কাশিমপুর মহিলা কেন্দ্রীয় কারাগারের ভিআইপি সেল প্রস্তুত

    0
    241

    আমারসিলেট টুয়েন্টিফোর ডটকম,৬ফেব্রুয়ারীকাশিমপুর মহিলা কেন্দ্রীয় কারাগারের ‘রজনীগন্ধা-১’ এবং ‘রজনীগন্ধা-২’ নিয়ে হঠাৎ করেই ব্যস্ত সময় পার করছে কারা কর্তৃপক্ষ। ভিআইপি বন্দীদের জন্য দ্বিতলবিশিষ্ট এই ভবন দুটি নিয়েই এখন ব্যস্ত তারা। চুনকাম থেকে শুরু করে ভিআইপি এই সেলের সব ধরনের আসবাবপত্র ঠিকঠাক আছে কি না, এ নিয়ে ব্যস্ত সময় কাটছে কারা কর্তৃপক্ষের। নিশ্চিত করা হয়েছে নির্বিঘ্নে বিদ্যুৎ ও পানি সরবরাহের বিষয়টি।

    বিশেষ পরিচর্যার আওতায় এসেছে ভিআইপি সেলগুলোর সামনের ফুল বাগানগুলোও। সূত্র জানিয়েছে, গোপনীয়তা রক্ষা করে অত্যন্ত দ্রুততার সঙ্গে ভিআইপি মহিলা সেলটি সাজানোর কাজটি সম্পন্ন করা হচ্ছে। দেশে অস্থির রাজনৈতিক পরিস্থিতিতে হঠাৎ ভিআইপি মহিলা সেল প্রস্তুত রাখতে কারা কর্তৃপক্ষের এই ব্যস্ততা ঘিরে রীতিমতো চাঞ্চল্যের সৃষ্টি হয়েছে। তবে কাশিমপুর মহিলা কেন্দ্রীয় কারাগারের জেল সুপার জাহানারা বেগম বাংলাদেশ প্রতিদিনকে বলেন, সম্প্রতি শেষ হওয়া ‘কারা সপ্তাহ’ উপলক্ষে সারা দেশের সব কারাগারের পাশাপাশি এই কারাগারেও সংস্কারের কাজ হয়েছে। এ ছাড়া পরিচর্যা তো করতেই হয়। হঠাৎ ধোয়ামোছার জন্য বিশেষ কোনো নির্দেশনা রয়েছে কি না- এমন প্রশ্নের উত্তর দিতে অপারগতা প্রকাশ করেন ওই জেলার।

    সংশ্লিষ্টরা বলছেন, ডিভিশনপ্রাপ্ত মহিলা বন্দীদের জন্য যে কোনো সময় প্রয়োজন পড়তে পারে ভিআইপি সেল। তাই দীর্ঘদিন ধরে অব্যবহৃত ভিআইপি সেলগুলো প্রস্তুত করার কাজ চলছে। ভিআইপি মহিলা বন্দীদের জন্য নির্ধারিত সেলগুলো দীর্ঘদিন অব্যবহৃত অবস্থায় ছিল। এসব সেল ব্যবহারের উপযোগী করা হচ্ছে। কারা সপ্তাহ উপলক্ষে সম্প্রতি প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার পরিদর্শন উপলক্ষে কাশিমপুরের কারাগারগুলোয় চুনকাম থেকে শুরু করে পরিষ্কার-পরিচ্ছন্নতা অভিযান চালানো হয়েছিল।

    তবে এরই মধ্যে দেড় মাস অতিবাহিত হয়ে গেছে। ধুলো-ময়লা জমে গিয়েছিল ভিআইপি সেলের আসবাবপত্রে। কারাগারের একটি সূত্র জানায়, ২০০ জন বন্দীর ধারণক্ষমতাবিশিষ্ট কাশিমপুর মহিলা কেন্দ্রীয় কারাগারের ভিআইপি বন্দীদের রাখার জন্য দুটি ভবনে ১২টি কক্ষ রয়েছে। তবে এসব কক্ষ দীর্ঘদিন ধরে ব্যবহার করা হচ্ছিল না। গত ২০১৩ সালে সর্বশেষ বিএনপির শীর্ষস্থানীয় নেত্রী ও সাবেক মন্ত্রী সেলিমা রহমান এবং সাবেক সংসদ সদস্য শাম্মী আখতারকে ভিআইপি সেলগুলোয় রাখা হয়েছিল।

    সূত্র জানায়, গত ২০১৩ সালের অক্টোবরে হঠাৎ করেই এমন করে মহিলা সেলগুলোর সংস্কারের উদ্যোগ নিয়েছিল কারা কর্তৃপক্ষ। সে সময় দ্রুততার সঙ্গে এসব সংস্কারকাজ শেষ করতে গিয়ে টেন্ডার আহ্বানেরও সময় পায়নি কারা কর্তৃপক্ষ। এ কারণে কাশিমপুর-১ থেকে জরুরি ভিত্তিতে জাজিম, তোশক, বালিশ নিয়ে আসা হয়েছে এসব ভিআইপি সেলে। এ ছাড়া চেয়ার- টেবিলসহ অন্যান্য সামগ্রী বাইরে থেকে কিনে সাজানো হয়েছিল সেল। নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক ঊধর্্বতন এক কারা কর্মকর্তা বলেন, হঠাৎ করেই ভিআইপি সেলগুলো সাজাতে হচ্ছে।

    কিছুদিন আগেও রজনীগন্ধা-১ এবং রজনীগন্ধা-২-এর অনেকগুলো কক্ষে লোহার খাট থাকলেও ছিল না জাজিম, তোশক, বালিশ। টয়লেটেও পানি সরবরাহ ঠিকমতো হতো না। পানির ট্যাংকে জং ধরে যাওয়ায় পানি চুইয়ে পড়ত। তবে বর্তমানে সবগুলো কক্ষই টিপটপ। প্রতিটি টয়লেটেই লাগানো হয়েছে হাই-কমোড। নতুন করে চুনকাম করায় চাকচিক্যও বেড়েছে দেয়ালগুলোতে।

    ওই কর্মকর্তা আরও বলেন, কারাবিধি অনুযায়ী ডিভিশনপ্রাপ্ত বন্দীরা যেসব সুযোগ-সুবিধা পাওয়ার কথা, তার সবকিছুরই ব্যবস্থা রাখা হয়েছে। সব মিলিয়ে ভিআইপি বন্দীদের জন্য কাশিমপুর কারাগারের মহিলা সেল পুরোটাই প্রস্তুত বলতে পারেন। সুত্রঃবাংলাদেশ প্রতিদিন।