আমার সিলেট টুয়েন্টি ফোর ডটকম,০১মে,ফারুক মিয়াঃ চুনারুঘাট উপজেলার গাজীপুর ইউনিয়নের দক্ষিণ কৃষ্ণনগর লাউল্লাকোনা গ্রামের আব্দুল মজিদ মিয়ার পুত্র পন্ডিত মিয়া (২৮) এর সারা শরীরে বেদড়ক পিটিয়ে গুরুতর আহত করে হাসপাতালে পাঠিয়েছে শ্বশুরবাড়ির লোকজন। জানা যায়, গত শনিবার সন্ধ্যা সাড়ে ৭টার দিকে পন্ডিত মিয়ার শ্বশুরবাড়ি একই গ্রাম দক্ষিণ কৃষ্ণনগর গ্রামের লাউল্লাকোনায় এ ঘটনাটি ঘটে।
পন্ডিত মিয়ার আত্মচিৎকারে স্থানীয় এলাকাবাসীরা এগিয়ে এসে শ্বশুরবাড়ির লোকজনের কবল থেকে পন্ডিত মিয়াকে উদ্ধার করে চুনারুঘাট হাসপাতালে ভর্তি করা হয়েছে। আহত পন্ডিত মিয়া জানান, তার মেয়ে সাজমা আক্তার (১৫) কে বিদেশ জর্দানে পাঠানোর জন্য তার শ্বশুরবাড়ির দালাল ও আদম বেপারী মামা হেলাল মিয়া লুকিয়ে তার ভাগ্নী সাজমা আক্তারকে জর্দানে পাঠানোর চেষ্টা চালালে এ খবর পেয়ে তার পিতা পন্ডিত মিয়া শ্বশুরবাড়িতে গিয়ে বাধা নিষেধ দিলে শ্বশুরবাড়ির লোকজন হেলাল মিয়া সহ পরিবারের অন্যান্য সদস্যরা উত্তেজিত হয়ে জামাতা পন্ডিত মিয়াকে দড়ি দিয়ে হাত পা বেঁধে বসতবাড়ির উঠানে ফেলে দেশীয় অস্ত্র রড, লাঠি, রোল দিয়ে তার সারা শরীরে বেদড়ক পিটিয়ে গুরুতর আহত করে শ্বশুরবাড়ির লোকজনরা পালিয়ে যায়।
আহত পন্ডিত মিয়া জানায়, তার মেয়ে সাজমা আক্তার স্কুলের ৮ম শ্রেণীর ছাত্রী। তার মেয়েকে শ্বশুরবাড়ির লোকজন বিদেশের টাকা পয়সার লোভে লুকিয়ে বিদেশ পাঠানোর পায়তারা করে আসছিল চুনারুঘাট উপজেলার দক্ষিণ কৃষ্ণনগর লাউল্লাকোনা গ্রামের হাসান আলীর পুত্র মামা হেলাল মিয়া (২৪) ও দুলাল মিয়া (৩০), মৃত উরন আলীর পুত্র রংগু মিয়া (২৭)। একদল আদম বেপারীরা দীর্ঘদিন যাবত ধরে দেশের বিভিন্ন স্থান থেকে কম বয়সী যুবতীদেরকে প্রলোভন দিয়ে মোটা অংকের বেতন-ভাতার লোভ দেখিয়ে বিদেশ পাঠিয়ে হয়রানীমূলক কাজকর্ম করে আসছে।
এ ব্যাপারে পন্ডিত মিয়া বাদী হয়ে আদম বেপারী হেলাল মিয়া, দুলাল মিয়া ও রঙ্গু মিয়া ৩ জনকে আসামী করে মামলার প্রস্তুতি নিচ্ছেন বলে জানা গেছে। আদম বেপারীদেরকে গ্রেফতার করে দৃষ্টান্তমূলক শাস্তি দেওয়ার জন্য স্থানীয় এলাকাবাসীরা জোর দাবি জানিয়েছেন।
