চুনারুঘাটে বয়স্ক ও প্রতিবন্ধীদের ভাতা নিতে চরম ভোগান্তি

    0
    258

    “বাংলাদেশ কৃষি ব্যাংক আমুরোড শাখার এরুপ কর্মকাণ্ডের প্রতি ইউপি চেয়ারম্যান’র  তীব্র প্রতিবাদ” 

     চুনারুঘাট (হবিগঞ্জ) প্রতিনিধিঃ হবিগঞ্জের চুনারুঘাট উপজেলার গাজিপুর ও আহম্মদাবাদ ইউনিয়নের  বয়স্ক, বিধবা ও প্রতিবন্ধীদের  সরকারি ভাতা দেওয়া হয় বাংলাদেশ কৃষি ব্যাংক আমুরোড শাখা থেকে। পাহাড়ী এলাকা সহ ১০/১৫ কিলোমিটার দূর থেকেও এ ভাতা নিতে আসেন হোল্ডাররা। তাদের মধ্যে কেউ কেউ একেবারে দৃষ্টিহীন, অচল, শত বছর উর্ধ বয়সী। প্রতি বারই ভাতা নিতে এসে ব্যাংক স্টাফদের গাফিলতের শিকার হয়ে সারা দিন বসে থেকে বেলা শেষে খালী হাতে ফিরে যেতে হয় কর্মক্ষম এ মানুষ গুলোকে।
    গত কয়েক বছর ধরেই এ ভোগান্তির মধ্য দিয়ে তাদের ভাতা গ্রহন করতে হচ্ছে। তারা সকাল নয়টা থেকে দশটার মধ্যে এসে ব্যাংকে হাজির হলেও ভাতার টাকা দেওয়া শুরু হয় দুপুরের পর থেকে। অফিস টাইম পার হয়ে গেলে অবশিষ্টদের বলা হয় পরদিন আসতে। কেউ এর প্রতিবাদ করলে তাকে লাঞ্ছিত হতে হয় স্থানীয় এক কর্মকর্তা দ্বারা। এ কর্মকর্তাকে একশো টাকা দিলে তিনি আগে পাইয়ে দেওয়ার ব্যাপারে সহযোগীতা করেন। এ নিয়ে সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যম  ফেইসবুক সহ স্থানীয় পত্র-পত্রিকায় প্রতিবেদনও প্রকাশ হয়। কিন্তু নিজেদের মত করেই কার্যক্রম অব্যাহত রাখে ব্যাংকটি।
    ব্যাপারটি স্থানীয় ইউপি চেয়ারম্যান আলহাজ্ব আবেদ হাসনাত চৌধুরী সনজুকে অবগত করেন একাধিক ভোক্তভোগী।
    ১৬ জুন বেলা আড়াইটায় সরেজমিনে বিষয়টি পর্যবেক্ষণ করতে আসেন চেয়ারম্যান সনজু চৌধুরী। তখন অফিস টাইম শেষ হতে বাকী আর মাত্র দেড় ঘন্টা। ভাতা দেওয়া হয়েছে তিন ভাগের এক ভাগ ভোক্তাদের।
    ভোক্তাদের কথাবার্তা শুনে ও নিজ চোখে তাদের বিড়ম্বনা দেখে ব্যাংকের ম্যানেজারকে এ ভোগান্তির কারণ জানতে চাইলে ম্যানেজার নিজে কোনো উত্তর না দিয়ে আবুল কালাম নামের স্থানীয় একজন কর্মকর্তাকে পাঠিয়ে দেন। আবুল কালাম নিজেদের গাফিলতার কথা শিকার না করে উল্টো হোল্ডারদের দোষারোপ করার চেষ্টা করলে  চেয়ারম্যান ক্ষুব্ধ হন। তিনি উপস্থিত জনগনের সামনে এর জোরালো প্রতিবাদ করেন। ভবিষ্যতে এমন করলে এর জন্য যথাযথ ব্যবস্থা গ্রহন করবেন বলেও জানান তিনি। চেয়ারম্যানের এ প্রতিবাদ ও হুঁশিয়ারিতে  ভোক্তভোগীরা সন্তুস প্রকাশ করেন।
    প্রতিবন্ধী, বয়স্ক ও বিধবাদের দাবী তারা দুর-দুরান্ত থেকে অসুখ-বিসুখ নিয়ে আসেন। তাদেরকে যেন এককালিন ভাতার জন্য দুই-তিন বার না আসতে হয় সে ব্যবস্থা করা। পাশাপাশি স্থানীয় কর্মকর্তার কাছ থেকে সুন্দর ব্যবহার নিশ্চিত।
    এ ব্যাপারে চুনারুঘাট উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা মঈন উদ্দীন ইকবাল বলেন, প্রতিবন্ধী, বিধবা ও বয়স্কদের বিড়ম্বনা মেনে নেওয়ার নয়। তিনি  অচিরেই এর একটা বিহীত করবেন।