জৈন্তাপুরে গোপাট শ্রেনী ভূমিতে বৃক্ষ রোপনের অভিযোগ

    0
    211

     ব্যবস্থা গ্রহনে প্রশাসনের গড়িমসি

    আমারসিলেট টুয়েন্টিফোর ডটকম,০৫নভেম্বর,রেজওয়ান করিম সাব্বির,জৈন্তাপুর প্রতিনিধিসিলেটের জৈন্তাপুর উপজেলার ৬.৭১ একর গো-চরন ভূমিতে অবৈধ ভাবে বৃক্ষ রোপনের অভিযোগ পাওয়া গেছে। ৫৮ জনের স্বাক্ষরীত একটি অভিযোগ সহকারী কমিশনার ভূমি বরাবরে দাখিল করা হলে ব্যবস্থা গ্রহনে গড়িমসি প্রশাসনের। এনিয়ে যে কোন মুহুত্বে রক্তক্ষীয় সংঘর্ষের আশংঙ্কা দেখা দিয়েছে।

    অভিযোগ সূত্রে জানা যায়- তফশীল বর্ণিত সরকারী খাস খতিয়ান ভূক্ত গোপাট শ্রেনী ভূমিতে দরবস্ত মৌজার বিভিন্ন গ্রামের জনসাধারণ গরু, বাছুর, মহিষ, ছাগল নিয়ে হাওরে যাওয়া আসা করেন। বিবাদীগন বিগত ১৬ আগষ্ট সকাল অনুমান ১০ ঘটিকার সময় দরবস্ত গ্রামের মৃত হাজী কমর উদ্দিনের হাবিবুর রহমান, মৃত মকরম আলীর ছেলে রহিম উদ্দিন, মৃত হাজী আব্দুল হকের ছেলে আব্দুল জব্বার, হাজী আব্দুল বারীর ছেলে আব্দুস ছাত্তার, মৃত মুদচ্ছির আলীর ছেলে মহব্বত উল্ল্যাহ ও আলতাফ উদ্দিন, মুছই মিয়ার ছেলে সিফত উল্যাহ, মৃত আকবর আলীর ছেলে তজম্মুল আলী, জয়নাল আবেদীন, মৃত ওয়াছির আলীর ছেলে ছিফত উল্যাহ গংদের নেতৃত্বে সরকারী গো-চরন গোপাট রকম ভূমিতে সংশ্লিষ্ট প্রশাসনের পূর্বনুমতি না নিয়ে গবাদী পশুর চলাচলের রাস্তায় প্রতিবন্ধকতা সৃষ্টি করিয়া বৃক্ষের চারা রোপন করে। এঘটনায় কনাই মিয়া, মোঃ মুফিজ আহমদ, গোলাম আকবর, আব্দুল হক সহ ৫৮জন স্বাক্ষরীত একটি অভিযোগ সহকারী কমিশনার ভূমি বরাবরে দাখিল করা।

    অভিযোগ অজ্ঞাত কারনে সংশ্লিষ্ট প্রশাসন ব্যবস্থা গ্রহন করছে না। উভয় পক্ষের মধ্যে উত্তেজনা দেখা দিয়েছে যে কোন মুহুত্বে গোপাট শ্রেনীর ভূমিতে গো-চরন কে কেন্দ্র করে রক্তক্ষিয় সংঘর্ষের ঘটনা দেখা দিবে বলে সচেতন মহল মনে করছে। তাই সৃষ্ট বিরুধ নিষ্পতির জন্য সংশ্লিষ্ট প্রশাসনকে গড়িমসি না করে দ্রুত আইনানুগ ব্যবস্থা গ্রহনের দাবী জানান।

    দরবস্ত ইউনিয়ন ভূমি কর্মকর্তা এ.টি.এম মাসুদ আহমেদ প্রতিবেদন থেকে পর্যালোচনা করে দেখা যায়- সরকারী ভুমিতে বৃক্ষ রোপন নীতিমালার আলোকে বৃক্ষ রোপন বিধি বিধান আছে। কিন্তু ক্ষমতার অপ-ব্যবহার করে সরকারী ভূমির শ্রেনী বিলুপ্ত করে বৃক্ষ রোপন করে অবৈধ ভোগ দখল, উদ্যেশ্য প্রনেদিত। তাই জনসাধারনের মধ্যে কোন রুপ সংঘর্ষ না হয় তাহার জন্য আইনি ব্যবস্থা গ্রহনের জন্য প্রতিবেদন দাখিল করেছেন। যাহার স্মারক নং- ২১৫, তারিখ ০৪/১০/২০১৬।

    এছাড়া তিনি প্রতিবেদনে আরও উল্লেখ করেন- দরবস্ত মৌজার ২টি পাড়ার মধ্যে ১টি পাড়া অর্থাৎ বিবাদী পক্ষ দাবী পূর্বক সরকারী ভূমিতে ক্ষমতার অপ-ব্যবহার করিয়া শ্রেনী বিলুপ্ত করনের মাধ্যমে সরকারী ভূমিতে অবৈধ দখলের মালিকানার দাবী সৃষ্টি করিয়া রাখার লিপ্ত রহিয়াছে।

    এবিষয়ে উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা ও সহকারী কমিশনার(ভূমি) মোহাম্মদ সুহেল মাহমুদ প্রতিবেদনকে জানান- এবিষয়ে প্রতিবেদন দেওয়ার জন্য ইউনিয়ন ভূমি কর্মকর্তা দরবস্ত কে প্রতিবেদন দাখিলের জন্য বলা হয়েছে। সরেজমিন প্রতিবেদন দাখিলের পর ঘটনার সত্যতা পাওয়া গেলে আইনানুগ ব্যবস্থা গ্রহন করা হবে। অন্য প্রশ্নের জবাবে তিনি বলেন-প্রতিবেদন দাখিল হলে বিষয়টি আমার নজরে আসেনি।