যে কোন সময় রক্তক্ষয়ী সংঘর্ষের আশংকা করছে স্থানীয়রা
চুনারুঘাট (হবিগঞ্জ) প্রতিনিধিঃ হবিগঞ্জের চুনারুঘাট উপজেলার মিরাশী ইউনিয়নের জালিয়াবস্তি গ্রামের মৃত ওয়াছ উল্লার পুত্র মফিল মিয়া (৪২) এর দখলীয় মুছিকান্দি পূর্ব পাহাড় সরকারি খাস ১৮ ক্ষের (কেয়ার) টিলা রকম ভূমি নিয়ে দু’পক্ষের মধ্যে উত্তেজনা বিরাজ করছে।
স্থানীয় সূত্রে জানা যায়, আজ শুক্রবার ১০টার দিকে উপজেলার মিরাশী ইউনিয়নের গাতাবলা গ্রামের কনা মিয়ার পুত্র জিতু মিয়া ও আফরোজ মিয়া, বোন জামাই আব্দুল হক, মীর হোসেনের পুত্র দুলাল মিয়া, রানীগাঁও ইউনিয়নের কালিকাপুর গ্রামের মৃত শামছুল হকের পুত্র এনামুল হক গংরা অর্ধ শতাধিক লোকজন নিয়ে জোর পূর্বক বেলজিয়াম, আকাশি গাছের চারা নিয়ে বিরোধপূর্ণ খাস টিলায় রোপন করে।
এ বিষয়ে মফিল মিয়া জানান, দীর্ঘ ৪০ বৎসর ধরে ১৩৭ নং জে.এল স্থিত কলিঙ্গছড়া মৌজার অন্তর্গত ২৯ নং খতিয়ানে ২৪০ নং দাগে ৪৮ শতক সহ মোট ১৮ ক্ষের টিলা রকম ভূমি ফল-ফলাদি ফলাইয়া তিনি পরিবার-পরিজন নিয়ে জীবন-যাপন করে আসছেন। উক্ত খাস টিলা জমি নিয়ে উভয়ের মাঝে সংঘর্ষ হলে চুনারুঘাট থানা পুলিশকে খবর দিলে চুনারুঘাট থানার এ.এস.আই বাতেন সহ একদল পুলিশ ঘটনাস্থলে গিয়ে পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আনে।
উক্ত ১৮ ক্ষের সরকারি টিলা খাস জমি নিয়ে উভয়ের মাঝে যে কোন সময় রক্তক্ষয়ী সংঘর্ষের আশংকা দেখা দিতে পারে বলে স্থানীয় এলাকাবাসীরা জানান।
এ দিকে জিতু মিয়া, এনাম মিয়া, আফরোজ মিয়াদের কাছে জানতে চাইলে তারা বলেন- উক্ত ১৮ ক্ষের টিলা রকম ভূমি আমাদের পূর্ব পুরুষরা ভোগদখলে ছিলেন। সেই সূত্রে আমরা এর মালিক। অন্যদিকে উক্ত ১৮ ক্ষের খাস টিলা জায়গা নিয়ে মফিল মিয়া বাদী হয়ে বিজ্ঞ আদালতে মামলা দায়ের করলে মামলাটি তদন্তাধীন রয়েছে।
মামলা দায়েরের পর থেকে বিবাদীরা বাদী মফিল মিয়াকে হুমকি-ধামকি প্রদর্শন করলে গত ১৯ জুলাই মফিল মিয়া বিজ্ঞ আদালতে দরখাস্ত মামলা নং- ৪০৪/১৯, ধারা- ফৌ: কা: বি: ১০৭/১১৪/১১৭(সি) ধারায় এবং সি.আর মামলা নং- ২৬৭/১৮, ধারা- ১৪৩/১৪৭/৩২৩/৩২৪/৩০৭/৩৮২/১১৪/৩৪ ধারায় মামলা দায়ের করেন।
ডিবির তদন্তকারী কর্মকর্তা এস.আই মোজাম্মেল হক গত বৃহস্পতিবার ঘটনার বিষয়টি সরেজমিনে তদন্ত করেন। এর পরই গতকাল শুক্রবার প্রভাবশালী এনাম মিয়া, দুলাল মিয়া, জিতু মিয়া, আফরোজ মিয়া গংরা প্রায় অর্ধশতাধিক লোকজন নিয়ে বিরোধীয় টিলা জমিতে প্রায় ৫ শতাধিক চারা রোপন করে। এ নিয়ে উভয়ের মাঝে টানটান উত্তেজনা বিরাজ করছে।
এদিকে হবিগঞ্জের জেলা প্রশাসক, চুনারুঘাট উপজেলা নির্বাহী অফিসারসহ প্রশাসনের উর্ধ্বতন কর্তৃপক্ষের নিকট সুবিচার পাওয়ার জন্য এলাকার নিরীহ অসহায় মৃত ওয়াছ উল্লার পুত্র মফিল মিয়া সুদৃষ্টি কামনা করছেন।
