আমারসিলেট টুয়েন্টিফোর ডটকম,২৮নভেম্বরঃ সিলেটের সরকারি মহিলা কলেজের শিক্ষার্থী খাদিজা আক্তার নার্গিসকে স্কয়ার হাসপাতাল থেকে ছাড়পত্র দেয়া হয়েছে।
দীর্ঘ দিন রাজধানী স্কায়ার হাসপাতালে চিকিৎসার পর সোমবার সকাল ১১ টা ২০ মিনিটে খাদিজা আক্তার নার্গিসকে সাভারের পক্ষাঘাতগ্রস্তদের পুনর্বাসন কেন্দ্রে (সিআরপি) আনা হয়েছে।
সাভার উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সের এ্যাম্বুলেন্সে করে তাকে আনা হয়। এসময় চিকিৎসকের পাশাপাশি খাদিজার বাবা মাসুক মিয়াও সাথে ছিলেন।
খাদিজাকে প্রথমে সিআরপির মেডিকেল উহং এর প্রধান ডা. সাইদ উদ্দিন হেলাল প্রাথমিকভাবে শারীরিক অবস্থা দেখেন।
তিনি জানান, প্রথমিকভাবে দেখা যাচ্ছে খাদিজার বাম পা ও হাত অবশ। তাকে দ্রুত সুস্থতার মাধ্যমে স্বাভাবিক কাজকর্মে ফেরানোর লক্ষ্যে কাজ করা হবে। শারীরিক অবস্থা বিবেচনা করে পরবর্তীতে খাদিজার চিকিৎসাসেবা বিষয়ে আরো সিদ্ধান্ত নেয়া হবে বলে জানান।
স্কয়ার হাসপাতালের কাস্টমার কেয়ার অফিসার জাহাঙ্গীর আলম জানান, সোমবার সকালে তাকে ছাড়পত্র দেয়া হয়। খাদিজা হাঁটা চলা করতে পারে না। তাকে ফিজিওথেরাপি দেয়ার জন্য সিআরপিতে পাঠানো হয়েছে।
এর আগে গত শনিবার স্কয়ার হাসপাতালে খাদিজার চিকিৎসার অগ্রগতি জানাতে সংবাদ সম্মেলন করা হয়। সেখানে খাদিজা জানান তিনি ভালো আছে। পুরোপুরি সুস্থ হওয়ার জন্য সবার কাছে দোয়া চান।
খাদিজার চিকিৎসার ব্যয় সম্পর্কে জানতে চাইলে স্কয়ার হাসপাতালের মেডিক্যাল সার্ভিসেস ডিরেক্টর ডা. মির্জা নাজিম উদ্দিন জানান, কী পরিমাণ ব্যয় হয়েছে তা তিনি জানেন না।
তবে একটি সূত্র জানিয়েছে, স্কয়ার হাসপাতালে খাদিজার চিকিৎসায় সাড়ে ১৭ লাখ টাকার মতো ব্যয় হয়েছে। খাদিজা স্কয়ারে ভর্তির পর সরকারের পক্ষ থেকে খাদিজার চিকিৎসার সব ব্যয় বহনের দায়িত্ব নেয়া হয়।
খাদিজার বাবা মাসুক মিয়া জানান, স্কয়ার হাসপাতাল ছাড়ার সময় তার কোনো টাকা দেয়া লাগেনি। সরকার সব টাকা দিয়েছে। শুনেছি সাড়ে ১৭ লাখ টাকা ব্যয় হয়েছে।
খাদিজা স্কয়ার হাসপাতালে ১১২৯ নম্বর কেবিনে চিকিৎসাধীন ছিলেন।
উল্লেখ্য, গত ৩ অক্টোবর বিকালে সিলেটের এমসি কলেজ ক্যাম্পাসে সরকারি মহিলা কলেজের ডিগ্রি দ্বিতীয় বর্ষের শিক্ষার্থী নার্গিস বেগম খাদিজার (২৩) ওপর হামলা চালায় শাহাজালাল বিশ্ববিদ্যালয়ের অর্থনীতি বিভাগের শেষ বর্ষের ছাত্র বদরুল আলম।
এ সময় চাপাতি দিয়ে খাদিজার শরীরের বিভিন্ন স্থানে উপর্যুপুরি কোপাতে থাকেন বদরুল। এতে খাদিজার মাথা ও পায়ে গুরুতর আঘাতপ্রাপ্ত হয়।
স্থানীয়রা তাকে উদ্ধার করে ওসমানী হাসপাতালে নিয়ে যান। সেখানে তার মাথায় অস্ত্রোপচার করে সেলাই দেয়া হয়।
পরে অবস্থার অবনতি হওয়ায় ৪ অক্টোবর ভোরে তাকে নিয়ে যাওয়া হয় ঢাকার স্কয়ার হাসপাতালে।