আমরা হাসবো না কাঁদবো ? প্রধান বিচারপতি এস কে সিনহা

    0
    229

    আমার সিলেট টুয়েন্টিফোর ডটকম,২৯মেঃ প্রধান বিচারপতি সুরেন্দ্র কুমার সিনহা বলেছেন, “অল্প বিদ্যা ভয়ঙ্কর। আইন মন্ত্রণালয় যদি আইনের ব্যাখ্যা দিয়ে বলে এটাই কারেক্ট, তাহলে মারাত্মক ভুল করবে। আইন না জেনে মন্ত্রণালয় ব্যবধান সৃষ্টি করছে, যা ঠিক হচ্ছে না। রাষ্ট্র এ রকম করতে পারে না। সুপ্রিম কোর্টের প্রত্যেকটি সিদ্ধান্ত সিনিয়র বিচারকরা চিন্তা করে নেন।”
    সোমবার নিম্ন আদালতের বিচারকদের চাকরির শৃঙ্খলাবিধি গেজেট প্রকাশে শুনানিকালে অ্যাটর্নি জেনারেল মাহবুবে আলমকে উদ্দেশ্যে করে তিনি এসব কথা বলেন।
    এদিন, অ্যাটর্নি জেনারেলের আবেদনে গেজেট প্রকাশে আরো দুই সপ্তাহ সময় দেন প্রধান বিচারপতির নেতৃত্বে ৭ বিচারপতির আপিল বেঞ্চ।

    পরে সুরেন্দ্র কুমার সিনহা বলেন, “আমরা হাসবো না কাঁদবো?। হাসার জন্যও তো মনের একটা কষ্ট হয়। যাই হোক, আমি কিছু বলছি না। আমি আপনার সময় আবেদনের যথার্থতা বুঝতে পেরেছি।”

    গত ৯ মে সুপ্রিম কোর্টের জারি করা এক সার্কুলারে বলা হয়, “বিচারিক পদে কর্মরত বিচার বিভাগীয় কর্মকর্তা, আইন মন্ত্রণালয়, সংসদ সচিবালয় বা যেখানে প্রেষণে কর্মরত থাকুক না কেন, সুপ্রিম কোর্টের পরামর্শ ছাড়া বিদেশ গমন না করার নির্দেশ প্রদান করা হয়েছে।”

    এরপর গত ১৬ মে আইন মন্ত্রণালয় সুপ্রিম কোর্টের রেজিস্ট্রার জেনারেলের কাছে একটি চিঠি পাঠায়।

    চিঠিতে রাষ্ট্রপতির অনুমোদন নিয়ে গত বছরের ১১ এপ্রিল মন্ত্রণালয় থেকে জারি করা একটি চিঠির কথা উল্লেখ করে বলা হয়, “২০১৬ সালের ১৪ ফেব্রুয়ারি সুপ্রিম কোর্টের একটি স্মারকপত্রের প্রেক্ষিতে অধস্তন আদালতের বিচারকরা প্রেষণে কর্মরত থাকাকালে বিদেশ যাত্রার ক্ষেত্রে সুপ্রিম কোর্টের পরামর্শ গ্রহণের আবশ্যকতা নেই। রাষ্ট্রপতির অনুমতি নিয়ে প্রেষণে থাকা বিচারকরা বিদেশ গমন করেছেন এবং করছেন।”

    প্রধান বিচারপতি বলেন, “যতো বিচার বিভাগীয় কর্মকর্তাকে ডেপুটেশনে দিয়েছি, যদি তাদের প্রত্যাহার করি, তাহলে কারো কিছু করার নেই।”

    তিনি আরো বলেন, “বিচারকদের ডেপুটেশনে দিয়ে নির্বাহী বিভাগের সঙ্গে সুষ্ঠুভাবে কাজ করার জন্য হাত বাড়িয়ে দিয়েছি। ১৮৯৭ সালের সেকশন জেনারেল ক্লজ অ্যাক্ট ২১ দেখেন। যদি না হয় এটা ডিলেট করে দেন। এটা এতো দিন ধরে চলে আসছে।”