জৈন্তাপুরে বন্যা পরিস্থিতি উন্নতি হলেও পৌছায়নি সরকারি ত্রান

    0
    200

    আমারসিলেট টুয়েন্টিফোর ডটকম,৫সেপ্টেম্বর,রেজওয়ান করিম সাব্বিরঃ সিলেটের জৈন্তাপুর উপজেলার বন্যা পরিস্থিতির উন্নতি হলেও নিম্না ল এখনও প্লাবিত। অন্যদিনের চেয়ে গত ২দিন বৃষ্টিকম হওয়ায় কিছু কিছু এলাকা হতে বন্যার পানি নামতে শুরু হয়েছে। এদিকে উপজেলার নিম্না লে প্রায় ১৫হাজার লোক পানি বন্ধি রয়েছে। সারী, বড়গাং, রাংপানি ও শ্রীপুর নদীর পানি বৃদ্ধি হয়নি। কিন্তু বন্যার পরবর্তী বিভিন্ন এলাকায় বিশুদ্ধ পানি ও গো-খাদ্যের অভাব দেখা দিয়েছে। এছাড়া পানি বন্ধি মানুষ গুলোর মধ্যে সরকারি কোন ত্রান সামগ্রী পৌছানি। উপজেলার ৬টি ইউনিয়নের প্রায় ৩০টি গ্রামের মানুষ পানি বন্ধি রয়েছে। সচেতন মহলের দাবী জৈন্তাপুর উপজেলাকে বন্যা দূর্ঘত এলাকা ঘোষণা করার দাবী জানায়। পানি বন্ধি এলাকাগুলোর মধ্যে পৌছায়নি শুকনো খাবার, বিশুদ্ধ পানি, খাবার স্যালাইন ও পানি বিশুদ্ধকরণ ট্যাবলেট। এদিকে সরজমিন উপজেলার নিম্না ল লক্ষীপুর, বিরাইমারা, মেয়াখাই, শেওলারটুক, ঢুলটিরপাড়, বাওন হাওর, লামাবস্তি, ডিবিরহাওর, ঘিলাতৈল, হেরিরাই, খারুবিল, বারগাতি, নয়াবস্তি, গড়েরপার সহ অন্তত ৩০টি গ্রাম এখনও পানি বন্ধি রয়েছে। ঢুলটির পাড় সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয় ও খারুবিল সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয় আশ-পার্শ্ব এলাকায় পানি থাকার ফলে বিদ্যালয় গুলোতে ছাত্র-ছাত্রীরা স্কুলে যাচ্ছে না।

    এবিষয়ে খারুবিল সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক রিন্টু চন্দ্র পাল ও ঢুলটিরপার সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক মোঃ জসিম উদ্দিন জানান- সরকারি ডিউটি পালনে আমরা হাটুজল প্রেরিয়ে বিদ্যালয়ে উপস্থিত হলেও পানি বন্ধি হওয়ায় ফলে অভিভাবকরা শিক্ষার্থীদের বিদ্যালয়ে পাঠাচ্ছেনা তাই বিদ্যালয় গুলো অনেকটা স্ব-ঘেষিত ছুটি ছলছে মনে হয়। বৃষ্টি থামলে ২-১ দিনের মধ্যে ছাত্র-ছাত্রীরা বিদ্যালয়ের উপস্থিত হবে বলে তারা আশাবাদি।

    এবিষয়ে ইউপি চেয়ারম্যান আলমগীর হোসেন, কামাল আহমদ, এম.এ হক, আব্দুর রশিদ, এবিএম জাকারিয়া, ইন্তাজ আলী জানান- উপজেলার নিম্না লের প্রায় ৩০টি গ্রাম পানি বন্দি রয়েছেআশারাখি বৃষ্টি থামলে ৪-৫দিনের মধ্যে এই পানি কমে আসবেআমরা জৈন্তাপুর উপজেলাকে বন্যাদূর্ঘত এলাকা ঘোষনার জন্য নির্বাহী অফিসারের কাছে ত্রানের জন্য জানিয়েছিকিন্তু এখনও কোন ত্রান উপজেলায় আসেনিতাই একান্ত দূর্ঘত পরিবার গুলোকে নিজেদের ব্যাক্তিগত তহবিল হতে কিছুটা নগদ অর্থ সহায়তা দিয়ে যাচ্ছিপানি নামার সাথে সাথে বন্যা দূর্ঘত গ্রাম গুলোতে নানা রোগের আক্রান্ত হওয়ার সম্ভাবনা রয়েছে বলে তারা জানান

    এবিষয়ে উপজেলা নির্বাহী অফিসার মোঃ খালেদুর রহমান জানান- সার্বিক পরিস্থিতি বিবেচনায় নিয়ে জেলা প্রশাসক সহ উদ্ধর্তন কর্তৃপক্ষের কাছে ত্রানের জন্য আবেদন পাঠিয়েছিআমি আশাবাদি খুব শিঘ্রই দূর্ঘতদের জন্য ত্রান সামগ্রী এসে পৌছাবে