প্রকল্পের কাজ না করে বিল উত্তোলনের অভিযোগ

0
546

জৈন্তাপুর প্রতিনিধি: সিলেটের জৈন্তাপুর উপজেলার দরবস্ত ইউপি’র ৩নং ওয়ার্ড সদস্যে শামীম আহমদের বিরুদ্ধে কর্মসৃজন প্রকল্পের “চাল্লাইন মাখাই মিয়া বাড়ী হইতে হামিন মিয়ার বাড়ী পর্যন্ত” এবং “চাল্লাইন পাবিজুরী হইতে বালিপাড়া পর্যন্ত” রাস্তা পূর্ণ: নির্মাণ কাজ না করে বিল উত্তোলন করার অভিযোগ পাওয়া গেছে।

অভিযোগ সূত্রে জানা যায়, উপজেলার দরবস্ত ইউনিয়নের ৩নং ওয়ার্ডের ইউপি সদস্য শামীম আহমদ কর্মসৃজন প্রকল্পের আওতায় চাল্লাইন মাখাই মিয়া বাড়ী হইতে হামিন মিয়ার বাড়ী পর্যন্ত রাস্তার কাজ না করে বিল উত্তোলনের চেষ্টা করছে। অপরদিকে চাল্লাইন পাবিজুরী হইতে বালিপাড়া পর্যন্ত রাস্তায় কোন প্রকার কাজ না করে বিল উত্তোলন করেন। এলাকাবাসী আরও জানান ইতিপূর্বে ৩নং ওয়ার্ড সদস্য শামীম আহমদ চাল্লাইন পাবিজুরী হইতে বালিপাড়া পর্যন্ত রাস্তার কোন কাজ না করিয়ে ইউপি চেয়ারম্যান ও প্রকল্প বাস্তবায়ন অফিসের সহায়তায় বিল উত্তোলন করে নিয়ে যান। বাস্তবে উল্লেখিত রাস্তায় কোন কাজ হয়নি বরং পার্শবর্তী ফিসারির মালিক ফিসারীর কাজ করতে গেলে এলাকাবাসীর অনুরোধে ফিসারীর পারের অংশটুকু কাজ করে দেন। ইউপি সদস্য ফিসারীর মালিকের কাজটি নিজেই করেছেন মর্মে প্রকল্প বাস্তবায়ন কর্মকর্তাকে ভূল ব্যাখ্যা করে বিল উত্তোলন করেন।

অপরদিকে কর্মসৃজন প্রকল্পের আওতায় চাল্লাইন মাখাই মিয়া বাড়ী হইতে হামিন মিয়ার বাড়ী পর্যন্ত রাস্তার কাজ না করে বিল উত্তেলনের জন্য চেষ্টা চালাচ্ছেন বলে ৪নং ইউপি আওয়ামীলীগের সাধারন সম্পাদক মোঃ নুর উদ্দিন বাদী হয়ে উপজেলা নির্বাহী অফিসার বরাবরে অভিযোগ দায়ের করেন। অভিযোগে তিনি বলেন, দ্রুত সময়ের মধ্যে কাজ গুলোর তদন্ত পূর্বক আইনগত ব্যবস্থা গ্রহনের দাবী জানান।

অভিযুক্ত ৩নং ওয়ার্ড ইউপি সদস্য শামীম আহমদ বলেন, আমার উপর আনিত অভিযোগ উদ্দেশ্যমূলক মিথ্যা বানোয়াট। আমার উন্নয়ন কার্যক্রম সহ্য করতে না পেরে একটি কুচক্রি মহল আমাকে হেও প্রতিপন্ন করতে অভিযোগ করছে। সরেজমিনে আমার কাজের মান ভাল হওয়ায় প্রকল্প বাস্তবায়ন কর্মকর্তা বিল ছাড় দিয়েছেন।

দরবস্ত ইউপি’র চেয়ারম্যান বাহারুল আলম বাহার বলেন, অভিযোগের প্রেক্ষিতে উপজেলা প্রকল্প বাস্তবায়ন কর্মকর্তা এবং ইঞ্জিনিয়ার সহ আমি সরজমিনে পরিদর্শন করে কাজটি সটিক পাওয়া যায়। তারা আমাকে প্রত্যয়ন পত্র দিতে বলেন, সেজন্য আমি প্রত্যয়ন দিয়েছি। পরে যখন আমি শুনেছি ফিসারীর মালিক হেলাল মিয়া কাজটি করেছেন, তখন বিষয়টি দেখার জন্য জানাই। ফিসারির মালিক কাজটি ইউপি সদস্য করিয়েছেন মর্মে লিখিত দেন। আর কর্মসৃজন প্রকল্পের কাজ সঠিক ভাবে হয়নি বলে তিনি জানান।

উপজেলা প্রকল্প বাস্তবায়ন কর্মকর্তা সালাউদ্দিন ও ইঞ্জিনিয়ার জসিম আহমদ বলেন, প্রকল্পের এরিয়া সাধারণত আমরা চিনি না। ইউপি চেয়ারম্যান প্রকল্প এরিয়া সনাক্ত করেন। চেয়ারম্যান সহ আমরা প্রকল্প ঘুরে কাজ সঠিক ভাবে করা হয়েছে পাওয়া গেলে আমরা বিল পরিশোধ করি। আর কর্মসৃজন প্রকল্পের কাজ সঠিক ভাবে হয়নি এজন্য কাজের বিল দেওয়া হয়নি।