জঙ্গি সন্দেহে কুলাউড়া থেকে আরও ১৭ জন সিএনজি চালকের সহযোগিতায় আটক

0
142

আফজাল হোসেন রুমেল,কুলাউড়া থেকে: মৌলভীবাজারের কুলাউড়া উপজেলার কর্মধা ইউনিয়ন থেকে জঙ্গি সন্দেহে প্রথম অভিযানে ১০ জন আটকের পর আবারো আজ সোমবার (১৪ আগস্ট) জঙ্গি সন্দেহে আরো ১৭ জনকে আটক করেছে স্থানীয়রা।

তাদেরকে স্থানীয় ইউনিয়ন পরিষদে পুলিশ প্রহরায় আটক রাখা হয়েছে। তাদের মধ্যে সিরাজগঞ্জের একটি বেসরকারি হাসপাতালের চিকিৎসক সোহেল তানজিমও রয়েছেন বলে জানা গেছে। এছাড়া আব্দুল আহাদ মাহমুদ নামের একজন পঙ্গুও রয়েছেন। তিনি জঙ্গিদের কমান্ডার নামে পরিচিত জানা গেছে।
এর আগে শনিবার সকালে কর্মধা ইউনিয়নের বাইশালী টিলায় থাকা সন্দেহজনক জঙ্গি আস্তানা থেকে নারী-পুরুষসহ ১০ জঙ্গিকে আটক করে পুলিশের কাউন্টার টেরোরিজম অ্যান্ড ট্রান্সন্যাশনাল ক্রাইম ইউনিট, সোয়াট ও পুলিশ। অভিযানের খবর পেয়ে জঙ্গিদের সঙ্গে থাকা অনেকেই পাহাড়ের ভেতরে আত্মগোপনে চলে যায় বলে সেসময় স্থানীয় লোকজন জানিয়েছেন।
অভিযানের পর থেকে এলাকায় আতঙ্ক কাজ করছিল। সবার ধারণা ছিল পাহাড়ের ভেতরে সেই আস্তানা থেকে জঙ্গিদের কমান্ডার হিসেবে পরিচিত আব্দুল আহাদ মাহমুদকে কাঁধে বহন করে চলে যায় তারা।
জানা যায়, সোমবার সকাল ১০টার দিকে কর্মধা ইউনিয়নের আছকরাবাদ চা-বাগানের বাশফিল্ড খেলার মাঠ থেকে জঙ্গিরা ৫টি সিএনজি অটোরিকশায় করে পলায়ন করার চেষ্টা করছিল। এসময় সিএনজিচালকরা তাদেরকে নিয়ে সরাসরি ইউনিয়ন পরিষদে আসেন।
পরে কুলাউড়া থানা পুলিশ ও স্থানীয়রা তাদের আটক করে। খবর পেয়ে সহকারী কমিশনার (ভূমি) মো. মেহেদী হাসান ঘটনাস্থলে ছুটে যান।
সিএনজিচালক রবিউল্লাহ জানান, আটক অপরিচিত লোক তাদের একজনকে কাঁধে বহন করে নিয়ে গাড়িতে আসে। আমার গাড়িতে তিনজন উঠে। তারা আমাদের জানায় বনভোজনে এসেছে।
তারা মৌলভীবাজার যাবে বলছে। আমরা তাদের বিভিন্ন বিষয়ে জিজ্ঞেস করে কথাবার্তা সন্দেহজনক হলে কৌশলে ইউনিয়ন পরিষদে নিয়ে আসি।
আরেক সিএনজিচালক আবদুল কুদ্দুস জানান, ‘আমার গাড়িতে ছয়জন অপরিচিত লোক উঠেন। এর মধ্যে একজন চিকিৎসক রয়েছেন। আমিও তাদের নিয়ে আসি পরিষদে।’
কর্মধা ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান মুহিবুল ইসলাম আজাদ ১৭ জন জঙ্গি আটকের বিষয়টি নিশ্চিত করে জানান, ‘আটককৃতরা পরিষদের হলরুমে আছে। তাদেরকে পুলিশ জিজ্ঞাসাবাদ করছে। প্রায় দেড়মাস আগে ওই জঙ্গিরা কর্মধা ইউনিয়নের বাইশালী টিলায় এক প্রবাসীর ৫০ শতক জায়গা ক্রয় করে বসতি স্থাপন করে। অভিযানের পর থেকে কুলাউড়া থানা পুলিশ ও আমাদের নজরদারি ছিল। রোববার রাতে তারা পাহাড় থেকে নেমে অন্যত্র পালিয়ে যাবার চেষ্টা করেছিল।’
সহকারী কমিশনার (ভূমি) মো. মেহেদী হাসান বলেন, ‘খবর পেয়ে ঘটনাস্থলে ছুটে যাই। আটককৃতদের জিজ্ঞাসাবাদ করে তাদের পরিচয় শনাক্ত করার কাজ চলছে। পরবর্তীতে বিস্তারিত জানানো হবে।