জৈন্তাপুরে চাল পাচার ঘটনায় জেলা প্রশাসক বরাবর প্রতিবেদন

    0
    496

    আমারসিলেট টুয়েন্টিফোর ডটকম,৩০মে,রেজওয়ান করিম সাব্বির, জৈন্তাপুর (সিলেট) প্রতিনিধিঃ সিলেটের জৈন্তাপুর উপজেলার চারিকাটা ইউনিয়ন পরিষদ হতে গত ১৫মে মঙ্গলবার ইউনিয়নের ৩৯০জন উপকার ভোগীদের মধ্যে ৩০কেজি করে বিজিএফ’র ২৩৪বস্তা চাল বিতরনের জন্য ইউনিয়ন পরিষদের পক্ষ হতে উত্তোলন করা হয়।

    ১৫ মে রাত ৮টায় চতুল বাজার সংলগ্ন সরুফৌদ এলাকায় স্থানীয় জনতা বিজিএফ’র ৩৩বস্তা চাল সহ লেগুনা গাড়ী আটক করে উপজেলা নির্বাহী অফিসার মহোদয়ের নিকট সংবাদ দেয়। তাৎক্ষনিক ভাবে চাল ও লেগুনা গাড়ীসহ ৩জনকে আটক করে জৈন্তাপুর থানা পুলিশের হেফাজতে রাখা হয়।

    চাল পাচাঁরের ঘটনায় উপজেলা প্রশাসন পক্ষ হতে সহকারী কমিশনার(ভূমি) বিষয়টি তদন্তে করে। তদন্ত প্রতিবেদনে প্রতিয়মান হয় যে, ইউপি সচিব দুখু মহাপাত্র, ইউপি সদস্য জমশেদ, মামুন, জামাল ও মারুফের উপস্থিতিতে বিজিএফ’র চালের বস্তা লেগুনা গাড়ীতে বুঝাই করা হয়। প্রাথমিক তদন্তে আরও যানা যায় উপকারভোগীদের মধ্যে ২৮% হারে চাল কম দেওয়া হয়েছে এবং ১২জন উপকারভোগী অনুউপস্থিত থাকে।

    ফলে ৪২বস্তা চাল অবশিষ্ট থেকে যায় ইউনিয়ন পরিষদে। সুযোগ বুঝে ইউপি সচিব ও ৪ইউপি সদস্য মিলে একে অপরের যোগ সাজেসে চাল পাঁচার করেছে মর্মে প্রতিবেদনে উল্লেখ করা হয়েছে।

    এদিকে সরেজমিনে উপকারভোগীদের সাথে আলাপকালে জানাযায় বিজিএফ’র চাল তারা ৩০কেজির চেয়ে কম পেয়েছি। বিতরনের সময় ইউপি চেয়ারম্যান পরিষদে ছিলেন না বলে তারা প্রতিবেদকে জানান। খোঁজ নিয়ে যানাযায় ইউপি চেয়ারম্যান থুবাং এলাকায় জরুরী বিরুধ নিষ্পতির সালিশ বৈঠকে উপস্থিত ছিলেন এবং সন্ধ্যায় আল-আমিন সবুজ সংঘের সভায় উপস্থিত ছিলেন।

    এলাকাবাসী আরও জানান চেয়ারম্যান এই ঘটনায় জড়িত নয় এবং তিনি রিলিফ বিতরনের সময় পরিষদে উপস্থিত ছিলেন না। তদন্ত প্রতিবেদনেরপর একটি মহল উপজেলা প্রকল্প বাস্তবায়ন কর্মকর্তার মাধ্যমে ইউপি চেয়ারম্যান শাহ আলম চৌধুরী তোফায়েল এর রিরুদ্ধে থানায় লিখিত অভিযোগ দাখিল করে। এলাকাবাসীরা অভিলম্বে চেয়ারম্যান কে মামলা হতে অব্যাহতির দাবী জানান।

    এবিষয়ে মামলার বাদি উপজেলা প্রকল্প বাস্তবায়ন কর্মকর্তা নিরোধ চন্দ্র দাশের কার্যালয়ে গেলে তাহাকে কর্মস্থলে পাওয়া যায়নি। পরে একাধিক বার তাহার ব্যক্তিগত মোবাইল ফোনে যোগাযোগ করার চেষ্টা করা হলে তিনি ফোন রিসিভ করেনি।

    এ ব্যাপারে সহকারি কমিশনার(ভূমি) মনুতাসির হাসান পলাশের সাথে আলাপকালে তিনি বলেন প্রাথমিক তদন্তে যাহা পেয়েছি তা উর্দ্বতন কর্তৃপক্ষকে লিখিত ভাবে প্রেরণ করা হয়েছে। মামলা বিষয়ে আমার কিছু জানা নেই নির্বাহী স্যার বিষয়টি দেখছেন।