চুনারুঘাট শিক্ষা অফিসার হাসানের বিরুদ্ধে দুর্নীতির অভিযোগ

    0
    246

    আমারসিলেট24ডটকম,০৮ডিসেম্বর,এস,এম,সুলতান খানচুনারুঘাট উপজেলার প্রাথমিক শিক্ষা অফিসার হাসান মোহাম্মদ জুনায়েদের বিরুদ্ধে ব্যাপক অনিয়ম ও দুর্নীতির অভিযোগ উঠেছে। সদ্য সমাপ্ত প্রাথমিক সমাপনী পরীক্ষায় প্রধান পরীক্ষক, হল সুপার, সহঃ হল সুপার, পর্যবেক্ষকসহ বিভিন্ন পদে নীতিমালা লঙ্গন ও একঘোয়েমী মনোভাব পোষন করে পরীক্ষা সম্পন্ন করেছেন। নিজের ইচ্ছেমত প্রশাসনিক শক্তি ব্যবহার করে দীর্ঘদিনের অভিজ্ঞ প্রধান শিক্ষকগণকে বাদ দিয়ে নবাগত প্রধান শিক্ষকগণকে হল সুপার ও অভিজ্ঞদের সহঃ হল সুপার করায় চুনারঘাটের সকল প্রধান শিক্ষক ও সহকারী শিক্ষগণের মধ্যে চাপা ক্ষোভ বিরাজ করেছে।

    প্রাথমিক শিক্ষা অফিসার হাসান মোঃ জুনায়েদের একরোখা নীতির কারণে সোয়া দুই বছরের চাকুরীর জীবনে তিন কর্মস্থলে বদলী হতে হয়েছেন। তাহার কর্কশ ও অশুভ আচরণে বিক্ষোদ্ধ সকল প্রাথমিক শিক্ষকগণ। অনুসন্ধানে জানা যায়, কিছুদিন পূর্বে কালেঙ্গা সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ে দুইজন শিক্ষিকাকে দুহাত জোর করে মাফ চাইতে হয়েছে। এ সময় ওই শিক্ষিকাদেরকে বেতন সার্ভিসবুকে লাল কালী দিয়ে দিবেন বলেও হুমকি দিয়েছেন।

    তারা প্রাথমিক শিক্ষা অফিসারের নিকট কোন বিষয়ে জানতে চাইলে তিনি অশালীনভাবে আচরণ করেন শিক্ষকদের নিকট। নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক একজন শিক্ষিকা জানান, প্রাথমিক শিক্ষা অফিসারের রুমে প্রবেশ করতে প্রয়োজনীয় কাজ নিয়ে ঘণ্টাখানেক সময় দাড়িয়ে থাকতে হয়। প্রাথমিক শিক্ষার মান উন্নয়নে হবিগঞ্জ জেলার দ্বিতীয় স্থান চুনারুঘাট উপজেলা হলেও জুনায়েদের চোখে একটি বাজে উপজেলা বলে মন্তব্যও করেন।

    এদিকে নালমুখ সাবিহা চৌধুরী উচ্চ বিদ্যালয়ের কেন্দ্র সচিবের দায়িত্ব নেওয়ার জন্য রাত্র ৯ ঘটিকার সময় ফোন দিয়ে বলেন দায়িত্ব নিতে অপারগতা প্রকাশ করলে বাজে আচরণ ও দেখে নিবেন বলে হুমকী দেন। জারুলিয়া পরীক্ষা কেন্দ্র ইকরতলী সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের ছাত্র-ছাত্রীরা নিয়ম বহির্ভূতভাবে পরীক্ষা দিয়েছে।

    যেখানে প্রধান শিক্ষকদেরকে হল সুপার দেওয়ার কথা সেখানে সহকারী শিক্ষিকা শীলা সিংহাকে ইনভিজিলেটর নিয়োগ দিয়ে পরীক্ষা নেওয়া হয়। এ ব্যাপারে প্রাথমিক শিক্ষা অফিসার হাসান মোঃ জুনায়েদ এর নিকট শিক্ষক/শিক্ষিকারা অবহিত করলে তিনি কাহারো মাথা ঘামানোর প্রয়োজন নেই বলে শিক্ষক/শিক্ষিকাদের শাষিয়ে দেন এবং তা দেখার দায়িত্ব প্রাথমিক শিক্ষা অফিসারের বলেও জানান।

    বাংলাদেশ ও বিশ্ব পরিচয় প্রাথমিক বিজ্ঞান, ইসলাম ও নৈতিক শিক্ষা বিষয় সমূহে নিরীক্ষক ও পরীক্ষকের চিঠি পেয়ে কর্তব্য কাজে আসলে শিক্ষকদেরকে ফিরিয়ে দেন। এ বিষয়ে প্রধান পরীক্ষকদেরকে জিজ্ঞাসা করলে তারা এ ব্যাপারে শিক্ষা অফিসারই ভাল জানেন বলে শিক্ষকরা জানান। প্রাথমিক শিক্ষা অফিসার তিনি রাতের বেলায়ও মহিলা শিক্ষিকাদের দিয়ে রাত ৯ টায় চিঠি বিলি করিয়েছেন। এ নিয়ে স্বামীর সঙ্গে এক শিক্ষিকার ঝগড়া হয়েছে।

    এ কি আইন? অনেক শিক্ষিকা নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক তারা জানান, প্রাথমিক শিক্ষা অফিসার হাসান মোঃ জুনায়েদ আসার পর থেকে তাদের সাথে বাজে আচরণ করে চলেছেন। ফলে তিনি অনেক শিক্ষিকার নিকট ক্ষমা চেয়েও ক্লান্ত হননি। এ বিচার কে করবে।