ছাতকে তালাকপ্রাপ্তা স্ত্রী দিয়ে শ্রমিক নেতার বিরুদ্ধে মিথ্যা মামলার অভিযোগ

    0
    495

    আমার সিলেট টুয়েন্টি ফোর ডটকম,১৩অক্টোবর,চান মিয়া,ছাতকঃ ছাতকে তালাক দেয়ার ৬মাস পর পূনরায় স্ত্রী পরিচয়ে পরিবহন শ্রমিক নেতার বিরুদ্ধে থানায় মামলা দায়ের করা হয়েছে। দু’সপ্তাহের মধ্যেই ঘটনাস্থলে না গিয়ে একটি সাজানো চার্জশীটে মোটা অংকের টাকা হজমের আয়োজন করা হয়েছে বলে অভিযোগ রয়েছে।

    জানা যায়, উপজেলার দোলারবাজার ইউনিয়নের কুর্শী গ্রামের অর্ধশতাধিক বিয়ের হোতা মাহবুব লন্ডনী ৩বছর আগে একই ইউপির মঈনপুর গ্রামের শুকুর আলীর মেয়ে শাপলা বেগমকে বিয়ে করে। এক সন্তান জন্মের পর গত ৩ডিসেম্বর ২০১৫ইং তালাকনামার মাধ্যমে শাপলাকে ছেড়ে দেয়া হয়। কিন্তু তালাকের ৬মাস পর পূনরায় মাহবুব লন্ডনীর স্ত্রী পরিচয়ে শাপলা বেগম বাদি হয়ে ছাতক থানায় একটি সাজানো মামলা (নং- ২০,তাং- ২১.০৬.২০১৬ইং) দায়ের করে। মামলায় আসামী করা হয় লাফার্জ-সুরমা সিমেন্ট লিঃ এর আন্দোলনরত পরিবহন শ্রমিক সংগ্রাম কমিটির সভাপতি কালারুকা ইউপির হাসনাবাদ গ্রামের নোয়াব আলীর পুত্র খালেদ মিয়াকে।

    মাহবুবের বহু বিবাহ ও নানা অপকর্মে সহযোগিতা না করায় তালাকপ্রাপ্তা স্ত্রী শাপলার মাধ্যমে খালেদ মিয়ার উপর মিথ্যা ও হয়রানীমূলক মামলা করে। মামলার বিবরনে দেখা যায়, ২১জুন মামলাটি থানায় এফআইআর করে এসআই সুহেলকে মামলার তদন্তভার দেয়া হয়। মাত্র ১৮দিনের মধ্যে তদন্ত ছাড়াই ১১জুলাই আদালতে চার্জশীট দাখিল করা হয়। এসআই সুহেল রহস্যজনক কারনে তদন্ত ছাড়াই রাতারাতি চার্জশীটের ব্যবস্থা করা হয়। অভিযোগ উঠেছে, মাহবুব লন্ডনীর দেয়া মোটা অংকের টাকার বিনিময়ে একটি মিথ্যা মামলাকে সত্য প্রমানিত করার অপচেষ্টা চার্জশীট দাখিল করা হয়।

    যদিও মামলার উল্লেখিত ঘটনার তারিখে খালেদ মিয়া ঢাকার সচিবালয়ে অবস্থান করছিলেন। এব্যাপারে খালেদ মিয়া গত ২৪জুলাই ছাতক থানার অফিসার্স ইনচার্জ বরাবরে লিখিত আবেদনে সচিবালয়ের প্রবেশপত্রসহ ঢাকায় অবস্থানের প্রয়োজনীয় ডকুমেন্টারী প্রদান করেন। কিন্তু এসবের তোয়াক্কা না করে অতি উৎসাহী হয়ে পুলিশ একটি সাজানো চার্জশীট প্রদান করে। এ মিথ্যা চার্জশীটের বিরুদ্ধে উপজেলার সর্বত্র তীব্র নিন্দা ও প্রতিবাদের ঝড় উঠে। সুনামগঞ্জ জেলা সড়ক পরিবহন শ্রমিক ইউনিয়নের সভাপতি সাহার মিয়া ও সেক্রেটারী নূরুলহকসহ বাংলাদেশ সড়ক পরিবহন শ্রমিক ফেডারেশনের নেতৃবৃন্দ খালেদ মিয়ার উপর দায়েরী মিথ্যা ও হয়রানীমূলক মামলা প্রত্যাহারের দাবি জানিয়েছেন।

    এদিকে মাহবুব লন্ডনীর এক স্ত্রী হবিগঞ্জের বানিয়াচঙ্গ উপজেলার মাজেরমহল্লা গ্রামের আরজু মিয়ার মেয়ে সিপন বেগম জানান, প্রায় ১০মাস থেকে যোগাযোগ না থাকলেও কিছুদিন আগে মোবাইল ফোনের মাধ্যমে মাহবুব জানায়, খালেদের বিরুদ্ধে মার্ডার অথবা নারী নির্যাতন মামলা করলে সে আমার সব দায়বার বহন করবে। এতে সে রাজি না হওয়ায় হাসপাতালে একটি সন্তান হওয়ার পরও সে কোন যোগাযোগ করেনি। এমনকি ভরন-পোষনের কোন টাকা দেয়নি। এখন শিশু সন্তানকে নিয়ে সে মানবেতর জীবন-যাপন করছে বলে জানায়।

    এ ব্যাপারে খালেদ মিয়া জানান, মাহবুবের সাথে তার পারিবারিক দ্বন্দ্ব রয়েছে। তাছাড়া লাফার্জের বিরুদ্ধে আন্দোলনকে কেন্দ্র করে বিভিন্ন অপশক্তি মিথ্যা মামলাসহ তাকে নানাভাবে হয়রানী করার জন্যে উঠে পড়ে লেগেছে। তার বিরুদ্ধে আনীত মিথ্যা মামলাসহ যাবতীয় ষড়যন্ত্রের তীব্র নিন্দা ও প্রতিবাদ জানিয়ে প্রশাসনের সহযোগিতা কামনা করেন।

    এ ব্যাপারে মিথ্যা মামলার বাদিণী ও মাহবুবের তালাকপ্রাপ্তা স্ত্রী শাপলা বেগমের সাথে যোগাযোগ করলে লাইন কেটে দিয়ে মোবাইল বন্ধ করে দেয়। ছাতক থানার এসআই সুহেল জানান, মামলাটি তদন্ত করেই চার্জশীট দেয়া হয়েছে।