জৈন্তাপুরে বিদ্যুৎ ভোগান্তি চরমেঃসরবরাহ বন্ধ সপ্তাহে ৪দিন

    0
    245

    নতুন স্থাপতি খাম্বা ভেঙ্গে পড়েছে, সাব ষ্টেশন কাজ বন্ধ

    আমারসিলেট টুয়েন্টিফোর ডটকম,২১মে,রেজওয়ান করিম সাব্বির: সিলেটের জৈন্তাপুর উপজেলার বিদ্যুৎ বিতরন কর্তৃপক্ষের নির্মানাধিণ সাব ষ্টেশনের কাজ থমকে দাঁড়িয়েছে। কি কারনে কাজ বন্দ হয়েছে বা কবে নাগাদ কাজ সমাপ্ত হবে জানে না সংশ্লিষ্ট বিতরন বিভাগের কেউ। এদিকে বিদ্যুৎ ভোগান্তির শিকার হতে হচ্ছে উপজেলা প্রায় ১০হাজার বিদ্যুৎ গ্রাহকদেরকে। কর্মহীন হয়ে পড়েছে বিদ্যুৎ নির্ভর ব্যাংক বীমা, কম্পিউটার প্রশিক্ষণ কেন্দ্র, ইউনিয়ন তথ্যসেবা কেন্দ্র, সরকারী প্রতিষ্ঠান সমুহ। এছাড়া বিদ্যুৎ ভোগান্তির শিকার হতে হচ্ছে সকল পর্যায়ের শিক্ষার্থীদেরকে।

    যানাযায়- বাংলাদেশ বিদ্যুৎ উন্নয়ন বোর্ড ১৯৮৩সনে জৈন্তাপুর উপজেলায় বিদ্যুত সেবা চালু করে। ৩৫বৎসরে উপজেলায় বিদ্যুৎ সেবা বৃদ্ধি হয়েও বিদ্যুৎ লাইন পরিবর্তন করা হয়নি। অপরদিকে জৈন্তাপুর ও গোয়াইনঘাট উপজেলা খনিজ সম্পদে ভরপুর হওয়ায় গড়ে উঠে বিদ্যুৎ নির্ভরশীল প্রতিষ্ঠান। বিদ্যুৎ সুবিধা পাওয়ায় ধীরে ধীরে গড়ে উঠে কোয়ারী ভিত্তিক শিল্প প্রতিষ্ঠান পাথর ক্রাশিং ইন্ডাষ্টিজ। সুযোগেটি কাজে লাগিয়ে আবাসিক প্রকৌশলী বিদ্যুতের চাহিদা বৃদ্ধি না করেই অতিরিক্ত বিতরন সংযোগ বৃদ্ধি করেন। চাহিদার অতিরিক্ত বিদ্যুৎনির্ভর প্রতিষ্ঠান গড়ে উঠার ফলে জৈন্তাপুরবাসীকে পড়তে হয়েছে লো-ভেল্টেজ সম্যসায়। বিশেষ করে আবাসিক প্রকৌশলী মাসুদ উদ্দিন খান জৈন্তাপুর উপজেলায় যোগদানের পর হতে লো-ভেল্টেজ সমস্যা চরম হারে বৃদ্ধি পায়। অভিযোগ রয়েছে তিনি জরাজীন বিদ্যুৎ লাইন মেরামত কিংবা পরিবর্তন না করে এবং পরিবেশের ছাড়পত্র ছাড়াই অর্থের বিনিময় বিভিন্ন অবৈধ ষ্টোন ক্রাশার মিলে বিদ্যুৎ সংযোগ দিয়েছেন। সরেজমিন জৈন্তাপুর ও জাফলং এর ষ্টোন ক্রাশার মিল সমুহে তদন্ত করলে এর সত্যতা পাওয়া যাবে।

    বিগত ৩বৎসর হতে বিদ্যুৎ লাইন মেরামতের নামে এই প্রকৌশলী আনুষ্ঠানিক ঘোষনা দিয়ে বিদ্যুত সরবরাহ বন্ধও রাখেন। সম্প্রতি গত ১সপ্তাহ হতে বিদ্যুৎ লাইন সংস্কারের নামে আবারও সপ্তাহে ৪দিন বিদ্যুৎ সরবরাহ বন্ধ রাখছেন। তাই ডিজিটালের যুগে কর্মহীন হয়ে পড়েছে উপজেলার বিদ্যুৎ নির্ভর ব্যাংক বীমা, কম্পিউটার প্রশিক্ষণ কেন্দ্র, ইউনিয়ন তথ্যসেবা কেন্দ্র, সরকারী প্রতিষ্ঠান সমুহ সহ বিদ্যুৎ ভোগান্তির শিকার হতে হচ্ছে সকল পর্যায়ের শিক্ষার্থীরা।

    জৈন্তাপুরের লো-ভোল্টেজ সমস্যা সহ বিদ্যুতের চাহিদা পুরন করার লক্ষে গত বৎসরের শুরুর দিকে উপজেলার ফেরীঘাট এলাকায় নিরবিচ্ছিন্ন বিদ্যুৎ সরবরাহের লক্ষে সাবষ্টেশন স্থাপনের কাজ শুরু হয়। স্থানীয় সংসদ সদস্য ইমরান আহমদের উদ্যোগে জাইকার অর্থায়নে সাব-ষ্টেশনের কাজের উদ্বোধন করা হয়। অবশেষে কাজ শুরুর ৪মাসের মধ্যে জাইকা সিলেট শহর থেকে জৈন্তাপুর-জাফলং পর্যন্ত রাস্তার দূপার্শ্বে ৩৫কিলোমিটার এলাকার খাম্বা স্থাপনের কাজ শেষ করে। খাম্বা স্থাপনের কাজ শেষ হওয়র পর রহস্যজনক কারনে জাইকা কাজটি বন্ধ করে দেয়। বর্তমানে জাইকার স্থাপিত খাম্বা গুলো ভেঙ্গে পড়ছে।

    আবাসিক প্রকৌশলী জৈন্তাপুর বিদ্যুৎ সরবরাহ কেন্দ্রের নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক এক কর্মকর্তা জানান- জৈন্তাপুরের বিদ্যুৎ সমস্যার উত্তরনে আমাদের কিছু করার নেই। আর সিলেট তামাবিল মহাসড়কের প্রায় ৩৫কিলোমিটারে ৫০টির বেশি বৈদ্যুতিক খাম্বা হেলে পড়ার বিষয়টি স্বীকার করে বলেন এসি রুমে বসে কর্তা ব্যক্তিরা যা নির্দেশদেন আমরা তাই বাস্তবায়ন করি। অপর প্রশ্নের জবাবে তিনি বলেন চুক্তি মোতাবেক ৮মাসের মধ্যে সাবষ্টেশনটি চালু হওয়ার কথা ছিল। জাইকা কাজ ছেড়ে দেওয়ার কারনে সাব ষ্টেশনের কাজ নিয়ে দেখা দিয়েছে নানা প্রশ্ন। আর এই সাব-ষ্টেশনের কাজ সম্পন্ন না হওয়া পর্যন্ত লো-ভোল্টেজ সমস্যা দূর হবে না।

    এব্যপারে আবাসিক প্রকৌশলী মাসুদ উদ্দিনকে অফিসে গিয়ে তাকে পাওয়া যায়নি পরে তার ব্যবহৃত মোবাইল ফোনে (০১৭৫৫৫৮২৩৪৮) একাধিক বার ফোন করা হলে তিনি ফোন রিসিভ না করে কেটে দেন।