জৈন্তাপুরে চাচা কর্তৃক ভাতিজি ধর্ষন,বিলম্বে মামলা দায়ের

    0
    234

    রেজওয়ান করিম সাব্বির, জৈন্তাপুর সিলেট প্রতিনিধি: জৈন্তাপুরে চাচা কর্তৃক ভাতিজি ধর্ষনের ঘটনায় ২মাস পর ১৭ আগষ্ট ভিকটিম বাদী হয়ে জৈন্তাপুর মডেল থানায় ২জনের নাম উল্লেখ করে অভিযোগ দায়ের করে। অভিযোগের প্রেক্ষিতে থানা পুলিশ অভিযোগটি মামলা হিসাবে রেকর্ড করে।
    অভিযোগ সূত্রে যানাযায়- মামলার বাদী (ভিকটিম) দরবস্ত যাওয়ার জন্য রাস্তায় গাড়ীর অপেক্ষা করেন। কিছুক্ষণ পর প্রতিবেশি চাচা একটি সিএনজি গাড়ী নিয়ে এসে কোথায় যাব জানতে চাইলে ধর্ষন মামলার বাদী নিকত্মীয় খালার বাসার যাওয়ার জন্য দরবস্ত বাজারে যাবে বলে জানায়। চাচা হওয়ার সুবাধে সরল বিশ্বাসে সিএনজিতে গাড়ীতে উঠি। সিএনজি গাড়ী দরবস্ত বাজারের কানাইঘাট চতুল রাস্তার মুখে আসলে আমি গাড়ী চালক দরবস্ত ইউনিয়নের ভাইটগ্রামের মৃত ছইফ উল্লার ছেলে আবুল কালাম(৩৫) কে নামিয়ে দেওয়ার জন্য বলিলে লম্পট নারী লোভী চাচা এবং ইতেপূর্বে একাধিক ধর্ষন মামলার আসামী দরবস্ত ইউনিয়নের শুকইনপুর গ্রামের আহমদ আলীর ছেলে রেজওয়ান মিয়া(২৫) আমার মুখে কাপড় দিয়ে চেপে ধরে আমাকে বলে চিৎকার করিলে হত্যার করে মেরে ফেলার হুমকী দেয় এবং ড্রাইভারকে ভাইটগ্রামের দিকে নিয়ে যাওয়ার জন্য বলে। দ্রুত গতীতে গাড়ী চালিয়ে ভাইটগ্রামে নিয়ে ড্রাইভারের বসতবাড়ীতে উত্তরপাশ্বের ঘরে আটকে রাখে। পরবর্তীতে ড্রাইভার আবুল কালামের সহযোগিতায় রেজওয়ান মিয়া হত্যার হুমকী দিয়ে আমার ইচ্ছার বিরুদ্ধে রাত ১০ঘটিকায় সময় হইতে একাধিকবার ধর্ষন করে। অপরদিকে আমার কোন খাবরা খবর না পেয়ে পরিবারের লোকজন লোক মুখে ঘটনার সংবাদ পেয়ে ঘটনাটি জানিয়া আবুল কালামের ঘর হতে উদ্ধার করে। এঘটনায় বিবাদি রেজওয়ান মিয়ার বিষয়টি প্রকাশ করিলে আমাকে সহ আমার পরিবারের লোকদের হত্যার হুমকীদেয়। ন্যায় বিচারের আশায় হুমকীর ভয়ে নিয়ে এলাকার মুরব্বিয়ানদের জানাইলে তারা ন্যায় বিচারের আশ্বাসদেন। পরবর্তীতে তারা আমাদেরকে জানান আইনের আশ্রয় নিতে। স্থানীয় বিচার না পেয়ে ন্যায় বিচারের আশায় নির্যাতিতা ঘটনার ২মাস পর গত ১৭জুলাই বাদী জৈন্তাপুর মডেল থানায় লিখিত অভিযোগ দায়ের করি। এদিকে অভিযোগ দায়ের করার পর থানা পুলিশ বিষয়টি মামলা হিসাবে রেকর্ড করে। যাহার নং-৮/১০৪, তারিখঃ ১৮ জুলাই ২০১৯।
    এবিষয়ে নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক একাধিক ব্যক্তির সাথে আলাপকালে তারা জানান, আমাদের মা-বোন সবার রয়েছে। রেজওয়ান মিয়া একজন লম্পট ও নারী লোভী ব্যক্তি। সে কিছুদিন পূর্বে দীর্ঘদিন জেল খেটে বের হয়ে আসে এবং পূর্বের ন্যায় আবারও ধর্ষনের এই ঘটনা ঘটিয়েছে। আমরা এই ব্যক্তির দৃষ্টান্ত মুলক শাস্তি দাবী করছি।
    ইউপি সদস্য জালাল উদ্দিন বলেন- রেজওয়ান মিয়া এলাকায় খারাপ ব্যক্তি, ইতোপূর্বে এরকম কয়েকটি ঘটনা সে ঘটিয়েছে। সে কিছু দিন পূর্বে জেল হতে ছাড়া পায়। তারপরও রেজওয়ান মিয়া ও ভিকটিম মেয়েটি সম্পর্কে চাচা ভাতিজি হয়। আর চাচা-ভাতিজিকে ধর্ষন করবে আমরা বুঝে উঠতে পারিনি, পরবর্তীতে বিভিন্ন ভাবে যখন জানতে পারি ঘটনাটি সটিক তখন ভিকটিমকে আইনের আশ্রয় নিতে পরামর্শ দেই। আমরা প্রশাসনের উদ্বর্তন কর্তৃপক্ষের কাছে তার দৃষ্টান্ত মূলক শাস্তি দাবী করছি।
    জৈন্তাপুর মডেল থানার অফিসার ইনচার্জ খান মোঃ মাইনুল জাকির বলেন- অভিযোগ পাওয়ার পর পর মামলা হিসাবে রেকর্ড করি এবং সেই সাথে অভিযুক্ত আসামীদের আটকের চেষ্টা করে যাচ্ছি।