জৈন্তাপুরের ব্যার্থ ওসিকে প্রত্যাহারের দাবীতে আল্টিমেটাম

    0
    210

    আমার সিলেট টুয়েন্টি ফোর ডটকম,২০মে,রেজওয়ান করিম সাব্বির,জৈন্তাপুর প্রতিনিধিঃ পুলিশ হেফাজতে জৈন্তাপুর মডেল থানায় আসামী মৃত্যুর ঘটনায় ওসি প্রত্যাহারের ১দফা দাবীতে ২ঘন্টা সিলেট-তামাবিল মহাসড়ক অবরোধ করে জৈন্তাপুর উপজেলা মুক্তিযোদ্ধা সংসদ সন্তান কমান্ড। ৭২ঘন্টার মধ্যে বিচার বিভাগীয় তদন্তের মাধ্যমে ওসি সফিউল কবিরকে প্রত্যাহার ও শাস্তির দাবীতে সড়ক অবরোধ সহ বিভিন্ন কর্মসূচী পালনের ঘোষনা দিয়ে এবং জনদূভোগ বিবেচনা করে অবরোধ স্থগিত করে।
    গতকাল ২০ মে শনিবার দুপর ৩টায় জৈন্তাপুর ষ্টেশন বাজারে সড়ক অবরোধ করে জৈন্তাপুর মুক্তিযোদ্ধা সংসদ সন্তান কমান্ড। সহযোদ্ধা ৫নং ফতেপুর ও ৬নং চিকনাগুল ইউনিয়নের সাধারণ সম্পাদক নজরুল ইসলাম বাবু মৃত্যুর ঘটনায় তারা প্রতিবাদে সড়ক অবরোধ কর্মসূচী পালন করে। এসময় আহবায়ক আলতাফ হোসেন, সদস্য সচিব শামীম আহমদ, যুগ্ম-আহবায়ক আব্দুল কাদির, আব্দুস ছালাম, শাহেদ আহমদ, জুবের আহমদ, চারিকাটা ইউনিয়ন কমিটির সভাপতি মওলানা ফয়জুল হক সহ অন্যন্যা সদস্যের উপস্থিত হয়ে সিলেট-তামাবিল মহাসড়ক অবরোধ করে রাখে।

    তারা পথ সভায় বক্তব্যে বলেন- পুলিশ পরিকল্পিত ভাবে একটি মামলায় নজরুল ইসলাম বাবুকে বাসা হতে আটক করে। আমরাও চাই নজরুল দোষী হলে তার সুষ্ট বিচারের মাধ্যমে শাস্তি দেওয়া হউক। কিন্তু পুলিশ নজরুলকে নির্যাতন করে আত্মহত্যা করতে বাধ্য করে এবং সেই অনুযায়ী নজরুল আত্মহত্যার পথ বেঁচে নেয়। নতুবা প্রযুক্তি যুগে সি.সি ক্যামেরার আওতাভুক্ত থানা এলাকা সংরক্ষিত থাকা অবস্থায় সে কিভাবে আত্মহত্যা করে, আমরা শুনেছি নজরুল ১ঘন্টা সময় ব্যাপী আত্মহত্যার কার্যক্রম চালায় যাহা থানার সিসি ক্যামেরায় ধারন করা আছে। তাহলে থানার ডিউটি অফিসার এবং সেনট্রি কি করছিল? বিশ্বস্তসূত্রে জানায় সে দিন থানার ডিউটি রুমের মনিটর বিকল রাখা ছিল। যদি ডিউটি রুমের মনিটর বন্দ না রাখা হত তাহলে আমাদের সহ যোদ্ধা নজরুল কোন অবস্থাতেই মৃত্যুবরণ করতে পারত না? তাদের প্রশ্ন? সরকার ও জনগনের টাকায় এসকল উন্নয়ন হয়েছে।

    সেই উন্নয়নের মাধ্যমে থানায় সিসি ক্যামেরা বসানো হয়েছে জনগনের জানমালের নিরাপত্তার জন্য। এদিকে চতুর ওসি নিজের অপরাধ ডাকতে এবং থানার কার্যক্রম একক নিয়ন্ত্রনে রাখতে ডিউটি রুমের মনিটর বিকল করে রাখেন। আন্দোলনকারীরা ওসি নানা দূর্নিতির কথা তুলে ধরেন এবং এরকম অফিসারের জৈন্তার মাটিতে প্রয়োজন নেই বলে আন্দোলনকারীরা নানান শ্লোগান দিয়ে ওসি সফিউল কবির প্রত্যাহার দাবী করে।
    এঘটনার সংবাদ পেয়ে সাবেক জৈন্তাপুর উপজেলা আওয়ামীলীগের সহ সভাপতি জৈন্তাপুর ইউপি’র চেয়ারম্যান এখলাছুর রহমান, ট্রাক চালক সমিতির সভাপতি নুরু মিয়া, সাধারণ সম্পাদক ইদন মিয়া ও ষ্টেশন বাজার ব্যবসায়ী সমিতির সাবেক সভাপতি আব্দুল মতিন শাহীন, বর্তমান সভাপতি আমিনুল ইসলাম সোহেল সহ এলাকার বিভিন্ন শ্রেনী পেশার নেতৃবৃন্দ আন্দোলন কারীদের সাথে একাত্ত্বতা ঘোষনা করে এবং জনদূভোগের কথা বিবেচনা করে অবরোধ প্রত্যাহার করার অনুরোধ জানান। ৭২ঘন্টার আল্টিমেটাম দিয়ে অবরোধকারীরা অবরোধ প্রত্যাহার করে।
    অপরদিকে বিকাল ৫টায় নজরুল ইসলাম বাবুর নামাজে জানাজা শেষে পারিবারিক কবরস্থানে দাফন করা হয়।