হুমকি দিতে থাকে। মনিরার আর্ত চিৎকারে পাশ^বর্তী লোকজন কালিয়া থানা পুলিশকে জানালে পুলিশ স্বামীর নির্যাতনে ক্ষতবিক্ষত মনিরাকে ওই বাড়ি থেকে উদ্ধার করে কালিয়া হাসপাতালে ভর্তি করলে অবস্থা আশংকা জনক হওয়ায় উন্নত চিকিৎসার জন্য চিকিৎসকরা তাকে খুলনা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে প্রেরন করেন।
কালিয়া থানার ওসি শেখ শমসের আলী জানান, ওই ঘটনায় মনিরা বেগম বাদি হয়ে সাদ্দাম ও তার সহযোগী কোবাদ শেখের নামে মামলা দায়ের করেছে। প্রধান আসামী মনিরার স্বামী সাদ্দামকে (২৮) রাতেই আটক করা হয়েছে। অপর আসামীকে গ্রেফতারের জন্য পুলিশী অভিযান অব্যাহত রয়েছে।